Скачать или смотреть কলা চাষ ও গাছের পরিচর্চা | Fertilizer Management for Banana Crop

@RFInformationServices
কলা আমাদের ভারতবর্ষের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ফল এবং ভারতবর্ষের ভিতরে পশ্চিমবঙ্গ কলা উৎপাদনে বিশেষ স্থান অধিকার করে পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু জেলা কলা চাষে এগিয়ে গেছে বিশেষ করে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, ও উত্তর 24 পরগনা জেলায় এখন প্রচুর কলা চাষ হয় ও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় কলা চাষ হয়। কলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা বেশী দেখা হয়, এদের সার খুব বেশি পরিমাণে লাগে এবং সেই জন্য সঠিক সময়ে যদি সার না দেয়া হয় বা দীর্ঘদিন পরে যদি কলার গাছ ঠিকমতো ভালো ফলন পেতে হয় তাহলে তার যদি সার ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না হয় তাহলে এক বছর বা দেড় বছর পরে থেকে থেকে ফলন কমতে শুরু করে এবং তিন বছর পর থেকে সেখানে কোনো ফল পাওয়া যায় না। সেজন্য প্রথম থেকে হিসাব করে সার দেওয়া উচিত, আমরা বলে থাকি যে কলাগাছ যখন বসানো হয় তার থেকে ঠিক 8 মাস 9 মাসের মাথায় প্রথম এবং তার ছয় মাস পরে সেখান থেকে ফল কাটা শুরু হয়ে যায়। প্রথম থেকে কলা গাছ বসানোর প্রথম থেকে আমরা যদি ঠিক মত সার ব্যবহার করি তাহলে এই ফলনগুলো ঠিকঠাক পাওয়া যায়। আমরা থেউড় বা টিসুকালচারের চারার মাধ্যমে চারা বসানোর কথা বলে থাকি, নির্দিষ্ট দূরত্বে মাদা কেটে সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে জৈব সার, নিমখোল আবশ্যই এবং তার সাথে সাথে বেশ কিছু রাসায়নিক সার দিয়ে শুরু করা উচিত। একটা কলাগাছ এক্ষেত্রে বছরের হিসাবে নাইট্রোজেন, ফসফেট ও পটাশের অনুপাত যে আমরা বলে থাকি 300 গ্রাম নাইট্রোজেন 200 গ্রাম ফসফেট ও 500 গ্রাম পটাশ. এই সার আমরা স্তেত ফার্টিলইজার ইউরিয়া, এস.এস.পি ,এম.ও পি,এর মাধ্যমে দিতে পারি বা কম্প্লেক্স ফার্টিলাইজারের মাধ্যমেও দিতে পারি । আবার ভালোভাবে দিতে গেলে বলে থাকে যে একটা কম্বিনেশন দেওয়া উচিত এক্ষেত্রে আমরা যদি এস.এস.পির পরিবর্তে ডি.এ.পি বা 20:20:0 ব্যবহার করি তাতে ফসফেট অনেক বেশি হয় এবং গাছ খুব তাড়াতাড়ি নিতে পারে । যদি পটাশের বা গাছের অনুখাদ্যের পরিমাণ কমে যায় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যেমন পটাশ কমে গেলে বেশ কিছু যাতে যেমন মর্তমান বেশি দেখা যায় ফলের ভিতরে ছোট ছোট গুটি গুটি দেখা যায় যে ফল পরিপূর্ণ হওয়ার পরে যে ফলের খোলা ফেটে যাচ্ছে যেটা বাজারজাত করা যায় না, এটা পটাশের ঘাটতি। আবার দেখা যায় যদি নাইট্রোজেনের পরিমান কমে যায় উপরের দিকে ফলে আকার ঠিক আছে কিন্তু নিচের ফল ছোট হয়ে যাচ্ছে আবার প্রত্যেককে সাইজ হওয়ার কথা ছিল সেটা হয় না উপরের দিকের যথেষ্ঠ স্বাভাবিক ওজন থাকে কিন্তু নিচের দিকে ফলগুলো 1-3 অংশের মতন চলে আসছে দেখা যায় যার ফলে সংখ্যা কমে যায়। একটা কাধিতে আমরা হয়তো ভাবছি যে 70 থেকে 80 টা ফল পাবো সেখানে দেখা যাচ্ছে কুড়ি ত্রিশটা ফল পাওয়া যায় বা সঠিক ফল পাওয়া যাচ্ছে না তো সেই জন্য নাইট্রোজেনের মাত্র সঠিক রাখা উচিত। ফসফেট একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে গাছের মূল শক্ত রাখার জন্য এবং গাছের শিকড় এর মাধ্যমে অন্যান্য সমস্ত নিউট্রিয়েন্ট যাতে সঠিকভাবে পায় তার বন্দোবস্ত করার জন্য। আমরা সিঙ্গেল সুপার ফসফেটের মাধ্যমে যদি ফসফেট দি তাহলে যেখানে ক্যালসিয়াম ও সালফারের চাহিদাও মেটে কিন্তু এখন দোকানে কম পাওয়া যাওয়া এবং চাষীদের ব্যবহার কমে যায় সেজন্য আমরা ডী.এ.পি বা 20:20:0 ব্যবহার করতে বলতে পারি । 20:20:0 একটি ভালো সার এতে যে ফ্সফেট রয়েছে সেটার দাম খুব বেশি নয় এবং গাছ সহজে এটা নিতে পারে সেজন্য এই সার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মোটামুটি একটা গাছের সার ব্যবস্থাপনা এবং এর সাথে অবশ্যই যেতে বলা হয়নি সেটা হলে যথেষ্ট পরিমাণে জৈব সার দেওয়া উচিত ব্যবহার করা উচিত গাছ প্রতি 10-15 কেজি জৈব সার ব্যাবহার করা উচিৎ।প্রতিবারে 2-3 কেজি করে এই ভাবে 5 বারে আমরা জৈব সারটা দিতে বলছি ।