Скачать или смотреть বরিশাল লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি |Barishal Lakutia Jamidar Bari | Travel Vlog # 6 | KB FILMS

#Barishal #Lakutia #Jamidar_Bari #Travel_Vlog #বরিশাল #লাকুটিয়া #জমিদার_বাড়ি

লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি (Lakutia Zamindar Bari) বরিশাল জেলা সদরের থেকে ৮ কি.মি. দূরে কাশিপুর ইউনিয়নের লাকুটিয়া গ্রামে অবস্থিত।
জমিদার বাড়ির মূল প্রবেশপথের বাঁ পাশেই শান বাঁধানো ঘাটলা বাঁধা সুন্দর একটি পুকুর। বাড়ির তিন ধারে ধানের জমি। বাড়ির কাছেই আমবাগান। বাগানটি গড়ে উঠেছে বিশাল এক দীঘির পাড়ে। একে সবাই রাণীর দিঘি বলে। এই দীঘিতে প্রতি বছর ফোটে পদ্মফুল। বরিশালের সবচেয়ে বেশি পদ্মফুল ফোটে এই দীঘিতেই।
১৭০০ সালে রুপচন্দ্র রায়ের পুত্র রাজতন্ত্র রায়ের হাত ধরে ইট পাথর আর সূড়কি গাথুনিতে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে ৪০০ বছরের পুরনো লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। এরপর ইট বিছানো হাঁটাপথ।
রূপচন্দ্র রায় ছিলেন এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। এই জমিদার পরিবারের সদস্যদের অবদানে বরিশালে নির্মিত হয়েছে রাজচন্দ্র কলেজ ও পুষ্পরানী বিদ্যালয়। তাঁর পৌত্র রাজচন্দ্র রায়ের সময়ে এর প্রতিপত্তি বাড়ে। তিনিই মূল জমিদার বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। তাঁর বসানো হাটকেই সবাই বলে বাবুরহাট। তিনি প্রজাদরদি ছিলেন। লাকুটিয়া থেকে বরিশাল অবধি রাস্তা তাঁর আমলেই তৈরি হয়েছিল। তাঁর দুই পুত্র রাখালচন্দ্র রায় ও প্যারীলাল রায় ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী ছিলেন।
লাকুটিয়া জমিদারদের সব থেকে সুন্দর স্থাপনা হলো মন্দিরগুলো। এগুলোর বেশির ভাগই আটচালা দেউলরীতিতে তৈরি। শিখররীতির মন্দিরও। পাঁচটা মন্দির এখনো বলতে গেলে অক্ষতই আছে। সবচেয়ে উঁচু মন্দিরের শিলালিপি থেকে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী পংকজকুমার রায়চৌধুরী তাঁর স্বর্গত পিতা সুরেন্দ্রকুমার রায়চৌধুরী এবং মাতা পুষ্পরাণী রায়চৌধুরীর পুণ্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করেছেন।
জানা যায়, উনিশ শতকেও জমিদার রাজচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়িটি এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কিন্তু কালের আবর্তে আজ সবই শুধুই স্মৃতি। বর্তমানে লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে আছে। জমিদার বাড়ির প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত দ্বিতল প্রাসাধ ছাড়া লাকুটিয়া জমিদার বাড়ির অন্য সব স্থাপনার মধ্যে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

Like My Page:   / kbfilms13