Скачать или смотреть মানহানিকর মামলার বিষয়ে বাংলাদেশে মূল ধারার সকল সাথীদের পক্ষ থেকে ভাই ওয়াসিফুল ইসলাম সাহেব অবস্থান

Tabligh Jamat Bangladesh মালওয়ালী মসজিদ, কাকরাইল, রমনা, ঢাকা। Malwali Masjid, Kakrail, Ramna, Dhaka.

জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আজ ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে 'ঢাকা পোস্ট' নামে অনলাইন একটি পত্রিকাতে "শীর্ষস্থানীয় ১২ আলেমের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা" শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, "মো. যুবায়ের হোসেন নামে মাওলানা সাদের একজন অনুসারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।"

আমরা, নিজামুদ্দীন মার্কাজের অনুসারী 'তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ'-এর সাথীরা- যারা হজরত মাওলানা সা'দ সাহেবকে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে 'আমির' বলে মান্য করি, তাদের পক্ষ থেকে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী জানাচ্ছি যে, খবরে প্রকাশিত মামলাটির সাথে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মো. যুবায়ের হোসেন 'তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ'-এর মাশোয়ারা ছাড়াই এই কাজটি করেছেন। তিনি একজন প্রবাসী। প্রতীয়মান হয় যে, উল্লেখিত মামলাটি তাঁর ব্যক্তিগত আগ্রহে ও উদ্যোগে করা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করছি যে, আমি নিজ নাম ও দস্তখত ব্যবহার করে তাবলীগের উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করার লক্ষ্যে এবং পরস্পরের মধ্যে সাম্য, ঐক্য ও শান্তি বজায় থাকার জন্য ইতোমধ্যে ২টি 'খোলা চিঠি' লিখেছি, যা দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে (প্রিন্ট, টিভি ও অনলাইনে) প্রকাশিত হয়েছে।

১২ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে লেখা ১ম খোলা চিঠিতে লিখেছি যে, "আসুন: ... বিশ্ববরেণ্য উলামায়েকেরামের

মতামত গ্রহণ করে একসাথে আগেরমতো দাওয়াতের মেহনত করি। অথবা আপন আপন জায়গায় যার যার মতো করে দাওয়াতের মেহনত করি এবং একে অপরের দ্বীনের মেহনতে ও ইজতিমায় বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকি। প্রিয় মাওলানা (মাওলানা যোবায়ের), আপনি ফিরে আসুন, আপনার জন্য আমাদের দুয়ার উন্মুক্ত। আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি- আপনাকে আমরা নিজামুদ্দীনের হজরতগণের মাশোয়ারা অনুযায়ী আগের সেই সম্মান এবং মর্যাদায় অধিষ্ঠিত রাখবো।"

২৯ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখের ২য় খোলা চিঠিতে লিখেছি: "আমাদের মধ্যে চিন্তার ভিন্নতা বা ইখতিলাফ থাকতেই

পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আসুন, 'এক কালিমার বুনিয়াদে ভাই ভাই' হয়ে দাওয়াতের এই মুবারক ও আজিমুশ্শান মেহনতে জীবনের বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেই!"

হজরত মাওলানা সা'দ সাহেব উলামায়েকেরামের সম্মানে সবসময় বলেন, "উলামাকা জিয়ারত ইবাদত- ইয়াকিন সমঝো।" অর্থাৎ: উলামাদের জিয়ারত ইবাদত- এই বিষয়ে বিশ্বাস রাখো। আমরা মনে-প্রাণে এই কথাটি ধারণ করে এর উপর আ'মাল করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো ইনশা-আল্লাহ। উলামায়েকেরাম আমাদের সম্মানের পাত্র, মাথার তাজ।

এই 'জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তি'র মাধ্যমে আমরা বলতে চাই যে, মো. যুবায়ের হোসেনের মামলাটি করা ঠিক হয়নি। তাঁর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি ও আশা করছি যে, তিনি দ্রুততম সময়ে এই মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। আরও আশা করছি: তাবলীগের উভয় পক্ষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ রক্ষায় আমাদের সহযাত্রী হবেন তিনিও।

(সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম)

আহলে শুরা, তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ

কাকরাইল মসজিদ, রমনা, ঢাকা।

তারিখ: ২ ডিসেম্বর, ২০২৪।