Kindly request to Subscribe my channel and share my content on your social media platforms.
This channel belongs to Avijit Barua Avi, a renowned Author (published 21 Books,) Researchers, Writer, Columnist, and Successful Businessman.
ভারতের যত সাম্প্রদায়িক সংঘাত।। সাম্প্রদায়িক ভেদনীতি, সাম্প্রদায়িকতা -কারণ, প্রভাব।।
ভারত তার জন্মলগ্ন থেকে সাম্প্রদায়িকতা নীতির সাথে এগিয়েছে এবং ভারতে জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক নীতি ও ঘটনা ঘটেছে এবং ছটছে। ‘বিভক্ত করুন এবং শাসন করুন’- এই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি ভারতে সাম্প্রদায়িকতার এবং বিবর্তনের উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল। ব্রিটিশরা একে অপরের বিরুদ্ধে সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছিল, যার ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ হয়। ব্রিটিশদের দ্বারা ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গও ভারতে সাম্প্রদায়িকতার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল। বিভক্তির ফলে পূর্বে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র এবং পশ্চিমে একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র তৈরি হয়। ভারতের বিরোধী রাজনীতিবিদরা, হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজ্য সরকারকে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার জন্য জরিপটিকে "অর্কেস্ট্রেট" করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। ভারতের সাম্প্রদায়িকতার প্রধান কারণগুলি জটিল এবং বহুমুখী। যেমনঃ ১) ঐতিহাসিক কারণঃ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি, ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ২) রাজনৈতিক কারণঃ যেমনঃ ক্ষমতা এবং সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা, সেইসাথে বিভাজনমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য, সাম্প্রদায়িকতার উত্থান। ৩) আর্থ-সামাজিক কারণঃ যেমনঃ দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং অসম সম্পদ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় অবদান রাখছে। ৪) সামাজিক-সাংস্কৃতিক কারণঃ যেমনঃ বর্ণ ও শ্রেণী বিভাজন, সেইসাথে আঞ্চলিক ও ভাষাগত পার্থক্য। ৫) মিডিয়ার ভূমিকাঃ সাম্প্রদায়িক মতাদর্শ গঠনে এবং ভুল তথ্য ও ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে। ৬) ধর্মীয় কারণঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ধর্মীয় মৌলবাদ এবং চরমপন্থী মতাদর্শের মতো ধর্মীয় কারণগুলি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ঘটাছে। ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে, ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর শিখ বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়, যেখানে দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং ভারতের অন্যান্য অংশে ৪০০০ এরও বেশি শিখ নিহত হয়। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা অযোধ্যায় ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। ফলে ভারতজুড়ে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়, যার ফলে ২০০০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় ১০০০ জনেরও বেশি লোক মারা যায় এবং ১৫০০০০ জনেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়। ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ফলে প্রাণহানি এবং আহত হওয়া সম্ভবত সবচেয়ে গুরুতর পরিণতি। গুজরাট দাঙ্গায় ১২৪ নারীদের অত্যাচার, শিশু অগ্নিসংযোগ করা, এবং বাবা কুপিয়ে হত্যা, প্রায় ১০০০ মানুষকে হত্যা করা হয় যাদের বেশিরভাগই মুসলমান। প্রায় ২০০০০ মুসলমানের বাড়ি এবং ব্যবসা এবং ৩৬০টি উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে মুজাফফরনগর দাঙ্গা, যা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দাঙ্গায় ৬০ জনেরও বেশি লোক মারা যায় এবং ৫০০০০ জনেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়। আসাম সহিংসতায় ২০১২ সালে বোডো এবং বাংলাভাষী মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গায় ৫০ জনেরও বেশি লোক মারা যায় এবং আরও শতাধিক আহত হয়, সেইসাথে হাজার হাজার লোকের বাস্তুচ্যুত হয়৷ ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা অনুসারে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতে মুসলিম বিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ৬২% বেড়েছে, গড়ে প্রতিদিন প্রায় একটি ঘটনা ঘটেছে। সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে ৬৪% হিন্দু বিশ্বাস করে যে ভারতীয় পরিচয়ের জন্য হিন্দু হওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷ ২০০৯ এবং ২০১৯ এর মধ্যে ধর্ম-ভিত্তিক ঘৃণামূলক অপরাধের নব্বই শতাংশ ঘটেছে বিজেপি দল, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর। ঘৃণামূলক বক্তব্য ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালের এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ জন মারা গেছে এবং ২৮০ জন আহত হয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা, ২০২৩ নুহ সংঘর্ষে ৭ জন মারা গেছে এবং ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ৭৯ শতাংশ ভারতীয় মুসলমান আরও সহিংসতা এবং সরকারী নিপীড়নের আশঙ্কা করছে। তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। বর্তমানে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৪%। ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতা, সহিংসতার ফলে ভয়, দুর্বলতা এবং অবিশ্বাসের মধ্যে বসবাস করছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে হলো পোশাক, বক্তৃতা এবং সামাজিক ও বাণিজ্যিক সম্পৃক্ততা, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের উপর মানসিক যন্ত্রণা এবং চাপ। মুসলিমরা প্রায়শই আরও আক্রমণের ভয়ে বাসবাস করছে, যার ফলে উদ্বেগ এবং চাপ বাড়ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভারতের ৭৯% মুসলমান কেবলমাত্র আরও সহিংসতাই নয়, সরকারি নিপীড়নেরও ভয় পায়৷ হিজাব পরিহিত নারীদের বিরুদ্ধেও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কর্ণাটক রাজ্যের একটি স্কুলে আনুষ্ঠানিকভাবে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং উপাসনালয়কে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যার ফলে ধ্বংস ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারগুলি চারটি রাজ্যে হিন্দু চরমপন্থীদের দ্বারা উস্কানি দেওয়া ফলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরে মুসলমানদের সম্পত্তিগুলিকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করা হয়েছে৷ এই ধ্বংসলীলাগুলি বিজেপি শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে ঘটেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা জাহাঙ্গীরপুরীতে দোকান ও বাড়িঘর বুলডোজ দিয়ে ধ্বংস করেছে৷
ভারতের ইতিহাসে কত গুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে? Communal violences history of India?
ভারতের শাহি মসজিদের জরিপ ঘিরে সংঘর্ষ; নিহত ৪ | India mosque clash |
Информация по комментариям в разработке