Скачать или смотреть ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর | Bholaganj Sada Pathor | Tourist Attraction | Heaven of White Stones

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কি আসলেই সাদা? 🤔

সিলেটের ভোলাগঞ্জ ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এক আকর্ষণীয় স্থান। এখানেই সাদা পাথর এলাকার অবস্থান। বাংলাদেশের এক অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান এটি। মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলটি স্থানীয় ও ভ্রমণকারীদের জন্য প্রিয় এক গন্তব্য!

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর অঞ্চলটি ধলাই নদের তীরে অবস্থিত। এখানকার সাদা রঙের পাথরগুলো পানির প্রবাহে শ্বেতশুভ্র রূপ ধারণ করে। তার মানে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর আসলেই সাদা 😄 তবে সাদা রঙের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রঙের পাথরের দেখা মেলে এখানে।

সর্বোপরি সাদা পাথরের বিস্তীর্ণ সমভূমি, নদের স্বচ্ছ পানি আর চারপাশের সবুজ পাহাড় যেন প্রকৃতির এক মহাকাব্যিক দৃশ্যের অবতারণা ঘটিয়েছে।

ভোলাগঞ্জ ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন? 🤔

ভোলাগঞ্জে যাবার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের যেকোনো সময় ঘুরে আসতে পারেন ভোলাগঞ্জ থেকে। বছরের অন্যান্য সময়ে পাথরের সৌন্দর্য থাকলেও নদের পানি প্রবাহ তুলনামূলক কম থাকে।

কীভাবে যাবেন? 🤔

সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। দেশের যেখান থেকেই ভোলাগঞ্জ যেতে চান আপনাকে প্রথমে সিলেট শহরে আসতে হবে। সিলেট থেকে বাস, সিএনজি, লেগুনা বা প্রাইভেট কারে যাওয়া যায় ভোলাগঞ্জ। বর্তমানে ভোলাগঞ্জ যাওয়ার রাস্তার অবস্থা বেশ ভালো।

বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে না হয় সিলেটে গেলেন এরপর সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ কীভাবে যাবেন? 🤔

খুবই সহজ। সিলেটের আম্বরখানা এবং মজুমদারী এলাকা থেকে ভোলাগঞ্জ যাবার বিআরটিসি, লোকাল ও টুরিস্ট বাস এবং সিএনজি পাওয়া যায়। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতি ২০ মিনিট পর পর এসব বাস চলাচল করে। জনপ্রতি ৮০ টাকা ভাড়ায় ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সাদাপাথর যেতে পারবেন। লোকাল সিএনজিতে জনপ্রতি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়ায় ভোলাগঞ্জ যেতে পারবেন। সিএনজি রিজার্ভ নিলে যাওয়া আসার ভাড়া লাগবে ১২০০-১৩০০ টাকা। এক সিএনজিতে ৫ জন বসা যায়। আম্বরখানা থেকে ভোলাগঞ্জ যেতে প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে।

ভোলাগঞ্জে নেমে নৌকাঘাট থেকে সাদাপাথর যাওয়া-আসাসহ নৌকা ভাড়া করতে খরচ হবে ৮০০ টাকা। প্রতি নৌকায় সর্বোচ্চ ৮ জন যেতে পারবেন।

আপনি যদি একা বা কম মানুষ নিয়ে ঘুরতে যান তাহলে অপেক্ষা করে খোঁজ করুন কেউ শেয়ার করে যেতে আগ্রহী হয় কি না। সেক্ষেত্রে ভাড়া শেয়ার করে দিলে খরচ কমে যাবে। সাদাপাথর এলাকায় গিয়ে যতক্ষণ ইচ্ছা সময় কাটাতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মাঝির সাথে কথা বলে মাঝির ফোন নম্বর নিয়ে নিতে হবে। আর শেয়ারে গেলে যাদের সাথে যাচ্ছেন তাদের ফোন নম্বরও নিয়ে রাখবেন।

ভোলাগঞ্জের কাছেই আরও দুটি পর্যটন স্থান উৎমাছড়া ও তুরংছড়া। অনেকেই সাদা পাথর ভ্রমণ করে উৎমাছড়া ও তুরংছড়া ঘুরতে যান। ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ঘুরে উৎমাছড়ায় যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে দয়ারবাজার, আপনি যে নৌকায় ভোলাগঞ্জ যাবেন সে নৌকার মাঝিকে বললেই তিনি দয়ারবাজার ঘাটে নামিয়ে দিবে। সেক্ষেত্রে অল্প কিছু টাকা বেশি দিতে হতে পারে। অথবা আগেই নৌকা ঠিক করার সময় বলে দিবেন।

আবার চাইলে একইদিনে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ও রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টও ভ্রমণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সিএনজি হিসাব করে নিলে যাতায়াতে কিছুটা সুবিধা হবে।

কোথায় খাবেন? 🤔

ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে ভালোমানের খাবার হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নেই। ভাত মাছ ও দেশীয় খাবার খাওয়ার মত খুবই সাধারণ মানের কিছু হোটেল আছে। ভোলাগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবার আগে সিলেট থেকে ভরপেট নাস্তা করে নিলে সারাদিন ঘুরে আবার সিলেটে ফিরে এসে রাতের খাবার খেতে পারবেন। তবে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেলেই ভরসা।

কোথায় থাকবেন? 🤔

ভোলাগঞ্জ বা কোম্পানীগঞ্জে থাকার মত খুব ভালৈ আবাসিক হোটেল নেই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে সাধারণ মানের নন-এসি আবাসিক হোটেল ও জেলা পরিষদের একটি ডাক বাংলো রয়েছে। তাই থাকার জন্য বেটার অপশন হচ্ছে সিলেট শহর।

আপনার ভ্রমণ হোক আনন্দময়!