Скачать или смотреть যুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল সন্দেশখালিতে? Sandeshkhali Weapon Recovery

সন্দেশখালিতে নামাতে হলো NSG অর্থাৎ দেশের সর্বোচ্চ অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনীকে। সেই NSG আবিষ্কার করলো অস্ত্র ভান্ডার সন্দেশখালির মাটির তলা থেকে। দেশি বিদেশী সমস্ত রকমের ভয়ানক ধরণের অস্ত্র এবং বিস্ফোরক। এসব এখন পুরোনো খবর। রাজ্য বাসি এগুলো জানে।

আমরা জানতে পারছি, যে ধরণের রোবটের সাহায্যে সন্দেশখালির অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার করতে হয়েছে, সেই রোবট এর আগে একমাত্র কাশ্মীর ছাড়া আর কোথাও কাজ করে নি। অর্থাৎ এতো ভয়াল ভয়ঙ্কর অবস্থা কাশ্মীর ছাড়া ভারতের আর কোথাও তৈরী হয় নি সেটা সহজেই বলা যায়। তাহলে বুঝুন, কলকাতা ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কি পরিস্থিতি ছিল? অথচ কেউ কিছু জানতোই না !!!

সন্দেশখালি বেতাজ বাদশা শেখ শাজাহান গ্রেফতারের আগে অবধি তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। তার সদস্যপদ যাওয়ার পরেই তিনি গ্রেফতার হন। ED যখন তার বাড়িতে তল্লাশিতে যায়, তখন ED আধিকারিকদের মারধর করে সেই তল্লাশি করতে দেওয়া হয় নি। সন্দেহটা তখন থেকেই ছিল যে এমন কিছু বাড়িতে আছে যেটা লুহতেই এই প্রবল বাধা দেওয়া।

যাই হোক, মূল প্রসঙ্গ হচ্ছে এতো অস্ত্র সস্ত্র মজুত করার কারণ কি বা সম্ভাব্য কারণ কি কি হতে পারে? বলা ভালো ভোট লুট, এলাকা দখল বা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করা বা বাড়ির মেয়ে বৌদের রাতে ডেকে পিঠে করানোর জন্য এই ধরণের অত্যাধুনিক অস্ত্র সস্ত্র দরকার পরে না। তাহলে কি কারণ থাকতে পারে? বিভিন্ন মিডিয়ার খবর বিশ্লেষণ করে যে সম্ভাব্য কারণ গুলো আমাদের সামনে আসছে

প্রথমতঃ, শেখ শাজাহান ও তার দল বল আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। মানব পাচারের অভিযোগ ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে আছে।
দ্বিতীয়ত, রাজ্যের মধ্যে নানান জায়গায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য অস্ত্রে মূল যোগানদার হিসেবে কাজ করতো শেখ শাজাহান। অর্থাৎ রাজ্যে সন্ত্রাসবাদীদের অস্ত্রের ডিস্ট্রিবিউটর ছিল শাজাহান।
তৃতীয়ত, মনে রাখতে হবে বেঙ্গালুরু রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের তিন অভিযুক্ত নিশ্চিন্তে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল। আমাদের তখনকার প্রতিবেদন দেখলে দেখবেন যে আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম যে সব রাজ্য ছেড়ে এতো নিশ্চিন্তে এরা পশ্চিম বঙ্গে এলো কেন? শুধু এলো তাই নয়, দিঘার সমুদ্রে ঢেউয়ের তালে তালে চানও করলো। এখানে এসে এরা নিজেদের এতো নিরাপদ মনে করার কারণ কি? সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধার সেই প্রশ্নই আবার খুঁচিয়ে তুলছে। তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গ সন্ত্রাসীদের রিসোর্টে পরিণত হয়েছে?
চতুর্থতঃ, এতো বিপুল ভয়ানক অস্ত্র সস্ত্র জমা করার পেছনে কি বড়ো কোনো পরিকল্পনা ছিল? সেই পরিকল্পনা, যা কাশ্মীরের একদা পরিস্থিতির থেকে কোনো অংশে কম নয়?
পঞ্চমত, এখানে কি রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কর্মকান্ড এদের পরিকল্পনায় ছিল? নাকি এখানেই কোনো massive terrorism activity র পরিকল্পনা ছিল?

তদন্ত চলছে। আমরাও আছি, খবর থেকে প্রশ্ন তোলার জন্য। আমাদের অনুসন্ধান চালানোর জন্য। তবে শেষের আগে শেষ প্রশ্ন যে মনে আসছে, ধরে নেওয়া যাক এই অস্ত্র বর্ডার টপকে বাংলাদেশ থেকে অথবা অন্য কোনো পথে সন্দেশখালি এসেছে। তাহলে BSF আর কেন্দ্র সরকারের অধীনে যেসমস্ত গোয়েন্দা দপ্তর আছে তারা বসে বসে কি করছিলো? এতো বৃহৎ অবস্থা তৈরী হলো অথচ তারা জানতেই পারলো না, এমন কথা? ভাবার আছে।