Скачать или смотреть যশোরে ম্যা/নসেল-সাগর অ/স্ত্রসহ গ্রেফতার

যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক বহুল আলোচিত জাহিদ হোসেন মিলন ও তার ৩ সঙ্গীকে মদসহ গ্রেফাতর করেছে ডিবির একটি চৌকষ দল। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা রাতে শহরের পুরাতন কসবা পালবাড়ির কাঁচাবাজারের একটি ইন্টারনেট ব্যবসায়ের অফিসে তারা মদের আসর বসিয়েছিলেন। এরআগে দুপুরে রেলস্টেশনের ম্যানসেল ও তার এক সহযোগীকে চাকুসহ আটক করে ডিবি। তারা যশোর সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলার আপোষ রফা লিখিত দুটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই-সাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এরআগের রাতে ষষ্টিতলাপাড়ার ভাড়াটে সাগরকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করে র‌্যাব-৬ এর একদল ফোর্স। এসব আটকের খবরে অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।


এদিকে, কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (অপারেশন্স) পলাশ বিশ্বাস জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁচা বাজার সংলগ্ন জনৈক ওয়াহিদের ভাড়া দেয়া ভবনে অবস্থিত ইন্টারনেট ব্যবসার অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে কয়েকজন বসে মদ সেবন করছিলেন। পুলিশ সেখান থেকে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলনসহ ৪ জনকে আটক করে। এছাড়া ওই অফিসের ভেতর থেকে কয়েক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে ডিবি অংশ নেয়।



স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, উজ্জল ও হিমেল নামে দুই যুবকের সেখানে ইন্টারনেটের ব্যবসার অফিস রয়েছে। পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন প্রায়ই দলবল নিয়ে ওই অফিসে বসে মদ সেবন করে থাকেন।বুধবার রাতে পুলিশ জানতে পেরে জাহিদ হোসেন মিলনসহ ৪ জনকে আটক করে। আটক অপর ৩ জন হলেন পুলিশ লাইন্স টালিখোলা এলাকার শেখ আকবর আলীর ছেলে শেখ দস্তগীর হোসেন উজ্জল, আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মারুফুজ্জামান ও পুরাতন কসবা কদমতলা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম। তাদের ডিবি অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল।

সূত্রমতে, তিনি রাত ১০টার পর মধ্যব অবস্থায় ভুলভাল ও অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। তাকে ওয়াশ করার জন্য যশোর জেনারেল হাসাপাতালে নেয়া হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে সংবাদকর্মীদের ঢুকতে দেয়া হয়। কোতয়ালি থানার পুলিশ সাংবাদিকদের ছবি তুলতে ও সংবাদ সংগ্রহেও বাধা দেয়।

সবমিলিয়ে এসব গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। অনেকের দাবি-অনেক আগে এভাবে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হলে যশোরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতো। কিশোর গ্যাং গড়ে তোলার পথও বন্ধ হতো।