Скачать или смотреть কুড়িগ্রাম জেলার নামকরণের ইতিহাস। ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস পর্ব-৩৮।কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য। Kurigram.

 জানা যায়, মহারাজা বিশ্ব সিংহ একসময় কুঁড়িটি জেলে পরিবারকে, উচ্চ শ্রেণীর হিন্দু রূপে স্বীকৃতি দিয়ে, এ অঞ্চলে প্রেরণ করেন। এই কুঁড়িটি পরিবারের আগমনের কাহিনী থেকে, কুড়িগ্রাম জেলার নামকরন হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।
 বিলু কবীরের লেখা, 'বাংলাদেশের জেলা নামকরণের ইতিহাস' বই থেকে জানা যায়, এখানে কুড়িটি মেচ্ তৈলজীবী পরিবারের বসতি ছিল বলে, এ অঞ্চলের নামকরণ কুড়িগ্রাম হয়েছে।
 অন্য আরেকটি জনশ্রুতি হল: এ রঙ্গপুর অঞ্চলে একদা কুচবিহার রাজ্যের বাসিন্দা, সুবিধাবঞ্চিত নিচু শ্রেণীর হিন্দু কোচদের, কুড়িটি পরিবারকে কুচবিহার থেকে এ এলাকায় বসতি স্থাপনের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। এরা ছিল তিওড় গোষ্ঠীবিশেষ। মাছ ধরে বিক্রি করা ছিল এদের পেশা। কুচবিহারের বাসিন্দাদের বলা হয় কোচ। ঐ কুড়িটি কোচ পরিবারের কারণে 'কুড়িগ্রাম' নামকরণ হয়েছে।
 আবার কারো কারো মতে- এই রঙ্গপুরের রাজার অবকাশ যাপনের স্থান ছিল কুড়িগ্রাম। প্রচুর বন-জঙ্গল ও ফলমূলে পরিপূর্ণ ছিল এই এলাকা। তাই ফুলের কুঁড়ি থেকে এ এলাকার নাম হয়েছে কুড়িগ্রাম।
 আবার এমনও জনশ্রুতি আছে যে, এই গ্রামে কুরি নামক একটি হিন্দু আদিবাসী বা নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করত। ঐ কুরি নামক হিন্দু আদিবাসী থেকে অঞ্চলটির নাম হয় 'কুড়িগ্রাম'। আজঅবধি এখানে 'কুরি' নামক আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস লক্ষ্য করা যায়।
 অন্য এক ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, অনার্যদের গননার পদ্ধতি কুড়ি থেকে, এলাকাটির নাম কুড়িগাঁও হয়েছে এরপর হয়েছে কুড়িগঞ্জ এবং পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম হয়েছে। এই কুড়িগ্রাম থেকেই জেলাটির নামকরণ হয়েছেূ বলে ধারণা করা হয়।
 বিশিষ্ট পণ্ডিত জা পলিলুস্কি প্রমাণ করেছেন, গণনার এ পদ্ধতি বাংলায় এসেছে কোল ভাষা থেকে। কোল অস্ট্রিক ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত। আরব অস্ট্রিক ভাষায় কুর বা কোর ধাতুর অর্থ হলো মানুষ। কুড়ি হিসেবে গোননার পদ্ধতিটিও এসেছে মানুষ থেকেই।
 আবার বিভিন্ন পন্ডিতদের মতে, প্রত্ন প্রস্তর যুগে এ অঞ্চলে বাস করত নিগ্রো জাতি। এরপর আসে নব্য প্রস্তর যুগ। আসামের উপত্যকা অতিক্রম করে আসে অস্ট্রিক জাতীয় জনগোষ্ঠী। তারপরে আসে দ্রাবিড় ও মঙ্গোলীয়রা। এদের মিলিত স্রোতে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় মানবসভ্যতার সূচনা হয়। এরাই লাঙ্গল দিয়ে চাষের প্রবর্তন করেছে। নদ-নদীতে ডিঙি বেয়েছে, খেয়েছে শুঁটকি, খেয়েছে বেগুন, লাউ, কলা, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা ইত্যাদি। করেছে পশু পালন, এঁকেছে কপালে সিঁন্দুর, করেছে রেশম চাষ। এবং করেছে তামা, ব্রোঞ্জ ও সোনার ব্যবহার। এরাই কুড়ি হিসেবে গোনার পদ্ধতি করেছে চালু।
 কুড়িগ্রাম জেলার আদি নাম ছিল কুড়িগঞ্জ। ১৯৮৪ সালে কুড়িগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে কুড়িগ্রাম করা হয়। কারণ ১৭৭৫ সাল থেকে কুড়িগ্রামের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল এর ফলে জেলাটি আর বিশটি গ্রামে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাই জেলাটির পরিবর্তিত জনসংখ্যার প্রতিফলন করার জন্যই জেলাটির নাম পরিবর্তন করা হয়। স্যার উইলিয়াম হান্টার তাঁর Gazetter of the Rangpur District-এ কুড়িগ্রাম-কে কুড়িগঞ্জ বলেছেন। ১৮০৯ সালে ডঃ বুকালন হ্যামিলটন তাঁর বিবরণীতে বলেছেন-Kuriganj of which the market place is called Balabari in a place of considerable trade (martins Eastern India)।
 এবং মিঃ ভাস তাঁর রংপুরের বিবরণীতেও এ অঞ্চলকে কুড়িগঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন।
 ১৮৭৫ সালের ২২ এপ্রিল কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী এই ৮টি থানা নিয়ে কুড়িগ্রাম মহকুমার জন্ম হয়। এরপর ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গেজেটের কপি সংযুক্ত ৯টি উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় উন্নীত হয়।
#History & Traditions#History#Traditions & History#Traditions#হিস্টোরি এন্ড ট্রেডিশন্স#হিস্টোরি#ট্রেডিশন্স এন্ড হিস্টোরি#ট্রেডিশন্স#কুড়িগ্রাম জেলার নামকরণের ইতিহাস#৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস পর্ব-৩৮# কুড়িগ্রাম নাম কিভবে হল?# কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য# কুড়িগ্রাম নামকরণের তথ্য#আমদের কুড়িগ্রাম #প্রানের কুড়িগ্রাম #প্রিয় কুড়িগ্রাম #জানুন কিভাবে কুড়িগ্রাম হল?#Naming history of Kurigram district# Information of Kurigram district#Beautiful Kurigram #Our Kurigram #Naming information Kurigram # Kurigram # Kurigram district#64 District naming history epi-38.