Скачать или смотреть ফটিকছড়িতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে

সমগ্র দেশের ন্যায় ফটিকছড়ি উপজেলায় একযোগে শুরু হলো মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম । মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চেয়ে গত কয়েক বছরে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন জমা পড়েছে, যা যাচাই-বাছাই করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।
রাজনৈতিক দুষ্টচক্রের আবর্তে স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও নিরূপণ সম্ভব হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা। তাই মুক্তিযুদ্ধের সাড়ে ৪ দশক পরও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভিড়ে তালিকা থেকে বাদ পড়েতে দেখা যায় সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেয়া অসংখ্য বীর সেনানীকে।২৮ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকাল ১০টা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হলে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। একটানা ২০ দিন পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। যাচাই-বাছাইকালে কোনো মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে সাক্ষ্য দিলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য তার সম্মানী ভাতা স্থগিত করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রত্যেক উপজেলায় একজন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্যকে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফটিকছড়ি উপজেলায় কমিটির সদস্যরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবু মনছুর সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়কে সদস্য সচিব করে কমিটির গঠন করা হয়। বিএলএফ কমান্ডার আনোয়ার আজিম, সামসুল আলম, সৈয়দ তৌহিদুল আলম, বোরহান উদ্দিন ও একরামুল হক। সরকারের এমনি উদ্যোগেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অসংখ্য বীর সেনানী।