Скачать или смотреть বাংলার হারানো স্বাধীনতা কিভাবে ফিরে এলো? | মুক্তিযুদ্ধের পথচলা | সারাবেলা

বাংলার হারানো স্বাধীনতা কিভাবে ফিরে এলো? | মুক্তিযুদ্ধের পথচলা | সারাবেলা

“বাংলার মানুষ হাজার বছর ধরে কখনও নদীভাঙন, কখনও দুর্ভিক্ষ, আবার কখনও বিদেশি শাসকের শেকলে বন্দী থেকেছে। এই দীর্ঘ হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের পরাধীনতার গল্প, যেখানে একদিকে আছে শোষণ-দমন, আর অন্যদিকে আছে প্রতিরোধ আর স্বাধীনতার তৃষ্ণা।” (সেন রাজবংশের পতন ও দিল্লি সুলতানদের শাসন (১২শ–১৪শ শতক)) “একসময় বাংলার স্বাধীন রাজ্য ছিল পাল ও সেন রাজাদের হাতে। কিন্তু ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে লক্ষণ সেনের পতনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিদেশি শাসনের যুগ। দিল্লির মুসলিম শাসকরা বাংলাকে দখল করে নেয়। বাংলার মানুষ হারায় নিজেদের শাসনব্যবস্থা।” (স্বাধীন সুলতান থেকে মুঘল দখল (১৪শ–১৬শ শতক)) “পরবর্তী কয়েক শতকে বাংলায় স্বাধীন সুলতানরা ক্ষমতায় আসে। গৌড়, সোনারগাঁও, পানাম নগরের মতো নগরীগুলো তখন সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু এই স্বাধীনতাও স্থায়ী হয়নি। ১৫৭৬ সালে মুঘলরা বাংলাকে দখল করে নেয়। এরপর প্রায় দুইশ বছর বাংলার সম্পদ চলে যায় দিল্লি ও আগ্রায়।” ( ইউরোপীয় আগমন ও ব্রিটিশ উপনিবেশ (১৬শ–১৯৪৭)) “১৬শ শতকে বাংলায় আসে পর্তুগিজ, ফরাসি আর ইংরেজ ব্যবসায়ীরা। বাংলার মসলিন কাপড় তখন সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। কিন্তু ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধে ব্রিটিশরা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে। শুরু হয় প্রায় ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন। এই সময়ে বাংলার সম্পদ লুট হয়, মসলিন শিল্প ধ্বংস হয়, এবং বাংলার মানুষ বারবার দুর্ভিক্ষে মারা যায়। কিন্তু বাঙালি থেমে থাকেনি—ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, তিতুমীরের লড়াই, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, বাঘা যতীনের মতো অসংখ্য বিপ্লবী সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।” (পাকিস্তান আমল (১৯৪৭–১৯৭১)) “১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হলেও, বাঙালি পেল আরেক নতুন শৃঙ্খল—পাকিস্তান। রাজনৈতিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক শোষণ, আর সবচেয়ে বড় আঘাত আসে মাতৃভাষার ওপর। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে আবারও জাগিয়ে তোলে। কিন্তু বৈষম্য থামেনি। অবশেষে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি ভেঙে ফেলে হাজার বছরের পরাধীনতার শেকল।” ( উপসংহার (১৯৭১–বর্তমান)) “বাঙালি জাতি ইতিহাসের দীর্ঘতম সময় ধরে শোষিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিটি যুগেই তারা লড়াই করেছে, দাঁড়িয়েছে নিজের অস্তিত্বের জন্য। ১৯৭১ সালে অর্জিত স্বাধীনতা তাই শুধু একটি রাজনৈতিক মুক্তি নয়—এটি হাজার বছরের পরাধীনতার বিরুদ্ধে জয়।" "আজকের বাংলাদেশ সেই দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল।”