বর্তমানে গ্রামীণ খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। খোদ পাড়াগাঁয়েও সবচেয়ে বেশি প্রচলিত কাবাডি, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, বৌচি, কানামাছি প্রভৃতি গ্রামীণ খেলার প্রচলন নেই। গ্রামবাংলার খেলাধুলার মধ্যে যেসব খেলা হারিয়ে গেছে তাদের মধ্যে হা-ডু-ডু, কাবাডি, দাঁড়িয়াবান্ধা, মন্দুরুজ, গাদন, খো-খো, ডাংগুলি, গোল্লাছুট, গোশত তোলা, চিক্কা, এ্যাঙ্গো এ্যাঙ্গো, কুতকুত, ল্যাংচা, কিং কিং খেলা, বোমবাস্টিং, হাড়িভাঙা, বুদ্ধিমন্তর, চাঁ খেলা, বৌচি, কাঠিছোঁয়া, দড়ি লাফানো, বরফ পানি, দড়ি টানাটানি, চেয়ার সিটিং, রুমাল চুরি, চোখবুঝাবুঝি, কানামাছি, ওপেন্টি বাইস্কোপ, নৌকাবাইচ, ঘোড়াদৌড়, এলাটিং বেলাটিং, আগডুম বাগডুম, ইকড়ি মিকড়ি, ঝুম ঝুমা ঝুম, নোনতা বলরে, কপাল টোকা, বউরানী, ছক্কা, ব্যাঙ্গের মাথা, লাঠিখেলা, বলীখেলা, আইচ্চা ভাঙ্গা,কুৎ কুৎ, মইলা, রাম সাম যদু মদু, চোর ডাকাত, মার্বেল, সাতচাড়া, থিলো এম্প্রেস, ষোলগুড্ডা, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগ লড়াই, চিলমোরগ, বুঝাবুঝি, বদন, লাপা লাপি, লগো লগো, ডালিম খেলা অন্যতম। ইচিং বিচিং,দৌড়লাফ,বস্তা দৌড়, এক্কাদোক্কা, ওপেন টু বাইস্কোপ, কড়ি খেলা ,কানামাছি, কাবাডি, কুতকুত, গোল্লাছুট, জব্বারের বলীখেলা, টোপাভাতি, ডাংগুলি, দাড়িয়াবান্ধা, নুনতা খেলা, নৌকা বাইচ, পুতুল খেলা, ফুল টোকা, বউচি, বাংলাদেশের খেলাধুলা, বাঘ ছাগল খেলা, মার্বেল খেলা, মোরগ লড়াই (গ্রামীণ খেলা), লাটিম, ষাঁড়ের লড়াই, ষোল গুটি। ঐতিহ্যবাহী হারিয়ে যাওয়া এসব খেলাধুলা এখন আর তেমন কোথাও চোখে পড়ে না।
নতুন প্রজন্মের কাছে এগুলো এখন শুধুই গল্প। আবার নাম শুনে অনেকেই হাসে। গ্রামের এসব খেলাগুলোর মধ্যে হা-ডু-ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, বৌচি, ডাংগুলি ছিল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এসব খেলা চলাকালে শতশত মানুষের ঢল নামতো খেলা প্রাঙ্গণে। কিন্তু এখন গ্রামের খোলা মাঠ কমে যাওয়ায় এসব খেলা শুধুই স্মৃতি। এক সময় এ দেশের ছেলেমেয়েরা গ্রামীণ খেলাকে প্রধান খেলা হিসেবে খেলতো। আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে অবশ্যই গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন গঠন করা অতি জরুরি। যাতে করে আগামী প্রজন্ম আমাদের গ্রামীণ খেলাকে জানতে পারে। ভুলে না যায় আমাদের নিজস্ব ক্রীড়া ঐতিহ্য।
#গ্রামীন_খেলাধুলা
Информация по комментариям в разработке