আহা, এই যে সব খবর! দেশটা এখন যেন একটা রোলার কোস্টারে চড়েছে—উঠা-নামা, ঘুরপাক, আর হঠাৎ করে ঝাঁকুনি! এক একটা খবর শুনলে মাথা ঘুরে যায়, ভাবি—এই দেশটা শেষ পর্যন্ত কোথায় যাচ্ছে?
*প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে কর!* আইএমএফ সাহেবরা যেন দেশের অর্থনীতির ডাক্তার হয়ে বসেছেন, কিন্তু ওষুধটা এমন দিচ্ছেন যে, রোগী মরে যাওয়ার উপক্রম! প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠানোর জন্য ২.৫% ইনসেন্টিভ পান, আর এখন সেখানে কর চাপানো হবে? ভাই, এটা তো এমনই হয়ে গেল—আমি তোমাকে বাড়িতে আসতে বললাম, আর তুমি এসে দেখলাম তোমার থেকে ভাড়া নিচ্ছি! প্রবাসীরা তো আর টাকা পাঠাবেন না, হুন্ডিতে চলে যাবেন। শেষ পর্যন্ত লস দেশেরই!
*সার উৎপাদনে গ্যাসের দাম ১৫০% বৃদ্ধি!* পেট্রোবাংলা সাহেবরা যেন কৃষকদের গলায় দড়ি দিতে চান! সার উৎপাদনের খরচ বাড়লে সারের দাম তো বাড়বেই, আর সেই দামটা গিয়ে পড়বে কৃষকের ঘাড়ে। সরকার বলছে ভর্তুকি দেবে, কিন্তু ভর্তুকি কবে আসবে, কত আসবে—সেটাই তো প্রশ্ন! কৃষকরা তো এখনই হাঁফিয়ে উঠেছেন, এরপর যদি সারের দাম বেড়ে যায়, তাহলে ধান-চালের দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আমাদের মতো সাধারণ মানুষের তো তখন চুলো জ্বালানোই মুশকিল হয়ে যাবে!
*পি অ্যান্ড জি চলে যাচ্ছে!* ৩০ বছর ধরে দেশে ছিল, এখন হঠাৎ করে বিদায় নিচ্ছে! বলছে গ্লোবাল রিস্ট্রাকচারিং, অপারেটিং কন্ডিশন খারাপ—মানে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ তাদের পছন্দ হয়নি। কিন্তু এটা তো শুধু পি অ্যান্ড জির কথা নয়, এর মানে হলো আরো অনেক কোম্পানি চলে যেতে পারে। বেকারত্ব বাড়বে, অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে। সরকারকে তো এখনই ভাবতে হবে—কীভাবে ব্যবসায়িক পরিবেশকে বিনিয়োগবান্ধব করা যায়!
*গণভোট নিয়ে গতিরোধ!* সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিলেন, কিন্তু কবে হবে, কীভাবে হবে—এই নিয়ে শুরু হয়ে গেল টানাটানি! রাজনীতি মানেই তো এখন গোলমেলে খেলা! গণভোট যদি না হয়, তাহলে তো দেশের মানুষের মতামতের কোনো মূল্য থাকে না। আর যদি হয়, তাহলে সবাইকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—রাজনৈতিক দলগুলো কি সত্যিই দেশের স্বার্থে ভাবতে পারবে, নাকি শুধু নিজেদের স্বার্থেই ব্যস্ত থাকবে?
*ভারত বলছে নির্বাচন সময়মতো হোক!* ভারতের এই বক্তব্য কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা চায় নির্বাচন সময়মতো হোক, এবং যেই সরকার জনগণ নির্বাচন করবে, তাদের সঙ্গেই তারা কাজ করবে। কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে তো সবসময়ই বিতর্ক থাকে! নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে তো জনগণের আস্থা হারাবে। সরকারের উচিত এখনই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।
*চীনের যুদ্ধবিমান কেনা!* ২০২৭ সালের মধ্যে ২০টি জে-১০সিই যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা! ২.২ বিলিয়ন ডলারের ডিল! দেশের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করা দরকার, কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই টাকা কোথা থেকে আসবে? আমাদের তো এখনও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি খাতে টাকার অভাব! যুদ্ধবিমান কেনা জরুরি, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি সেবাগুলোও তো উপেক্ষা করা যাবে না!
*সরকারি সেবায় দুর্নীতি!* ঘুষ ছাড়া কিছুই হয় না! সরকার দুর্নীতি বন্ধের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তো কিছুই হয় না। সাধারণ মানুষ তো হাসপাতালে, থানায়, অফিসে গেলে ঘুষ দিতে বাধ্য হন। দুর্নীতি বন্ধ না হলে দেশের উন্নতি কীভাবে হবে? সরকারকে তো এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে!
*ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি যন্ত্রের সংকট!* দেশে মাত্র ১২টা রেডিওথেরাপি যন্ত্র, যেখানে দরকার ১৭০টা! ক্যান্সার রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না, মারা যাচ্ছেন অকালে! সরকারের উচিত এখনই এই সংকট মোকাবিলা করা। মানুষের জীবন তো মূল্যবান!
---
এই যে সব খবর, শুনলে তো মাথা ধরে যায়! দেশটা কোথায় যাচ্ছে, কে জানে! কিন্তু আমরা তো সাধারণ মানুষ, আমাদের তো ভাবতে হবে—আমরা কী করতে পারি এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য? অন্তত নিজের জায়গা থেকে সচেতন থাকা, মতামত দেওয়া, আর সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য চাপ দেওয়া—এটুকু তো আমরা পারি! তাই না?
Информация по комментариям в разработке