Скачать или смотреть রবীন্দ্র লালন উদ্যান গড়াই নদীর তীরে কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত একটি সুন্দর মনোরম পর্যটন কেন্দ্র।KUSHTIA

PlEASE SUBSCRIBE MY CHANNEL
#কুষ্টিয়া #travel #viralvideo

রবীন্দ্র লালন উদ্যান গড়াই নদীর তীরে কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত একটি সুন্দর ও মনোরম পর্যটন কেন্দ্র। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও লালন সাঁইজির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত হয়েছে। উদ্যানটি কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার কাছে গড়াই নদীর পাড়ে অবস্থিত, যা লালন সাঁইজির আখড়ার পাসেই অবস্থিত।

এখানে রবীন্দ্রনাথ ও লালনের জীবন ও দর্শনকে ফুটিয়ে তুলতে বিশেষ নকশা করা হয়েছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নদীর স্রোতের মুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।
এটি ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ স্থান, যেখানে আপনি প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের মেলবন্ধন উপভোগ করতে পারবেন।
গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত রবীন্দ্র লালন উদ্যান প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন। এখানে নদীর স্রোতের শান্ত মেলোদি এবং পাড়ের সবুজ গাছগাছালির সমন্বয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
নদীর পাড় ধরে হাঁটার সময় মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করা যায়, যেখানে সূর্যাস্তের সোনালী আভা পানিতে প্রতিফলিত হয়। নদীর কলকল ধ্বনি আর হালকা বাতাস প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এটি শুধু মানসিক প্রশান্তির জন্য নয়, ফটোগ্রাফি ও শিল্পের জন্যও এক আদর্শ স্থান।
আপনার ভ্রমণে এই সৌন্দর্য অনুভব করা সত্যিই একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে।
রবীন্দ্র লালন উদ্যান কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং এখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার জন্যও অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতি বছর এখানে লালন স্মরণোৎসব এবং বৈশাখী মেলা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যা হাজারো পর্যটক ও লালনভক্তদের আকর্ষণ করে।
রবীন্দ্র লালন উদ্যানের স্থাপত্যশৈলী ও নকশায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও লালন সাঁইজির জীবন ও দর্শনের প্রতিফলন বিশেষভাবে লক্ষণীয়। উদ্যানের প্রতিটি অংশ তাদের শিল্প, দর্শন ও মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে।
লালন উদ্যানের ভেতরে বসার জন্য আরামদায়ক জায়গা এবং ফুলগাছের সজীব সজ্জা উদ্যানটিকে আরও মনোরম করে তুলেছে। উদ্যানজুড়ে সবুজ গাছপালা এবং বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফুলের সমাহার পরিবেশকে প্রশান্তিময় করে তোলে।
উদ্যানজুড়ে বিভিন্ন রঙের ফুলের বাগান রয়েছে, যা মনোরম সৌন্দর্য যোগ করে। গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, এবং বেলি ফুলের গাছের শোভা দেখা যায়।
উদ্যানের খোলা মাঠ ঘাসে আচ্ছাদিত, যেখানে বসে কিংবা শুয়ে প্রকৃতি উপভোগ করা যায়।
এইসব বৈশিষ্ট্য লালন উদ্যানকে শান্তি ও সৌন্দর্যের এক নিখুঁত মিলনস্থল করে তুলেছে।
রবীন্দ্র-লালন মৈত্রী উদ্যানের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে উদ্যানটিতে রোপণ করা গাছ আভা ছড়াচ্ছে সবুজের। রঙ ছড়াতে শুরু করেছে বর্ণিল সব ফুল। মনোরম এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে উদ্যানটিতে আসছেন দর্শনার্থীরা। এবছরের জুলাইয়ে রবীন্দ্র-লালন মৈত্রী নামের এই উদ্যানটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।
জানা গেছে, দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি নির্মিত হচ্ছে কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরে। প্রায় ৩০ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হতে যাওয়া এই উদ্যানে রোপণ করা হয়েছে রক্তকাঞ্চন, সিজিয়াম, গ্লাডিলিয়াসসহ ৮৫ প্রজাতির ফুল এবং সাড়ে ১০ হাজার ফল ও ভেষজ গাছ। এরই মধ্যে পাপড়ি মেলে ধরেছে ফুলগুলো। ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা গাছেরা বাড়িয়েছে সবুজের সীমানা।
এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবির) অর্থায়নে উদ্যানটি নির্মাণ করছে জেলা প্রশাসন। এখনও পুরো কাজ শেষ হয়নি। তবে, সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে সেখানে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, গড়াই নদীর তীরে দখল হওয়া সরকারি জমি উদ্ধার করে ২০১৯ সালে এই উদ্যান নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এখন কাজ শেষের পথে।

রবীন্দ্র লালন উদ্যান এখোনো নিরমানাধিন , আশা করা জাই খুব দ্রুতই এটি সম্পুন্য হবে…