তারুয়া সমুদ্র সৈকত - পর্ব- ০১| Tarua Sea Beach | Dhal Chor, Bhola | Bangladesh | Falcon Travelers

Описание к видео তারুয়া সমুদ্র সৈকত - পর্ব- ০১| Tarua Sea Beach | Dhal Chor, Bhola | Bangladesh | Falcon Travelers

অজানা তারুয়া সমুদ্র সৈকত, ভোলা

সমুদ্র সৈকত বললেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে কক্সবাজার, কুয়াকাটা কিংবা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের চিত্র। অথচ আমাদের দেশে আরো অনেক অপূর্ব সমুদ্র সৈকত রয়েছে। যার অনেকগুলোই এখনো পর্যটকদের অগোচরে রয়ে গেছে। তেমনই এক অসাধারণ সমুদ্র সৈকত হলো ভোলার তারুয়া সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে এরকম এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের স্থান রয়েছে তা এখানে না আসলে আপনি বুঝতে পারবেন না।

 

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে ঢালচর বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে ঢালচর থেকে পূর্বদিকে চর শাহজালাল ও চর আশরাফের মাঝামাঝি বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ নাম তার তারুয়া। ভোলা জেলা শহর থেকে দেড়’শ কিলোমিটার দূরে এই তারুয়া সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। একশত পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার পাকা সড়কের পর পনের কিলোমিটার নৌ-পথ পেরিয়ে সেখানে যেতে হয়। এখানে রয়েছে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি। পাখিদের কলকাকলিতে মুখর থাকে এই সৈকত। বালুকাময় মরু মেঠো পথের পাশে বৃহৎ ম্যানগ্রোভের ছায়াপথে মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে পারবেন। রয়েছে হরিণের বিচরণভূমি। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে তারুয়া সমুদ্র সৈকতকে। দেশের বৃহত্তম দুটি সমুদ্র সৈকতের পরে ঢালচর দ্বীপের তারুয়া সমুদ্র সৈকতটি তৃতীয় বৃহত্তম সৈকত হিসেবে স্থান পেতে পারে।


প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে উঠে সবুজের এই এলাকা। জেগে ওঠা ওই এলাকায় মাছ শিকার করতেন স্থানীয় জেলেরা। জেলেরা যখন নদীতে জাল ফেলতেন, তখন শত শত তারুয়া নামের এক প্রকার মাছ উঠে আসতো তাদের জালে। হয়ত সে কারণেই এ এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে তারুয়া। যা এখন সবার কাছে  সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত।


তারুয়া সৈকতের যে প্রান্তেই চোখ যায় সেদিকেই যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নয়নাভিরাম দৃশ্য। সকাল-বিকেলে তারুয়া সমুদ্র সৈকত ঘিরে বিরাজ করে ভিন্ন এক নান্দনিক সৌন্দর্য যা আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। বনে হরিণের ছুটাছুটি আর পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। শীতে সৈকতে বসে অতিথি পাখিদের মেলা। তারুয়া সৈকতটি শীতে পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। সাগর তীরে কাছাকাছি দলবেঁধে খাবারের সন্ধানে ছুটে আসা অতিথি পাখিগুলো এবং তাদের উড়ে যাওয়ার দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।।সৈকতের বিস্তীর্ণ প্রান্তর-জুড়ে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি ভিন্ন সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে ঘন ম্যানগ্রোভ বনের সখ্য এখানে এনে দিয়েছে নান্দনিক সৌন্দর্য।


তারুয়ার বনের মধ্যে পাওয়া ??াবে বড়ই গাছ। গাছ থেকে বড়ই পেড়ে খাওয়া শুরু করেন অনেকে পর্যটকই। তারুয়ার দ্বীপের মৃতগাছ গুলোও যেন আরেক দর্শনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ওই গাছে সাথে নিজেকে ফ্রেমে বন্দি করেন কেউ কেউ। মাটির ভেতর থেকে ৫ ইঞ্চি উচ্চতার গাছের শিকড় যেন নিজেকে সৌন্দর্যের জানান দেয়। অনেকটা মরুভূমির মত বালুর ভেতর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের গাছ জন্মেছে। সেখানে আবার ফুটেছে বিভিন্ন ধরনের ফুল। দ্বীপের চারদিকের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার চিত্র বিভিন্ন ধরনের। কোথাও নিচু, কোথাও উঁচু আবার কোথাও সমতল। সাগর তীরে পড়ে থাকা মাটির ছোট ও মাঝারী ধরনের খন্ডগুলো যেন অবিকল পাথরের মত।


প্রকৃতির রূপ আলো আঁধারের বাহারি খেলার দেখা মেলে এখানে। তারুয়া সৈকতে দাঁড়িয়ে ভোরের সূর্যের আগমনী বার্তা দেখা যায়। পাশাপাশি সন্ধ্যার আকাশে সিঁড়ি বেয়ে এক পা দু’পা করে রক্তিম সূর্যের সাগরের বুকে হারিয়ে যাওয়ার অপূর্ব দৃশ্যও এখানে দেখতে পাবেন। পুরো সৈকত লালিমায় ভরে ওঠার সেই অতুলনীয় দৃশ্যও আপনাকে সম্মোহিত করে রাখবে। পর্যটক আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে মুগ্ধতার বন্ধনে আবদ্ধ করার যাদুকরী শক্তি রয়েছে চমৎকার তারুয়া সমুদ্র সৈকতের।


 

যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে লঞ্চে করে আপনাকে চরফ্যাশন আসতে হবে। সেখান থেকে কচ্ছপিয়া পর্যন্ত যাতায়াত সহজ। তারপর কচ্ছপিয়া থেকে লঞ্চ বা ইঞ্জিন নৌকায় যেতে হবে ঢালচর।


▶️▶️▶️ খরচ-
ঢাকা টু বেতুয়া (চরফ্যাশন) - লঞ্চ- কেবিন ১১০০/২২০০/ ডেক-৩০০
বেতুয়া টু চরফ্যাশন বাজার- অটো- জনপ্রতি -১৫/২০
চরফ্যাশন বাজার টু কচ্ছপীয়া ঘাট - অটো রিজার্ভ ৩৫০ / বাস - ৩০+ অটো ১০
কচ্ছপীয়া ঘাট টু ঢালচর - রিজার্ভ নৌকা ৫৫০০ (সথে চর কুকরি মুকরি)
ঢালচর টু চর কুকরি মুকরি- রিজার্ভ নৌকা
চর কুকরি মুকরি টু কচ্ছপীয়া- রিজার্ভ নৌকা

সেম ভাবে ঢাকায় ফেরত আসা।

খাবারে জন্য নিজেদের বাজার নিয়ে যেতে হবে ঢালচর এ।
চর কুকরি মুকরিতে খাবারে বেশ কয়েকটি হোটেল আছে।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке