আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
সুপ্রিয় ইলমের পথের দর্শক মন্ডলী।
আশা করি...আল্লাহ তাআলার...মেহেরবানীতে, আপনারা সকলেই ভালো আছেন।
সূরা আল ফাতিহা, কুরআনের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সূরা।
প্রথমত এ সূরা দ্বারাই, পবিত্র কুরআন শুরু হয়েছে, এবং এ সূরা দিয়েই, সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত সালাত শুরু হয়। কুরআন...অবতরণের দিক দিয়ে, ও পূর্ণাঙ্গ সূরা রূপে এটিই প্রথম নাজিল হয়। এজন্যই, এ সূরার নাম, ফাতিহাতুল কিতাব বলা হয়, এবং এই সূরাকে, সহি হাদিসে উম্মুল কোরআন, উম্মুল কিতাব, কোরআনে আজিম বলে ও, অবহিত করা হয়েছে। হযরত রাসূলে কারীম (সা:) ইরশাদ করেছেন যে, যার হাতে আমার জীবন, মরণ, আমি তার শপথ করে বলছি, সূরা আল ফাতিহার দৃষ্টান্ত, তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল প্রভূতি অন্য কোন আসমানী কিতাবতো নেই-ই, এমনকি পবিত্র কুরআনেও, এর দ্বিতীয় সূরা নেই। (বুখারী মেশকাত ২১৪২ নং হাদিস) এবং তাফসীরে বায়যাবী তে সূরা ফাতিহার ১৬ টি নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল, সূরাতুল শিফা।ইমাম তিরমিজি আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হুযুর (সা:) বলেছেন যে, সুরা ফাতেহা প্রত্যেক রোগের ঔষধ বিশেষ।এবং কুরআনুল কারীম মুমিনের জন্য, শেফা ও রহমতস্বরূপ স্বয়ং আল্লাহ তাআলাও বর্ণনা করেছেন। আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা মুমিনদের জন্য সুচিকিৎসা এবং রহমত। (সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ৮২) এবং হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) বর্ণনা করেন যে, একদা এক সফরে আমাদের এক সাথি, অন্য এক গোত্র প্রতিনিধি, যাকে সাপে কামড়ে ছিল। সূরা ফাতিহা পড়ে ফু দিলে, ওই গোত্রের তিনি সুস্থ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ। (বুখারী শরীফ ৫৪০৫ নং হাদিস) প্রিয় দর্শক আমরা জেনে নেই কিভাবে রাসূলুল্লাহ (সা:) এই সূরা পড়ে আমল করতেন। যে কোন রোগে রাসূল (সাঃ) এই সূরা পড়ে পানিতে ফু দিয়ে পান করতেন, অথবা ক্ষতস্থান ধৌত করতেন, অথবা বুকে ফুঁ দিতেন। সায়ীদ ইবনে ইয়াজিদ (রাঃ) এর উপর, রাসূলুল্লাহ (সা:) এই সূরা পড়ে দম করেন। এবং থুথু মোবারক তার মাথার ব্যথার স্থানে লাগিয়ে দেন। এবং সিয়া সিত্তার এক বর্ণনায় আছে, সাহাবায়ে কেরাম, সাপ, বিচ্ছু ধ্বংসনকৃত রোগী, মৃগী রোগী, ও পাগল রোগীর উপর সুরা ফাতেহা দম করতেন। এবং রাসূলুল্লাহ (সা:) এটাকে জায়েজ ও বলেছেন। এই সূরা পথ করে এক গ্লাস পানিতে ফু দিয়ে পান করলে, অথবা, শরীরে ফু দিলে তাহলে, পেটের ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে৷ ইনশাআল্লাহ।
যদি কেউ সূরা ফাতিহা ৭ বার পাঠ করে ফু দেয়, তাহলে তার দেহের সমস্ত রোগ ভালো হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ। যদি কেউ সুরা ফাতেহা পড়ে আল্লাহর কাছে যে রোগের জন্য দোয়া করবে আল্লাহ তাআলা তাকে সেই রোগ থেকে শিফা দান করবেন। ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সূরা ফাতেহা মুখস্ত করে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন!!!
Информация по комментариям в разработке