কানাডার বেগম পাড়ার বাংলাদেশী দুর্নীতিবাজ বেগমদের বাড়ি দেখতে কেমন? || ব্যারিস্টার সুমন || কানাডা

Описание к видео কানাডার বেগম পাড়ার বাংলাদেশী দুর্নীতিবাজ বেগমদের বাড়ি দেখতে কেমন? || ব্যারিস্টার সুমন || কানাডা

বেগম পাড়া হচ্ছে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অর্থপাচারকারী দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা ও ধনাঢ্য ব্যাবসায়ীদের দ্বিতীয় আবাসস্থলের (সেকেন্ড হোম) একটি প্রতীকী নাম। তথাকথিত বেগম পাড়া কানাডার টরন্টোতে অবস্থিত। আদতে কানাডায় এই নামে কোনও স্থানের অস্তিত্ব নেই। শাব্দিক অর্থে বেগম পাড়া শব্দটি দ্বারা একটি স্থানের নাম বোঝালেও এটি বহুল সমালোচিত মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারি ছাড়া আর কিছুই নয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেগম পাড়ার সাথে অর্থ পাচারকারীদের সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। বেগম পাড়ায়, বাংলাদেশী ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের স্ত্রীরা স্বামীদের দ্বারা প্রেরিত অবৈধ অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। কাজ থেকে অবসর নিয়ে যেখানে লোকেরা কানাডায় তাদের বেগমদের কাছে যায়।

যারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে উপার্জনকৃত অর্থ বেআইনি ভাবে পাচার করে টরোন্টোর বিশেষ কিছু অভিজাত এলাকা সহ কানাডার অন্যন্য অঞ্চলেও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়ে নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তাদের সেই স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পদই বাংলাদেশীদের নিকট বেগম পাড়া নামে পরিচিত। সে হিসেবে কানাডায় বহু সংখ্যক বেগম পাড়া আছে, যে সংখ্যা শতাধিকও হতে পারে। তবে সাবেক বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম ব্রিটেনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার এক সাক্ষাতকারে বলেন যে কানাডার টরন্টোর একটি অঞ্চলকে স্থানীয় বাংলাদেশীরা 'বেগম পাড়া' হিসাবে উল্লেখ করেন।

কানাডার টরন্টোর বেগম পাড়া এখনকার একটি বহুল সমালোচিত বিষয় এবং অনেক বাংলাদেশী বেগম পাড়ায় বিলাসবহুল আবাসন কেনা এবং বাংলাদেশ থেকে কোটিকোটি টাকা পাচার করার কারনে রাজনৈতিক আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ২০২১ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবুল কালাম আবদুল মোমেন কানাডায় টাকা পাচারের যে গুঞ্জন আছে তা সত্য বলে স্বীকার করেন এবং অর্থপাচারের ২৮টি ঘটনার তথ্য সরকারের কাছে আছে বলে উদ্ধৃত করেন। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথমবারের মত সরকারের কোন উচ্চপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পক্ষ হতে বেগম পাড়ায় মানি লন্ডারিং হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়।

বহুল সমালোচিত বিষয় হওয়া সত্ত্বেও এই অর্থ পাচার সম্পর্কে কোন বিশেষ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ হতে বেগম পাড়ায় অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিবর্গের তালিকা সহ কোন শ্বেতপত্র এখন অবধি প্রকাশিত হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন বেগম পাড়ায় বাড়ি কেনা এমন ব্যাক্তিবর্গের একটি তালিকা দিতে সরকারকে অনুরোধ করেছিল। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশের কিছু কিছু ব্যক্তিবর্গের আবরণমোচন হয়েছে। অর্থ পাচার সম্পর্কে বেশ কিছু মামলাও ইতিমধ্যে রুজু হয়েছে যা দুদকে তদন্তাধীন এবং ট্রায়াল স্টেজে আছে। বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আদালতে জানায় যে তারা বেগম পাড়ার বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় কানাডার ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থ পাচারকারী সকল বাংলাদেশীর তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আবদুল মোমেন বলেন, “আমাদের সবার ধারণা কেবল রাজনীতিবিদরা সেখানে থাকেন। তবে দেখা গেছে, এদের বেশিরভাগই সরকারি কর্মকর্তা। অবসরপ্রাপ্ত বা এখনও চাকুরীতে আছেন, তারাও একটি বাড়ি কিনেছেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা বড় বড় বাড়িতে থাকেন। আমাদের কিছু ব্যবসায়ীও সেখানে বাড়ি কিনেছেন।”

যদিও বেগম পাড়া একটি অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি, তবে কানাডার একটি স্থানের সাথে এই নামের একটি যোগসূত্র রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে কানাডার একটি স্থানে এই অর্থের বড় একটি অংশ পাচার হয়েছে এবং স্থাবর-অস্থাবর বিভিন্ন সম্পদে ব্যয় ও বিনিয়োগ কিংবা সঞ্চয় করে রাখা হয়েছে। সেই স্থানের উৎপত্তি কানাডার টরোন্টোর কোথাও থেকে।

প্রকৃতপক্ষে কানাডায় সাধারণ মানুষের পক্ষে বাড়ি কেনা সেরকম কঠিন কোন কিছু নয়। অনেকেই বৈধ অর্থ দিয়ে বাড়ি কিনেছেন। কিন্তু যে বাংলাদেশীদের কথা নিয়ে এত সমালোচনা, তারা সেই সব সাধারণ বাংলাদেশিদের কাতারে নন। তারা এমন সব জায়গায় বাড়ি কিনেছেন, যেখানে বাড়ির দাম অনেক বেশি এবং সেই দামে বাড়ি কেনার মতো আয়-উপার্জন তারা কানাডায় করেননি। কানাডার টরন্টো থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে হেয়ারউড রোডে ১২ কোটি টাকায় বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যের স্ত্রীর নামে কেনা বাড়ির সূত্র খুঁজতে গিয়ে ‘বেগমপাড়ার’ সাথে পরিচিত হয় বাংলাদেশ।

সাংবাদিকদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, কানাডার একটি এলাকা যা বিশেষভাবে বেগম পাড়া হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে তা হল স্কারবোরো, টরন্টো। কারণ অধিকাংশ বাংলাদেশী পাচারকারী এই এলাকায় সম্পত্তি ক্রয় করেছে।

কানাডা সরকার এ পর্যন্ত ২০০ বাংলাদেশী অর্থ পাচারকারীর সন্ধান পেয়েছে কিন্তু তথ্য প্রকাশ করেনি। প্রবাসী হিসেবে এ সংখ্যা হাজারের বেশি।

জানা যায়, টরন্টোর বেলভিউ স্কয়ার পার্ক এলাকায় বিলাসবহুল হাইরাইজ কন্ডোমিনিয়াম, টরন্টোর প্রাণকেন্দ্র সিএন টাওয়ারের আশেপাশে, টরন্টোর পাশের শহর রিচমন্ড হিলের আপস্কেল হোম, মিসেসাওগা এবং মার্কহামের অভিজাত এলাকায় বাস করে। অন্টারিও এলাকায় এমন প্রায় দুই শতাধিক বেগমপাড়ার সন্ধানের কথা শোনা যায়। এছাড়া আরো অনেকে কানাডার অভিবাসী হয়ে বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়েছেন।

তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া

Lawyersclubbangladesh.com - Bangladeshi first and complete online news portal on Law. Lawyers Club Bangladesh is a gateway to explore the world of laws in Bangladesh. It brings all law related national and international news, views, opinions, articles, jobs news, study, human rights, and more. Indeed, Lawyersclubbangladesh.com is a law related informative news portal in Bangla and English language.

Stay Connected With Us ☟
Facebook Page:   / lawyersclubbangladesh  
Website: http://lawyersclubbangladesh.com/

Комментарии

Информация по комментариям в разработке