Скачать или смотреть ঐতিহাসিক পুণ্ড্রনগরী-৩ রাজা পরশুরামের প্রাসাদ ও জিয়ৎকুণ্ড কূপKing Porshoram's Palace & Jeetkund Well

#historical #pundranagar #porshoram's #palace.
পরশুরামের প্রাসাদ ঃ
পরশুরামের প্রাসাদ ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের সীমানা প্রাচীর বেষ্টনীর ভিতরে যেসব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। স্থানীয়ভাবে এটি তথাকথিত হিন্দু নৃপতি পশুরামের প্যালেস নামে পরিচিত।
১৯০৭, ১৯৬১ ও ১৯৯৫ সালে মোট তিন বার এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালনা করে তিনটি নির্মাণ যুগের সন্ধান পাওয়া যায়।
১৯৬১ সালে উপরিভাগের ইমারত ভেদ করে দুইটি গভীর খাদ খননের ফলে আরও দুইটি নির্মাণ যুগের ইমারতের ভগ্নাবশেষসহ বহুসংখ্যক উজ্জ্বল মৃৎপাত্রের টুকরা পাওয়া যায়। যা সুলতানি আমলের মৃৎপাত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ন। অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাল ১৫শ/১৬শ শতকের বা সুলতানী আমলের বলে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন। এছাড়া এখানে কোম্পানি আমলের (১৮৩৫-১৮৫৩) দুইটি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
সুলতানী আমলের ইমারতের নিচে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ইমারতের ভবনাবশেষসহ পোড়ামাটির চিত্রফলক, প্রস্তর নির্মিত বিষ্ণুপট্টের ভগ্নাংশ ও বহু কড়ি পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত স্থাপত্যের কাঠামো ও প্রত্নবস্তুর সাথে পাল আমলের কাঠামো ও প্রত্নবস্তুর সাদৃশ্য রয়েছে। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত এ সকল নিদর্শন থেকে ধারণা করা যায়, এখানে অষ্টক শতক বা পাল আমলের নির্মিত ইমারতের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
জিয়ৎ কুণ্ডঃ
জিয়ৎ কুণ্ডের নির্মাণকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না তবে ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, রাজা পরশুরামের শাসনামলে তার দ্বারাই এই কূপটি খনন করা হয়েছিল। সে অনুসারে এই কূপটি খনন করা হয় ১৮শ-১৯শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরশুরাম প্রাসাদের নির্মাণের সময়ে।

অনেকই মনে করেন স্থানীয় জনগণের পানির অভাব দূর করতে রাজা পরশুরাম কূপটি খনন করেছিলেন
আবার কিংবদন্তি অনুসারে, এই কূপের পানিতে অলৌকিক ক্ষমতা ছিল যা পান করলে মৃতরাও জীবিত হয়ে উঠতো। এ কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা পরশুরাম যখন শাহ সুলতান বলখী মহীসওয়ারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন তখন তিনি এই কূপের পানির সাহায্যে মৃত সৈনিকদের জীবিত করতেন। এটি শাহ সুলতান শোনার পর তিনি একটি চিলের সাহায্যে একটুকরু গরুর মাংস এই কূপে ফেলে দেন। এরপর থেকে এ কূপের পানির অলৌকিক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
Parashuram's Palace:
Parashuram's palace is one of the ancient civilizations discovered within the boundary walls of historic Mahasthangarh. It is locally known as the so called Hindu Nripati Pasuram's Palace.
Archaeological excavations were carried out three times in 1907, 1961 and 1995, and three construction periods were found.
Excavation of two deep shafts through the upper building in 1961 yielded numerous sherds of bright pottery, along with the remains of two more construction-era buildings. Which is similar to the pottery of the Sultanate period. In other words, archaeologists believe that the construction period of the second stage is 15th/16th century or Sultanate period. Besides, two coins of Company period (1835-1853) were found here.
Under the building of the Sultanate period, the remains of the building built in the first phase along with terracotta paintings, fragments of Vishnupatta made of stone and many stones were found. The architectural structures and artefacts found in the first phase bear similarities to the structures and artefacts of the Pala period. That is, it can be assumed from all these signs found in the first phase, there are ruins of buildings built during the eighth century or Pala period.
Jiyat Kund:
Details about the construction period of Jiyat Kund are not known but historians believe that it was dug by King Parasurama during his reign. According to him, this well was dug during the construction of Parashuram Palace in mid-18th-19th century.
Many believe that King Parasurama dug the well to alleviate the water scarcity of the local people
Again according to legend, the water of this well had miraculous powers that if drunk would bring the dead back to life. According to this legend, King Parashuram used the water from this well to revive dead soldiers when he was engaged in a war with Shah Sultan Balkhi Mahiswar. After Shah Sultan heard this, he threw a bit of beef into this well with the help of a chisel. Since then, the miraculous power of the water in this well has been lost.