Скачать или смотреть "ঋতুস্রাব", "অশৌচ" এবং রাধনাথ পাগলচাঁদ দর্শন

নারীর "ঋতুস্রাব", "অশৌচ" এবং সমাজ সংস্কারক রাধনাথ পাগলচাঁদ দর্শন #(মধ্যমগ্রাম,#কলকাতা)

লেখক: শ্রী মনোজ মিস্ত্রি (কলকাতার, মধ্যমগ্রাম)

মনুষ্য জাতীর সৃষ্টির রহস্য লুকিয়ে আছে নারীর "ঋতুস্রাব"এর মধ্যে। যে নারীর ঋতুস্রাব হয় না তিঁনি সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। তাঁকে সকলে তখন "বাজা নারী" বলে অপবাদ দেন!!!

মায়েদের পবিত্র ঋতুস্রাব এর জন্যই আমি, আপনি ও আমরা প্রত্যেকে সৃষ্টি হয়েছি। তাহলে সেই কয়দিন নারী অপবিত্র হয় কি করে ? মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয় না কেন? কেনই বা নিজের বাড়ির পুজোতেও মায়েরা বাঁধা পড়েন? আশ্চর্য!!! এই বাঁধা সৃষ্টি করেন বাড়ির বয়স্ক নারীরাই!!! সে মা হোক বা ঠাকুমা, বলেন, "এই তুমি এটা ছোঁবে না ওটা ধরবে না। কারণ তুমি এখন অসূচ!!!"

আমরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও সমাজের এই কুপ্রথা প্রায় অধিকাংশ পুরুষরাই সমর্থন করি। এর প্রতিবাদ করতে সাহস করি না !!! এমনকি ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের নির্দেশ সত্বেও!!! কেরল রাজ্যের সেই "সবরীমালা"র ঘটনা তো আমাদের সকলেরই জানা!!!

যে অন্যায় "রীতি" আমরা এই আধুনিক একবিংশতী শতাব্দীতে সমর্থন করে পারিবারিক বা ব্রাহ্মনবাদীদের রোষানলে পরি, সেই কথা আজ থেকে প্রায় ১২০ বছর আগে সমর্থন করে গিয়েছিলেন অবিভক্ত বাংলার অন্যতম সমাজ সংস্কারক "রাধনাথ পাগলচাঁদ"। তাঁর শিক্ষা ও দর্শণ থেকে জানা যায়, যে তিঁনি যেমন মাতা পিতার মৃত্যুর পর পুত্র কন্যাদের কোনও "অশৌচ" পালন করতে না করেছেন তেমনি নারীদের "ঋতুস্রাব" অবস্থার সময়কেও কখনোই অপবিত্র বা "অশৌচ" বলেন নি। "ঋতুস্রাব" অবস্থা যদি অপবিত্র হয়, তাহলে তো আমরা সব্বাই অপবিত্র। মাসের এই বিশেষ কয়েকদিন মায়েদের বিশেষ সযত্নে রাখবে তাঁদের সেবা যত্ন করবে"।

এই অত্যাধুনিক প্রথা প্রবর্তন করতে গিয়ে আজ থেকে প্রায় ১২০ বছর পূর্বে রাধনাথ পাগলচাঁদ কে সমাজের তথাকথিত মোড়লদের দ্বারা অকথ্য ভাবে অত্যাচারিত হতে হয়েছিল। এখনও পাগলচাঁদের অনুগামীদের ভয় ভীতি দেখানো হয়, কিন্তু এই সমাজের ভক্তরা পাগলচাঁদের দেখানো পথে চলতে অনড়। এঁরা অঙ্গীকার বদ্ধ সত্যের পথে চলতে।

গৌতম বুদ্ধ, "আত্মদ্বীপ ভব"
পাগলচাঁদ, "অন্তরে জ্ঞানের বাতি জ্বালাও"।

সুখের কথা, সংখ্যায় খুবই অল্প হলেও পাগলচাঁদের অনুগামীরা কেউই এই "কুপ্রথা", মানেন না। "পাগল" সমাজের মায়েরা ঋতুকালে সব কাজই করে থাকেন। পাগল সমাজের বাইরে বৃহত্তর সমাজের সকলের মধ্যেও যেদিন পাগলচাঁদ দেওয়া এই জ্ঞান সঞ্চালিত হবে, সম্ভবত সেদিন থেকেই ব্রাহ্মণ্যবাদীদের সকল কুপ্রথা সমাজ থেকে মুছে যাবে। পাগল সমাজের ভক্তরা সেই দিনের আশায় অপেক্ষা করছে।

জয় পাগলচাঁদের জয়
জয় পঞ্চশক্তির জয়
জয় শ্রীধাম খেজুরতলার জয়
জয় শ্রীধাম নবখেজুরতলার জয়
জয় চম্পাহাটির জয়

প্রচারে: পাগলচাঁদ মহাসঙ্ঘ, SSPCPMSA এর পক্ষে শ্রী মনোজ মিস্ত্রি (মধ্যমগ্রাম, কলকাতা)