পেইজ লিংকঃ / spondon.xyz
গ্রুপ লিংকঃ / spondon.xyz
জামদানি হল কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের পরিধেয় বস্ত্র যার তৈরীর পদ্ধতি অনন্য। জামদানী বুননকালে তৃতীয় একটি সুতা দিয়ে নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। মসলিন বুননে ন্যূনপক্ষে ৩০০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার করা হয়, তেমনি জামদানির বুননে সাধারণত ৭০-৮০ কাউন্টের সূতা ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে জামদানী নানা স্থানে তৈরী হলেও ঢাকাকে জামদানির আদি জন্মস্থান বলা হয়।
জামদানির নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে। ‘জামদানি’ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। ফারসি জামা অর্থ কাপড় এবং দানা অর্থ বুটি, সে অর্থে জামদানি অর্থ বুটিদার কাপড়। একারণে মনে করা হয় মুসলমানেরাই ভারত উপমহাদেশে জামদানির প্রচলন ও বিস্তার করেন। আরেকটি মতে, ফারসিতে জাম অর্থ এক ধরনের উৎকৃষ্ট মদ এবং দানি অর্থ পেয়ালা। জাম পরিবেশনকারী ইরানী সাকীর পরনের মসলিন থেকে জামদানি নামের উৎপত্তি ঘটেছে।
এদিকে নকশা অনুযায়ী জামদানীর নানা নাম হয়ে থাকে যেমন তেরছা, জলপাড়, পান্না হাজার, করোলা, দুবলাজাল, সাবুরগা, বলিহার, শাপলা ফুল, আঙ্গুরলতা, ময়ূরপ্যাচপাড়, বাঘনলি, কলমিলতা, চন্দ্রপাড়, ঝুমকা, বুটিদার, ঝালর, ময়ূরপাখা, পুইলতা, কল্কাপাড়, কচুপাতা, প্রজাপতি, জুঁইবুটি, হংসবলাকা, শবনম, ঝুমকা, জবাফুলসহ ইত্যাদি।
জামদানি শাড়ি প্রতিটি নারীর সৌন্দর্য বর্ধনে অনন্য। বাংলাদেশের যেসব নারী শাড়ি পছন্দ করেন, তাদের সংগ্রহে অন্তত একটি হলেও জামদানি শাড়ি থাকে।
ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৬ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
কিন্তু বত্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন মার্কেটে জামদানির নামে বিক্রি করছে নকল শাড়ি। ফলে ঐতিহ্যবাহী জামদানির আবেদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
অনেক বিক্রেতা জামদানি বলে ভারতীয় কটন, টাঙ্গাইলের তাঁত, পাবনা ও রাজশাহীর সিল্ক শাড়ি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
তাই আপনাদের নকলের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং ঝামেলা মুক্ত রাখতে নিয়ে এসেছি আসল জামদানী। খুচরা এবং পাইকারী দু'ভাবেই কিনতে পারবেন।
ধন্যবাদ
Информация по комментариям в разработке