Скачать или смотреть KALUSHAH FOKIRER SUFI GAAN / কালুশাহ ফকিরের আধ্যাত্মিক গান / দরবারীগান BAUL GAN / G M Azhar Gallery.

পরিচালনায় : কন্ঠ শিল্পী ও মিউজিক ডিরেক্টর: জি এম আজহার
Music Composition : G M Azhar
Description Tags:
#কালুশাহ_ফকিরের_আধ্যাত্মিক_গান
#KALUSHAH_FOKIRER_SUFI_GAN
#DORBARI_GAN
#Bangla_Sad_song
#new_song
#Bangla_song
#hitsong
#DJ_song
#folk_song
#baul_gan
#bicced_gan
#vandari_gan
#fokiri_gan
#hindi_song
#hindi_folk_song
#hindi_hit_song
#hindi_new_song
#ভারতী_বাংলাগান
#ভারতী_নতুনগান
#G_M_Azhar_Gallery
#জনপ্রিয়_গান
#জনপ্রিয়_রবীন্দ্রসঙ্গীত
#জনপ্রিয়_ফোকগান
#জনপ্রিয়_নজরুলসঙ্গীত
#জনপ্রিয়_লোকগান
#জনপ্রিয়_ আধুনিক_গান
#জনপ্রিয়_ভাওয়াইয়া_গান
#জনপ্রিয়_আঞ্চলিক_গান
#জনপ্রিয়_পল্লিগীতি
#জনপ্রিয়_শিল্পীদের_গান
#Kala_kala_song
#American_song
#Indian_new_song
#china_song
#Pahari_gan
#Arabiyan_song
#soiudiyan_song
#Pakistani_song
#Ekuser_gan
#Boisakher_gan
#bosonter_gan
#asomoyer_Populer_song
#best_of_populer_song
#best_of_populer_Hindisong
#best_of_populer_Bangla_gan
#robithakurer_gan
#best_of_Robindranath
#best_of_populer_gojol
#best_of_Islami_gan
#matir_gan
#pran_juranu_gan
#Anonderr_gan
#sad_gan
#biroher_gaan
#koster_gan
#Dukher_gan
#miloner_gan
#Prener_gan
#nisi_rater_gan
#aka_sunar_gan
#mon_valo_korar_gan

ঈশ্বর প্রেমে প্রেমিক হয়ে অনেক মানুষ সন্যাসী হয়ে ঈশ্বরকে খুঁজে ফেরে। এমনই এক অাধ্যাত্বিক সিদ্ধি পুরুষ সৈয়দ কালু শাহ ফকির। তিনি ১৮০৯ কিংবা ১৮১০ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন পাবনা জেলা বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন এই মহান সাধক কালু শাহ ফকির। অাধ্যাত্বিক সিদ্ধি পুরুষ সৈয়দ কালু শাহ ফকিরের পিতার নাম ছিল নিতাই ব্যাপারী আর মাতার মা নুরজাহান বেগম।
জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল অছিমদ্দিন।গায়ের রং কালো থাকার কারণে শিশুকালে মা তাকে আদর করে কালু বলে ডাকতেন। আর এই কালুই হল মহান সাধক সৈয়দ কালু শাহ ফকির।

পিতা নিতাই ব্যাপারী ছিলেন এক জন ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যবসা-বানিজ্যের কারণে প্রায়ই কালিগঞ্জ ছেড়ে দুর- দূরান্তে যেতে হতো তাকে। কালু শাহ ফকিরের বয়স যখন ১০ বছর সেই সময় নিতাই ব্যাপারী সস্ত্রীক বেড়াতে আসেন শ্বশুরালয়ে। অর্থাৎ তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ মহকু্মার সাটুরিয়ার উত্তর কাওন্নারা গ্রামে। সঙ্গে ছিলেন বালক কালু শাহ এবং তার বোন শাবানী। স্ত্রী পুত্র কন্যাকে রেখে নিতাই ব্যাপারী ব্যবসার কাজে বাড়ী থেকে বের হন। এর পর তিনি ফিরে এসে ছিলেন কিনা তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে তখন থেকেই কালু শাহ ফকির তার মায়ের সঙ্গে উত্তর কাওন্নারা গ্রামে মামার বাড়ীতেই থাকতেন।
অল্প কয়েকদিনের মধ্যে আধ্যাত্বিককতার চিন্তা তার মনের মধ্যে কাজ করতে শুরু করে। গভীর রাত পর্যন্ত মহান আল্লাহতালার সৃষ্টি রহস্য নিয়ে চিন্তা ও সাধনা করতেন। সাধনার এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারলেন, অাধ্যাত্বিকতার সাধনার জন্য একজন পথ প্রদর্শক পীরের প্রয়োজন এবং সেই থেকে তিনি একজন কামেল পীরের খোঁজ করতে লাগলেন। এক সময় তিনি পীরের সন্ধ্যান পান, আর তিনি হচ্ছেন হযরত সৈয়দ শাহ আতাউর রহমান আল কাদেরী। এক সময় সৈয়দ শাহ আতাউর রহমান ঢাকাতে আসেন এবং স্বপ্নে পাওয়া আদেশ অনুসারে ধামরাইতে হাজী-গাজী-পীর এর মাজারে আসন স্থাপন করেন। বর্তমানে সৈয়দ আতাউর রহমানের মাজার ধামরাইয়ে হাজী-গাজী মাজারের পার্শ্বে অবস্থিত। এখানে তিনি সৈয়দ শাহ নামেই পরিচিত । কালু শাহ ফকির তার মুরীদ হন। পীর সাহেব কালু শাহ ফকিরকে দেখে তার রুহানী শক্তি এবং চিন্তা ধারা সম্পর্কে বুঝতে পেরে ছিলেন এবং কালু শাহ ফকির ও একজন কামেল সিদ্ধ পুরুষকে পীর হিসাবে পেয়ে আধ্যাত্বিকতার পথের অনেকখানি এগিয়ে গেলেন।

সারা রাত জেগে জেগে সাধনা করতেন। কখনো তিনি গভীর পানির নিচে দীর্ঘ সময় চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকতেন। কখনো কয়েক দিন এক টানা ক্ষুধা তৃষ্ণা এবং ঘুম ভুলে গিয়ে সৃষ্টি রহস্যের চিন্তায় ডুবে যেতেন। এমনকি তিনি ৪১ দিন মাটির নিচে কবরের মধ্যে থেকেও সাধনা করেছেন। পীরের নির্দেশের একাধিক্রমে গভীর জঙ্গলে ৭ দিন সাধনা করে ছিলেন। সাধনায় তিনি দিব্য দৃষ্টি লাভ করে ছিলেন এবং কয়েক মাইল দুরে কোথায় কি ঘটছে, তিনি অবিকল বলে দিতে পারতেন। সাটুরিয়া বাজার সংলগ্ন নদী পারের আস্ততানায় তিনি বসতেন সেই স্থানটি এখনো সংরক্ষিত রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে অগনিত ভক্ত এসে তাকে ঘিরে থাকতো। তিনি সবাইকে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তি এবং শান্তির পথ নির্দেশ করতেন।
অধিকাংশ সময়ে তিনি গানের মাধ্যমে ভক্তদের প্রয়োজনীয় উপদেশ ও পরামর্শ দিতেন। এই গান গুলিই আজও হাজার হাজার ভক্ত, ফকির , বাউলের মুখে মুখে ফিরছে। নিরিক দর্শন, মারিফত, দেহতত্ব এবং ঈশ্বর প্রেম বিষয়ক দু হাজারের ও বেশী গান সারা দেশে ছড়িয়ে আছে তার অগনিত ভক্তদের মাঝে।

সৈয়দ কালু শাহ ফকির ১৯০৫ ইং সালে ( বাংলা ১১ ই অগ্রহায়ণ, ১৩১২ সাল ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলে সাটুরিয়ার এই উত্তর কাওন্নারা গ্রামেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
মানিকগঞ্জ বাউল জগতের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব। সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা গ্রামে তাঁর মাজার অবস্থিত।সাধক কালুশাহ মারফতী, মুরশিদী, দেহতত্ত্ব প্রভৃতি বিষয়ক গান রচনা করে নিজে গাইতেন। তাঁর গান বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য ভক্তের কন্ঠে এখনো গীত হয়। রেডিও এবং টেলিভিশনে কালুশাহ-র গান প্রচারিত হয়। কালুশাহ একাডেমী ও কালাশাহ শিল্পীগোষ্ঠী তাঁর গান সংরক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।কালুশাহ-র মাজারে প্রতিবছর মাঘ মাসের চাঁদের ১০ ও ১১ তারিখে ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ভক্ত এবং দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের সমাগম ঘটে। কালুশাহ একাডেমী ও কালুশাহ শিল্পীগোষ্ঠীবাউল সাধক কালুশাহ(১৮১০-১৯০৬)-র নামে প্রতিষ্ঠিত কালুশাহ একাডেমীর প্রধান কার্যালয় ঢাকা শহরে অবস্থিত। মানিকগঞ্জ একাডেমীর দুটি শাখা কার্যালয় রয়েছে। একটি সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা গ্রামে অপরটির জেলা শহরের উপকন্ঠে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশে।
কিভাবে যাওয়া যায়: মানিকগঞ্জ হতে বাসযোগে এবং সিএনজিতে।