Скачать или смотреть সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ২০ গ্রাম প্লাবিত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ২০ গ্রাম প্লাবিত
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার পাইলগাঁও ইউনিয়নের অলইতলী গ্রামের সড়ক ভেঙে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করছে নদী তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে। এছাড়াও কুশিয়ারা তীরবর্তী রানীগঞ্জ বাজারে হাঁটু সমান পানি বিরাজ করছে। জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর, খানপুর, আলীপুর, নতুন কসবা, কাতিয়া, পাইলগাঁও, আলাগদি, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার, কদরপাড়াসহ প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কুশিয়ারার তীরবর্তী এলাকায় গ্রামীণ সড়ক ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। কদরপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলম বলেন, কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পাওয়া রাস্তাঘাট ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সড়ক পানি উঠে গেছে। যাতায়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, নদীর পানিতে বাজারে এখন হাঁটু পানি। অনেকের দোকানেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ঈদের সময় নদীর পানি বাড়ায় ব্যবসায়ীদের প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নজমুদ্দিন বলেন, কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জগন্নাথপুর বেগমপুর সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে যাওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়কসহ অনেক বাড়িতে হাঁটু সমান পানি রয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি রয়েছে। তবে এখনও কোন পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। এদিকে সুনামগঞ্জে ধীরগতিতে বাড়ছে নদ-নদীর পানি । নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করায় ধীরগতিতে বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, রক্তি, যাদুকাটাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। তবে এতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ২৫ মিলিমিটার। ফলে শহরের ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে সুরমা নদীর পানি ৬ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টার নিচে। এদিকে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উজানে হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও জেলার হাওরগুলোতে পানি ধারণ ক্ষমতা থাকায় নদ-নদীর পানিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা নেই।


: https://newturn24.com/সুনামগঞ্জের-জগন...