Скачать или смотреть মশার কামড়ে মানুষ মরে 🦟

ডেঙ্গু মশা, মূলত এডিস ইজিপ্টাই (Aedes aegypti) প্রজাতির মশা, ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে এবং এটি মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। ডেঙ্গুর প্রভাব বিভিন্নভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব উল্লেখ করা হলো:

1. শারীরিক অসুস্থতা: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে সাধারণত উচ্চ মাত্রার জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, পেশি ও হাড়ে ব্যথা, এবং চামড়ায় র‍্যাশ দেখা দেয়। অনেক সময় এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে (DSS) পরিণত হতে পারে, যা জীবন হানিকর হতে পারে।


2. রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে যাওয়া: ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা দ্রুত কমে যায়, যা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে যদি প্লাটিলেট সংখ্যা খুব কমে যায়, তবে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও হতে পারে।


3. অঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকি: ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ হার্ট, লিভার এবং কিডনি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট করতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা রোগীকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।


4. সমাজ ও অর্থনীতিতে প্রভাব: ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেলে সমাজের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হয়। এটি স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর ব্যয় সৃষ্টি করে এবং অনেক কর্মক্ষম মানুষ কাজ করতে না পারার কারণে অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে।



প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ: ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। মশার বংশবৃদ্ধি রোধে ঘরের আশেপাশে জমে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে, নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো, মশারি ব্যবহার ও মশা তাড়ানোর উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।

ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধি ও সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ডেঙ্গুর প্রভাব কমানো সম্ভব।