Скачать или смотреть লোকশিল্প জাদুঘর ও রাজবাড়ী, 📍সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ

সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্প জাদুঘর ও রাজবাড়ী বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক স্থান।
প্রতিষ্ঠাতা, নামকরণ এবং নির্মাণ
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবাড়ীটি মূলত ঈশা খাঁর আমলে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে যা লোকশিল্প জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, তার মূল প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন। বাংলাদেশের লোকশিল্প ও কারুশিল্প সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন।

নামকরণ: রাজবাড়ীটির নামকরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না, তবে এটি ঈশা খাঁর রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে জয়নুল আবেদীন একে লোকশিল্প সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করার উদ্যোগ নিলে এর নামকরণ হয় "বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন"। এটি সাধারণত "সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর" নামেই পরিচিত।

নির্মাণ কাজ: রাজবাড়ীর মূল অংশটি মুঘল আমলে ঈশা খাঁর দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, তবে এর সঠিক নির্মাণকাল জানা যায় না। তবে আধুনিক লোকশিল্প জাদুঘর হিসেবে এর নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ শুরু হয় ১৯৭৫ সালে।
রাজবাড়ীর ইতিহাস ও পূর্বপুরুষ
এই রাজবাড়ীর সঙ্গে মূলত ঈশা খাঁর নাম জড়িত। তিনি ছিলেন মুঘল আমলে বারো ভূঁইয়াদের একজন এবং ভাটি অঞ্চলের শাসক।

পূর্বপুরুষ: ঈশা খাঁর পূর্বপুরুষ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে তিনি আফগান বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং তার পিতা ছিলেন সুলাইমান খাঁ। সুলাইমান খাঁ দিল্লির সুলতান শের শাহ শুরীর অধীনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।

স্ত্রী ও সন্তান: ঈশা খাঁর একাধিক স্ত্রী ছিলেন, তবে তার সবচেয়ে পরিচিত স্ত্রী ছিলেন সোনাবিবি। তিনি মাসুম খাঁর কন্যা ছিলেন। তাদের পুত্র মুসা খাঁ বাবার মৃত্যুর পর মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং ভাটি অঞ্চলের শাসনভার গ্রহণ করেন। মুসা খাঁ ছাড়াও তার অন্য পুত্রদের নাম খুব বেশি জানা যায় না।

বর্তমানে এই স্থানটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র, যেখানে বাংলাদেশের প্রাচীন লোকশিল্প, কারুশিল্প এবং সংস্কৃতি প্রদর্শিত হয়।