Скачать или смотреть আইসিটি পরোয়ানায় সেনা কর্মকর্তা!

আরও পরোয়ানার গুজব, ভিত্তিহীন দাবী প্রেসসচিবের
গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । এর পরপরই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে—আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা আসছে।
শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্যকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন গুজব’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে—এই মুহূর্তে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই। তিনি জনগণকে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে অনীহা এবং কিছু সেনা কর্মকর্তার দেশত্যাগের চেষ্টার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আপ বাংলাদেশ।
বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর মধ্যে যাঁরা গুমের ঘটনায় অভিযুক্ত, তাঁদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের ‘গড়িমসির’ সমালোচনা করা হয়।
তবে, সেনা সদর থেকে জানানো হয়েছে, সামরিক বাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইসিটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তার মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ কর্মস্থলে ‘অবৈধভাবে’ অনুপস্থিত। বাকি আটজন সামরিক বাহিনী থেকে এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন।
গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনাল থেকে পরোয়ানা জারির পর তা নিয়ে তুমুল আলোচনা এবং সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার না করায় জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের ক্ষোভের মধ্যে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ‍্য জানান।