Скачать или смотреть বিষমুক্ত নিরাপদ ফসলের লক্ষ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

রনি আকন্দ, স্টাফ রির্পোটার : জয়পুরহাটের কালাইয়ের কৃষকেরা চলতি আমন মৌসুমে তাদের জমিতে সময় অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের আমন ধান রোপন করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বন্যা হলেও কালাই উপজেলাতে এবার প্রাকৃতিক ভাবে তেমন কোন দুর্যোগ না হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উপজেলার প্রায় ৩৬ হাজার কৃষকেরা যথাসময়ে তাদের জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করেছেন। ওই সব জমিতে রোপনকৃত চারাগুলো বড় হয়ে বিস্তীর্ণ মাঠগুলো এখন সবুজে ছেয়ে গেছে। বিষমুক্ত নিরাপদ ফসলের লক্ষ্য ওইসব ধান ক্ষেতে রয়েছে পোকা-মাকড় দমনের জন্য লাইফ ও ডেট পার্চীং। তাদের বহু স্বপ্নের রোপনকৃত চারাগুলো সকালে শিশির ভেজা সবুজ পাতাগুলো এখন বাতাসে দোলে। তাছাড়া একবার ওই মাঠের দিকে দেখলেই চোখ ফেরানো যায় না। যেনো সবুজ বরণ ওই সব ক্ষেতগুলো। একটু দূর থেকে দেখলেই মনে হয় নতুন বধু বেশে সবুজ রং এর শাড়ি গায়ে জড়িয়ে বসে আছে মাঠগুলো, এ যেনো-এক চোখ জুড়ানো চিত্রকলা।
সরেজমিনে ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর ও আহম্মেদাবাদ ওই ৫টি ইউনিয়নে এবার চলতি আমন মৌসুমে ১৩ হাজার ৭শ ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে হাইব্রিড জাতের ধান রোপন হয়েছে ১হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে এবং উফশী জাতের ধান রোপন হয়েছে ১২ হাজার ৭শ ২০ হেক্টর জমিতে। উপজেলার প্রায় ৩৬ হাজার কৃষকেরা যথাসময়ে তাদের জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করেছেন। তাদের বহু স্বপ্নের রোপনকৃত ধানের চারাগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। তাছাড়া রোপনকৃত চারাগুলো এখন সবুজ ও সতেজ হয়ে উঠায় উপজেলার কৃষকদের মনে প্রশান্তি এনে দিয়েছে। বর্তমান উপজেলাতে আমন ধানের চারাগুলো অনেক ভালো আছে। এবার আমন ক্ষেতে প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে লাইফ ও ডেট পার্চীং এর ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলার কৃষকের ধানের ক্ষেতে বিভিন্ন গাছের ডাল ও ধুনঞ্জি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আগমন ঘটছে। এর ফলে ওই সব পাখিরা ধানে আক্রমনকারী ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফসল রক্ষা করছে। এছাড়া পরিবেশের সৌন্দর্য্যরে পাশাপাশি ধান উৎপাদন কয়েগুন বেড়ে যাচ্ছে। ধানের জমিতে পাচিং পদ্ধতির মাধ্যমে শালিক, বুলবুলি ও ফিচকা পাখি বসে ধানের ক্ষতিকর পোকাকে ধ্বংস করছে এবং এতে পোকার বংশ বিস্তার কম হচ্ছে। পোকা ধরে খাওয়ার জন্য পাখিদের বসার জন্য জায়গার ব্যবস্থা সরাই মুল উদ্দেশ্য হলো এই পার্চীং। ফলে কৃষকদের কীটনাশকের ব্যবহার কম হচ্ছে। ফসলের উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাচ্ছে। এছাড়া পাখির বিষ্টা জমিতে জৈব সার হিসেবে উর্ববরতা শক্তি বৃদ্ধি করে। আবার বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ দূষণ মুক্ত হচ্ছে। তাই উপজেলা কৃষি অফিস আশা করছেন এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা ।