নতুনরূপে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র || আলুটিলা রহস্যময় গুহা || Khagrachari Alutila Guha || Khagrachori
#আলুটিলা
#Alutila
#খাগড়াছড়ি
#আলুটিলা_গুহা
#cktraveling
#ck_traveling
আলুটিলা গুহা
এই গুহাটি বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গুহা। গুহাটিকে আলুটিলা রহস্যময় গুহাও বলা হয়। স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কাছে এটি “মাতাই হাকর” বা ‘দেবতার গুহা’ নামে পরিচিত।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে একটি ঝুলন্ত সেতুও রয়েছে যা এখানকার অন্যতম আকর্ষণ, দুই পাহাড়কে যুক্ত করতে তৈরি করা হয়েছে ১৮৪ ফুট দীর্ঘ লোহার এই কেব্ল ব্রিজ।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির অন্যতম একটি দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র যা আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র নামে পরিচিত। ঐশ্বর্যময় সৌন্দর্য্যের অহঙ্কার খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ পথেই চোখে পড়বে খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পর্বত অন্যতম ব্যতিক্রমী পর্যটনকেন্দ্র। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মূল শহর হতে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে পার্শ্বে খাগড়াছড়ি শহরে যাওয়ার আগে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত হওয়ায় বাস, ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায় এই অনিন্দ্য সুন্দর পাহাড়-প্রকৃতিতে। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আপনাকে ৫০ টাকার টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে একটি ঝুলন্ত সেতুও রয়েছে। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ এখন ঝুলন্ত ব্রিজ, দুই পাহাড়কে যুক্ত করতে তৈরি করা হয়েছে ১৮৪ ফুট দীর্ঘ লোহার এই সেতু বা কেব্ল ব্রিজ। চীনের পর্যটনকেন্দ্র হেনান এবং হুনান প্রদেশে কাচের তৈরি একটি সেতু আছে, তারই আদলে ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সেতুতে রয়েছে কাচের বারান্দা। কাচের বারান্দা দিয়ে নিচে তাকালে পাহাড়ের অন্য রকম দৃশ্যের দেখা মেলে। মনে হবে, আপনি পাহাড়ের ওপর ভাসছেন। আলুটিলার চূড়ায় একটি নন্দনকানন ভিউ পয়েন্ট, রোমান কোলোসিয়ামের আদলে মঞ্চ ও ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে, এখান থেকে সম্পূর্ণ খাগড়াছড়ি শহর দেখা যায় পাশাপাশি চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
সচেয়ে চমৎকার লাগবে পাহাড়ের সুন্দর বসার স্থানে বসে নিচের সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করা। টিলার চূড়ায় দাঁড়ালে শহরের ছোট-খাট ভবন, বৃক্ষ শোভিত পাহাড়, চেঙ্গী নদীর প্রবাহ ও আকাশের আল্পনা আপনার মনকে অপার্থিব মুগ্ধতায় ভরে তোলবে।
আলুটিলা পার্কের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে খাগড়াছড়িকে দেখে নৈসর্গের এ স্থানটিকে দার্জিলিংয়ের সাথে তুলনা করতে পারেন। । সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক একটি কবিতা লিখেছিলেন যা অনেকটা এ রকম-
‘‘ক্লান্ত পথিক ক্ষণেক বসিও আলুটিলার বটমূলে,
নয়ন ভরিয়া দেখিও মোরে চেঙ্গী নদীর কোলে।
প্রতিদিন শত শত পর্যটক এখানে বনভোজন করতে কিংবা অবসরে বেড়াতে আসেন। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এ স্থানে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পও আছে।
আলুটিলা গুহাটি যেখানে অবস্থিত, সেই এলাকার আদিনাম মহাজনপাড়া। মহাজনপাড়ার এই পাহাড়ে একসময় প্রচুর জংলি আলু পাওয়া যেত। আলুর আধিক্যের কারণে পাহাড়টির নামকরণ করা হয় আলুটিলা। প্রবীণ সেন ত্রিপুরা সে সময় মহাজনপাড়ার কার্বারি ও তার কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে ১৯২০ সালে প্রথম আলুটিলা গুহা আবিষ্কার করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন স্থানীয় লোকেরা আলু খেয়ে প্রাণ বাঁচান। তখন থেকেই এর নাম আলুটিলা হয়ে যায়।* গুহা।
পাহাড়ের পাদদেশে খুবই অন্ধকার ও শীতল গুহা। কোন প্রকার সূর্যের আলো প্রবেশ করে না বলে টর্চের আলো বা গুহার মুখে প্রবেশের আগে মশাল জ্বালিয়ে নিতে হয়, যা প্রবেশপথেই ২০ টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারবেন যে কেউ। এই গুহার ব্যাস ১৮ ফুট, ২৬৬টি সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের পাদদেশে নামার পর দেখা মেলে একটি বড় বটগাছ। এর পাশেই গুহার প্রবেশমুখ।
প্রায় ১৬০টি সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠেতে হয়। গুহাটি দেখতে অনেকটা ভূ-গর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ ফুট, গুহাটির উচ্চতা কিছু কিছু জায়গায় বেশ কমে যাওয়ায় সেই সব জায়গা মাথা নিচু করে, এমনকি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়। প্রবেশ করতেই তৈরি হয় গা ছমছম করা অনুভূতি। দেখা যায়, মানুষের অস্তিত্ব টের পেয়ে উড়ছে বাদুড়। গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। গুহার অভ্যন্তরে পাথর গুলো খুব পিচ্ছিল তাই ভালো গ্রিপের জুতা পরে যাওয়া উচিত হিমশীতল পাহাড়ি ঝরনার জলধারা আর পাথর মাড়িয়ে যেতে যেতে একসময় অন্ধকার শেষ হয়ে আসে। দেখা মেলে সবুজ গাছপালায় ঘেরা সুন্দর পাহাড়। রোমাঞ্চকর যাত্রার এমন অভিজ্ঞতা নেওয়া যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহায়। এটি মূলত আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এটি খাগড়াছড়ির একটি নামকরা পর্যটন কেন্দ্র। এই গুহা বা সুরঙ্গ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট প্রাচীন রহস্যময় এক গুহা। আর এর ইতিহাসটাও অদ্ভুত। অনেকে বলে থাকেন, কয়েক শ বছর আগে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল এই অঞ্চলে। সেখান থেকেই পাহাড়ের পাদদেশে এই গুহার সৃষ্টি।
গুহায় একটা রোমাঞ্চকর অভিযানের পর ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে একটা প্রশান্তির নিশ্বাস নিঃসন্দেহে সব ক্লান্তি দূর করে দেবে ।
প্রতিদিন রাজধানীর সায়েদাবাদ, কমলাপুর, গাবতলী, ফকিরাপুল, কলাবাগান ও টিটিপাড়া থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে হানিফ, শ্যামলী, সৌদিয়া, এস আলম, শান্তিসহ বিভিন্ন আরামদায়ক বাস ছাড়ে। এসব বাসযোগে খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। আর যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে নামতে হবে ফেনী। সেখান থেকে শান্তি, হিলকিং অথবা হিল বার্ড বাসে চড়ে খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়।
কোথায় খাবেন
ভ্রমণে সাথে অবশ্যই খাবার পানি রাখবেন। আর খাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর এবং বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে খেতে পারেন
খাগড়াছড়িতে বেড়াতে গেলে সেখানকার স্থানীয় খাবার চেখে দেখতে পারেন।
সিস্টেম রেস্তোরাঁ পানখাইয়াপাড়ায় পাহাড়ি খাবার পাওয়া যায়, যেমন- জুমের চালের ভাত, পাহাড়ি মুরগি, হাঁস ভুনা, শুঁটকি ভর্তা, পাচন, পাহাড়ি শাক, এবং ছোট মাছ।স্তোরা তে কফি, হাসের কালাভূনা, বাশকুড়ুল এবং ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি খাবার খেতে পারেন।
Информация по комментариям в разработке