Скачать или смотреть মাএ ১১৫০ টাকায় দেখে আসুন নেপালের কাঞ্চনজঙ্ঘা | বাংলাদেশের তেতুলিয়া পঞ্চগড় থেকে

মাএ ১১৫০ টাকায় দেখে আসুন নেপালের কাঞ্চনজঙ্ঘা | বাংলাদেশের তেতুলিয়া পঞ্চগড় থেকে

এই ভিডিও তৈরি করতে আমি যা যা ব্যবহার করেছিঃ
Drone: Dji Mavic Mini
Gimbel : Ismo Mobile 3
Camera: Redmi K20 Pro/Canon 700D


ফেসবুকে ও ইউটিউবে পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় এ নিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখে পাগল হয়ে যাই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে।
কোনো কিছু না ভেবে ৩ জন মিলে সিদ্ধান্ত নেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচু শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাবো।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়েস্টেশন থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিনি।

আমাদের গন্তব্য ঢাকা থেকে পন্ঝগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত।

সেখান থেকে আমরা বাসে চলে যাবো তেতুলিয়া ডাকবাংলোতে।

মনিটরে দেখে নিলাম আমাদের ট্রেন কতো নাম্বার প্লাটফর্মে এসে দাড়াবে এবং রাত কয়টার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে।

আমাদের ট্রেনটি রাত ১০ টা ৪৫ এ ছাড়ার কথা থাকলেও, কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটি এসে পৌঁছে রাত ১২ টার দিকে।

এতক্ষণ আমরা এতিমের মতো বসে ছিলাম।
তারপর আমাদের ট্রেন ছাড়লো রাত ১ টার দিকে।

ভয় হচ্ছিলো,
কারন কিছু লোক বলতেছিলো ট্রেনটি পঞ্চগড় পৌঁছাতে বিকাল ৪ টা বেজে যেতে পারে।

যাই হোক,
মন যে মানছে না কখন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখবো।

সকাল হয়ে এলো
যাএা পথে কিছুক্ষন বিরতিতে আমরা খেয়ে নিলাম খেজুরের রস, এটা সম্ভবত পীরজগন্জ রেলওয়েস্টেশনে।

তার পর আবার যাএা শুরু
যেতে যেতে মাঠ ঘাট আর কর্ম ব্যস্ত মানুষগুলোকে দেখে যেনো মনটা ভরে গেলো।

আমি এত সকালের দৃশ্য এবছর দেখিনি, তাই জানালা দিয়ে অপলোক চেয়ে রইলাম।

দিনটি ছিল সোমবার ১৩ জানুয়ারি তারিখ ২০২০।

ট্রেনের এমন দৃশ্য আমি নিজ চোখে আর কখনো দেখিনি।

দীর্ঘ ৯ ঘন্টা জার্নি করে।
অবশেষে আমরা চলে এলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে।

এটা রেলস্টেশনের পিছন দিক।

আশেপাশের মানুষ জিগ্যেস করে একটা ভ্যান নিয়ে রওনা হলাম পঞ্চগড় বাজারের উদ্দেশ্যে।

সেখান থেকে আমরা বাসে উঠবো।

বাজারে আসতে সময় লাগলো ১৫ মিনিট।

তাড়াতাড়ি বাসে উঠে পড়লাম
২০ টাকা ভাড়ায় আমাদের নিয়ে যাবে তেতুলিয়া বাজারে।

আমাদের বাসটি চলতে লাগলো।

৪০ মিনিট সময় লাগলো তেতুলিয়া বাজারে আসতে।

বাস থেকে নেমেই আমরা খাবার হোটেল খুজতে শুরু করলাম,

অনেক ক্ষুদা লাগছে না খেয়ে এক পা ও হাটতে পারবো না।

আমরা বসে পরলাম হোটেল শাপলাতে।

খাওয়া শেষ করে একটি ভ্যান নিয়ে রওনা হলাম তেতুলিয়া ডাকবাংলোর উদ্দেশ্যে যেতে সময় লাগবে ৫ মিনিট। ভাড়া জন প্রতি ৫ টাকা

সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে হবে।

যেখানে দাড়িয়ে পর্যটকরা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে হাটতে হাটতে চলে এলাম সেই জায়গায়।

হায় হায় এ কি হলো, জানুয়ারিতে নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না।

আমরা খোজ না নিয়েই চলে এসেছি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে।

মনটা ভিষণ খারাপ হয়ে গেলো।

যাই হোক কিছু করার নেই এই বছর নভেম্বরে আবার আসবো, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতেই হবে।

এলাকার লোকজন বললো সন্ধ্যায় নাকি একটু একটু দেখা যায়। সেই আসায় বসে রইলাম।
অবশ্য সন্ধায় একটা কালো পাহাড়ের মতো একটু একটু দেখা গিয়েছিল এটা দেখেই এবারের মত শান্তি পেলাম।

ভিডিওতে দেখতে পাচ্ছেন কি না জানি না কিন্তু খালি চোখে একটু একটু দেখতো পাচ্ছি।

যাই হোক কেউ জানুয়ারি তে আসবেন না, নভেম্বর মাস জুড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়, আসার আগে অবশ্যই খোজ নিয়ে আসবেন।

সেই দিন রাতেই তেতুলিয়া বাজার থেকে ৬০০ টাকা হানিফ বাসের টিকিট কেটে ঢাকা ফিরে আসি।

এই মাসে আবার যাবো তাই পরের ট্রাভেল ভিডিওটি পেতে চেনেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

Keywords,
Kanchanjangha nepal
কাঞ্চনজঙ্ঘা
তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়
পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়
বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা


Thanks For Watching This Video