Скачать или смотреть যে আফগান নারীরা পশ্চিমা নারী-অধিকার চায়নি! (১ম পর্ব) ক | |Afghan women || The Other Afghan Women

যে আফগান নারীরা পশ্চিমা নারী-অধিকার চায়নি! (১ম পর্ব) ক | | The Other Afghan Women



#afghanistan #taliban #afghanwomen

গতানুগতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণত শহুরে আফগান নারীদের অধিকার নিয়েই বেশি আলোচনা করা হয়। আড়ালে রয়ে যায় গ্রামীণ আফগান নারীদের চাওয়া-পাওয়ার কথা। অথচ এরাই মূলত আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্বশীল নারী। কারণ আফগানিস্তানের ৭০% মানুষই গ্রামে বসবাস করে। সেই নারীদের কথাই নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনের একটি দীর্ঘপাঠ প্রবন্ধে তুলে এনেছেন সাংবাদিক আনন্দ গোপাল।

সেই সাথে প্রবন্ধটিতে উঠে এসেছে আমেরিকান বাহিনীর এবং তাদের সহযোগী আফগান ন্যাশনাল আর্মির সীমাহীন অমানবিকতার কথা, আফগান জনগণের উপর চালানো তাদের গণহত্যার কথা এবং তালেবানদের বিজয়ের পেছনের কারণগুলোর কথা।

আমাদের এই সিরিজটি দীর্ঘ এই চমৎকার প্রবন্ধটিরই অনুবাদ। মোট সাতটি পর্বে করা অনুবাদ সিরিজটির এটি প্রথম পর্ব। সবগুলো পর্বের লিঙ্ক এখানে পাবেন
------------------------------------------------------------
Late one afternoon this past August, Shakira heard banging on her front gate. In the Sangin Valley, which is in Helmand Province, in southern Afghanistan, women must not be seen by men who aren't related to them,

গত আগস্টের এক বিকেল বেলা শাকিরা শুনতে পায়, তাদের বাড়ির প্রধান ফটকে কারা যেন ঠুং ঠুং শব্দ করছে। দক্ষিণ আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশের সাংগিন উপত্যকার এই এলাকায় মহিলাদের অনাত্মীয় পুরুষদের সাথে দেখা করার নিয়ম নেই।
and so her nineteen-year-old son, Ahmed, went to the gate. Outside were two men in bandoliers and black turbans, carrying rifles. They were members of the Taliban, who were waging an offensive to wrest the countryside back from the Afghan National Army. One of the men warned, "If you don't leave immediately, everyone is going to die."

কাজেই শাকিরার উনিশ বছর বয়সী ছেলে আহমেদ গিয়ে দরজা খোলে। বাইরে কার্তুজের বেল্ট আর কালো পাগড়ি পরা দুজন লোক রাইফেল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা ছিল তালেবান সদস্য, যারা আফগান ন্যাশনাল আর্মির কাছ থেকে আফগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের একজন আহমেদকে সতর্ক করে দিয়ে বলে, "এই মুহূর্তে যদি তোমরা এলাকা না ছাড়, তাহলে সবাই মারা পড়বে।"

Shakira, who is in her early forties, corralled her family: her husband, an opium merchant, who was fast asleep, having succumbed to the temptations of his product, and her eight children, including her oldest, twenty-year-old Nilofar-as old as the war itself-whom Shakira called her "deputy," because she helped care for the younger ones.

চল্লিশোর্ধ্ব শাকিরা তার স্বামী এবং আট সন্তানের পরিবারকে একত্রে জড়ো করে। তার স্বামী একজন আফিম ব্যবসায়ী, যে নিজের পণ্যের নেশায় নিজেই মত্ত হয়ে গভীর ঘুমে নিমজ্জিত ছিল। তার আট সন্তানের মধ্যে সবার বড় নিলুফার, যার বয়স যুদ্ধের বয়সের প্রায় সমান- বিশ বছর। ছোট ভাইবোনদের দেখাশোনার ব্যাপারে মাকে সাহায্য করে বলে শাকিরা তাকে "ডেপুটি" বলে সম্বোধন করে।