বর্তমান সমাজ প্রেক্ষাপটে বিশাখার জীবনী অতীব অনুসরণীয় সদ্ধর্মদেশনায় পূজনীয় ধুতাঙ্গ সাধক ভদন্ত শরণংকর থের.
ধুতাঙ্গ সাধক ভদন্ত শরণংকর থের'র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: 🖋️- শ্রী সুনয়নংকর ভিক্ষু।
বাংলার বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির নবজাগরণে ও আত্ম-মানবতার সেবায় বর্তমান সময়ে বৌদ্ধদের মাঝে ধুতাঙ্গ ভান্তে, ধ্যানী- সাধক রূপে যার নাম বেশি উচ্চারিত তিনি হচ্ছেন বাংলার সাংঘিক পরিব্রাজক, মানবতাবাদী সংঘপুরােধা, সুদেশক, পরমারাধ্য ধুতাঙ্গ সাধক ভদন্ত শরণংকর থের মহােদয়। যিনি অল্প বয়সে আত্মশােধনের মাধ্যমে আত্মমুক্তি এবং ধর্মপ্রচারের মাধ্যমে পরহিত সাধন হিসেবে বেছে নিয়েছেন সন্ন্যাস জীবন। পায়ে হেঁটে বুদ্ধবাণী ধর্মপিপাসু নর-নারীর মাঝে দেশনায়, বক্তব্যে, আচরণে, চারিত্রিক মাধুর্যে চলেছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, শহর থেকে নগরে। স্বপ্রতিভায় তিনি ত্যাগ, সাধনায়, প্রজ্ঞা, মহত্ত্ব দিয়ে আপামর বৌদ্ধ জনসাধারণের মধ্যে হয়েছেন জীবন্ত কিংবদন্তী।
রত্নগর্ভা চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার অন্তর্গত মধ্যম মার্দাশা গ্রাম। এই গ্রাম অনেক পুণ্য পুরুষের জন্মগ্রহণে পুণ্যস্নাত। সেই জন্মতীর্থে ১৯৮৪ সালের ১৬ই আগষ্ট ধার্মিক পিতা দিলীপ বড়ুয়া ঔরষে পুণ্যবতী মাতা ডেজী বড়ুয়ার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জন্মসূত্রে নগেন্দ্র মাস্টারের বাড়ীর সন্তান। অতঃপর জন্ম জন্মান্তরের অপরিহার্য উর্ধ্বমুখী শােভন সংস্কারের প্রবল আকর্ষণে উপযুক্ত বয়সে পদার্পন করার পর ২০০৪ সালের ২৪শে অক্টোবর সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করেন । তিনি পরিচিত হলেন আগারিক জীবন থেকে ভিক্ষু শরণংকর নামে । ভিক্ষু হওয়ার পর তিনি প্রথম ছয় বছর সাধারণ জীবন যাপন করলেও প্রতিনিয়ত কীভাবে একাকিত্ব হয়ে জ্ঞান লাভ করবেন সেই মানসিকতায় নির্জনতা খোঁজতেন। এভাবে ২০১১ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আধ্যাত্মিক জীবন অধিষ্ঠান গ্রহণ করে রাউজান , হাটহাজারী , রাঙ্গুনীয়া , বােয়ালখালী থানার বৌদ্ধপল্লীর প্রাচীন ১৮টি শ্মশানে একাকি বিচরণ করেন ।
এরপর আরণ্যিক জীবনের আস্বাদ উপলদ্ধির জন্য ২০১২ সনে গহীন থেকে গহীনে ধ্যানময় জীবনচর্চার নিরিখে প্রবেশ করেন ওনারই সাধনপীঠ পুণ্যভূমি খ্যাত জ্ঞানশরণ মহারণ্যে। এটি রাঙ্গুনীয়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের সর্বদক্ষিণে পাহাড়ী বনাঞ্চল অধুষিত বৌদ্ধজনপদ ফলাহারিয়া গ্রাম। যে গ্রামে অর্ধযুগ আগেও হিংস্র বন্য প্রাণীর ভয়ে বসতি মানুষের জনকোলাহল নীরব ছিল।
2014 সালে রাউজানস্থ আবুরখীল গ্রামে সদ্ধর্মদেশনা, ২০১৫ সালে আধারমানিক গ্রামে থেরো অভিধা প্রদান, ২০১৬ সালে বৃহত্তর হোয়ারাপাড়া গ্রামে সদ্ধর্মদেশনা ও চট্টগ্রাম মহানগর রেলওয়ে পলােগ্রাউন্ড ময়দানে ২০১৭ সালে ধর্মদান করেন। সেই থেকে শুরু করেন দীর্ঘ পদব্রজে গমনের মাধ্যমে ধর্মপ্রচারের ঐতিহাসিক অধ্যায়। ফেরার পথে পুজনীয় ভান্তে চট্টগ্রাম মহানগর হইতে চান্দগাঁও, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া উপজেলার ৩০টির অধিক বৌদ্ধ গ্রামে পদার্পণ ও ধর্মপ্রচার করে পুনরায় তাঁহার ধ্যানকুঠিরে ফিরে আসেন। এরইমধ্যে জ্ঞানশরণ মহারণ্যে কিছু প্রকল্পকাজ শুরু হয়। অর্ধশত শিষ্য পরিবৃত সমবেত বন্দনা, দৈনন্দিন পিণ্ডাচরণ, ধর্মদান, নির্জনে একাকী ধ্যানানুশীলন, উপদেশ প্রদান সহ বিভিন্ন ছোট-বড় আত্ম-মানবিক কাজের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হতে লাগল সন্ন্যাস জীবন।
ইতিমধ্যেই পূজনীয় ভান্তে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উত্তরে প্রায়ই বৌদ্ধপল্লীতে ধর্মপ্রচার ও বিচরণ করে সকলের মনে ধর্মবাণী ধারা উদ্বুদ্ধ ও নতুনভাবে শ্রদ্ধার নবজাগরণ সৃষ্টি করেন। তখন একসময় তিনি চিন্তা করেন বঙ্গীয় বৌদ্ধদের পূর্ব পুরুষ অতীতে মহাভারত হতে এদেশে বসতি সৃষ্টি করেছে। সেই বংশ পরম্পরা সৃষ্টির স্থান মহাভারত পদব্রজে দর্শনের বাসনা সৃষ্টি হয়। সেই লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি পরিকল্পনা করেন, চট্টগ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে ভারতের বিহার রাজ্যের পবিত্র বুদ্ধগয়া দর্শন করবেন।
আত্মবিশ্বাস ও প্রবল শ্রদ্ধার মনোবল নিয়ে রওনা হলেন গুগল ম্যাপ অনুযায়ী পথ নির্দেশনায়। সময়টা ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে গমন পথে রাউজান, বােয়ালখালী, পটিয়া, সাতকানিয়া , বান্দরবান-বমুবিলছড়ি, চকরিয়া, উখিয়া, রামু হয়ে পুনরায় চট্টগ্রাম মহানগর , ঢাকা , ফরিদপুর , খুলনা, যশাের যােগে ভারতে প্রবেশ করেন। যখন ভারতে প্রবেশ করেন, পথে ভারতীয় হাই কমিশনার মাননীয় রিভা গাঙ্গুলী দাশ মহােদয়ার সার্বিক সহযােগিতায় ভারতীয় পুলিশ কর্তৃক সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায় পদার্পন করেন ২৪ মার্চ ২০১৯ইং। পবিত্র তীর্থস্থান বুদ্ধগয়ায় ১৫দিন বুদ্ধপূজা ও ধর্মানুশীলনে অতিবাহিত করেন। পুনরায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকালে সম্মানের সহিত ভারতীয় পুলিশ যােগে প্রেরণা করা হয়। এই যাওয়া-আসার পথে কলকাতা-মধ্যমগ্রাম, আসানসোল, দুর্গাপুর, ডানকুনি, বেলুড়, মােহনপুর, নাটাগড়, টালিগঞ্জ, বিবেকনগরসহ প্রায়ই বৌদ্ধপল্লীতে পদব্রজে গিয়ে ধর্মদান সহ সংবর্ধনা গ্রহণ করেন। ( ভান্তে জীবনালেখ্য বইয়ে ভারত পদব্রজকালে অসহনীয় শারীরিক কষ্ট ও ত্যাগের কাহিনী বর্ণিত রয়েছে, বইটি সংগ্রহ করার আহবান রইল)
এ মহান সাধকের জীবনযাত্রায় সকল কর্মপ্রচেষ্টা সিদ্ধ হােক। শাসন সদ্ধর্মের কল্যাণার্থে এমন পুণ্যপুরুষের যেন বার বার আবির্ভাব ঘটুক সর্বদা ত্রিরত্ন সকাশে প্রার্থনা জানাই ।পূজনীয় ধুতাঙ্গ ভান্তে শরণংকর থের মহোদয়ের নীরোগ দীর্ঘায়ু কামনা সশ্রদ্ধ বন্দনা সহকারে পুণ্যদান জানাই।।
Visit online Site.
#Gayanasarana_Buddhist_Forest_Monastery "পুণ্যভূমি জ্ঞানশরণ মহারণ্য কুঠির”
#Venerable_Saranangkar_International_Sangha_Council_VSISC
Related Keywords: Rupak_Barua, বুদ্ধ বন্দনা, সমবেত প্রাথনা , #Buddhism_Buddhist_TV
Disclaimer:
I am a statue worshiper. I promote Buddhism and Hinduism.
***Warnings: If you are a Buddha Statue destroyer, Hindu Statue destroyer or Statue Hater, please stay away from this channel and unsubscribe. The channel is only for Buddhist, Hindu & Christian!***
Regards,
Rupak Baura
Информация по комментариям в разработке