পৃথিবীর সেরা ১০জন দার্শনিক ।। কামরান চৌধুরী
#পৃথিবীর_সেরা_দার্শনিক, #সেরা_১০জন_দার্শনিক, #বিশ্ববিখ্যাত_দার্শনিক, #দার্শনিকদের_দর্শন_ও_অবদান, #Top_10_philosophers_in_the_world, #মহান_দার্শনিকদের_তালিকা, #জীবন_দর্শন, #দর্শনের_ইতিহাস, #দার্শনিকদের_দর্শন_ও_অবদান,
দর্শনের ইতিহাসে মহান চিন্তাবিদরা মানব সভ্যতা ও জ্ঞানচর্চায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। এই ভিডিওতে আমরা তুলে ধরেছি পৃথিবীর সেরা ১০জন দার্শনিকদের তালিকা, যেমন – Socrates, Plato, Aristotle, এবং আরও অনেক বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক, যাদের দর্শন আজও প্রভাব বিস্তার করছে।
“মানবসভ্যতার ইতিহাসে দর্শন এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। চিন্তাশক্তি, নৈতিকতা, সত্যের অনুসন্ধান আর জীবনের অর্থ নিয়ে হাজার বছর ধরে দার্শনিকেরা আমাদের নতুন দিশা দেখিয়ে গেছেন। সক্রেটিস থেকে শুরু করে কনফুসিয়াস, অ্যারিস্টটল থেকে ডেকার্ট—তাদের ভাবনা শুধু এক যুগকেই নয়, প্রভাবিত করেছে পুরো পৃথিবীকে। জানবো পৃথিবীর সেরা ১০জন দার্শনিকের নাম এবং তাদের দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষেপে।”বিশ্ব সেরা এই ১০ জন দার্শনিক ও তাদের দর্শন সম্পর্কে জানতে ভিডিওর শেষ পযন্ত দেখতে থাকুন।
১। কনফুসিয়াস (Confucius) : খ্রিস্টপূর্ব 551–479, চীন)
কনফুসিয়াস ছিলেন একজন চীনা দার্শনিক। তিনি কঙজি নামে পরিচিত। কঙজি শব্দের অর্থ গুরু বা শিক্ষক। যিনি তার সামাজিক ও রাজনৈতিক দর্শনের জন্য বিখ্যাত। তার দর্শন মূলত নৈতিকতা, পারিবারিক সম্পর্ক এবং সরকারি দায়িত্ব নিয়ে গঠিত। তিনি সমাজে শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য পারিবারিক মূল্যবোধ ও শ্রদ্ধার ওপর জোর দেন। কনফুসিয়াসের মতে সকল অবস্থায় সততা, সত্যবাদীতা এবং পরিমিতিবোধ থাকা একজন প্রকৃত শিক্ষিত ভদ্রলোকের বৈশিষ্ট্য।
২. সক্রেটিস (Socrates) খ্রিস্টপূর্ব 469–399, গ্রিস :
সক্রেটিস ছিলেন প্লেটোর শিক্ষক। গ্রিসের লোকেরা মনে করত সক্রেটিস পৃথিবীর সকলের চেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি। তিনি তার দর্শন সক্রেটিক পদ্ধতি বা প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে জ্ঞান অন্বেষণের জন্য পরিচিত। তিনি কোনো লিখিত দর্শন রেখে যাননি, তার দর্শন মূলত তার ছাত্রদের (বিশেষ করে প্লেটো) লেখার মাধ্যমে জানা যায়। তার প্রধান লক্ষ্য ছিল মানুষের নৈতিক ও আত্মিক উন্নতির জন্য জ্ঞান অনুসন্ধান করা। সক্রেটিস মনে করতেন, অর্থ-সম্পদের চেয়ে আত্ম-জ্ঞান উন্নয়নই মানুষের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন। একারণে সক্রেটিসের দর্শনের মূল কথাই হল, ‘নিজেকে জানো।’
৩. প্লেটো (Plato) : খ্রিস্টপূর্ব 427–347, গ্রিস :
প্লেটো ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক, তার বিখ্যাত দর্শন: আইডিয়ালিজম (Theory of Forms) বা রূপের তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত। এর মূল দিক হলো বাস্তব জগত একটি ছায়া, আসল বাস্তবতা হল আদর্শ রূপ। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ "রিপাবলিক"-এ একটি আদর্শ রাষ্ট্রের চিত্র তুলে ধরেন।
৪. অ্যারিস্টটল (Aristotle) : খ্রিস্টপূর্ব 384–322, গ্রিস :
পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক অ্যারিস্টটল ছিলেন প্লেটোর ছাত্র এবং যিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ৩৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি লাইসিয়াম নামে ভিন্ন একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। এরিস্টটল যুক্তিবিদ্যার জনক। এছাড়া তিনি নীতিশাস্ত্র, জীববিদ্যা এবং পদার্থবিজ্ঞানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখে গেছেন। তার বিখ্যাত দর্শন: লজিক ও অভিজ্ঞতাবাদ এর মূল দিক হলো বিজ্ঞানের ভিত্তি, যুক্তি ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়। তার দর্শনের মূল বিষয় ছিল "গোল্ডেন মিন" বা মধ্যপন্থা, যা অনুযায়ী Virtue বা সদ্গুণ হলো দুটি চরম অবস্থার (অতিরিক্ত ও অপ্রতুল) মধ্যবর্তী অবস্থা।
৫। আল ফারাবি: 872–950, মধ্য এশিয়া/ফারসী দার্শনিক)
মধ্যযুগের অন্যতম সেরা দার্শনিক আল ফারাবি। তাঁর মতে, ‘দর্শনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আত্মার পবিত্রতা অর্জন। এবং মানবজীবনের পরম লক্ষ্য দর্শনের জ্ঞান অর্জন।’ মুসলিম বিশ্বে আল ফারাবিকে দ্বিতীয় শিক্ষক (মুয়াল্লেম আল সানি) বলা হয়। তার মতে যুক্তি (Reason) ও ধর্ম (Religion) একে অপরের বিরোধী নয়, বরং একে অপরকে পরিপূর্ণ করে।
৬. থমাস অ্যাকুইনাস (Thomas Aquinas) : 1225–1274, ইতালি :
থমাস অ্যাকুইনাস ছিলেন একজন মধ্যযুগীয় খ্রিস্টান দার্শনিক এবং ধর্মতত্ত্ববিদ। মধ্যযুগের রাষ্ট্র বনাম গীর্জা এই দ্বন্দের নিরসনকারী। তিনি যুক্তির ভিত্তিতে ধর্মকে গ্রহণীয় করে তোলার চেষ্টা চালান। তিনি খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্বকে অ্যারিস্টটলের দর্শনের সাথে একত্রিত করে স্কলাস্টিসিজম নামে পরিচিত একটি দর্শন তৈরি করেন।
৭. রেনে দেকার্ত (René Descartes) : 1596–1650, ফ্রান্স)
রেনে দেকার্তকে আধুনিক দর্শনের জনক বলা হয়। তিনি তার বিখ্যাত উক্তি "আমি চিন্তা করি, সুতরাং আমি আছি বা অস্তিত্বশীল" (Cogito, ergo sum) -এর জন্য পরিচিত। সন্দেহ বা সংশয়ই ছিল ডেকার্তের দর্শনের মূল।
৮. জন লক (John Locke) : 1632–1704, ইংল্যান্ড)
জন লক একজন ইংরেজ দার্শনিক, যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান দার্শনিক হিসাবে খ্যাত। যিনি অভিজ্ঞতাবাদ (Empiricism) এবং সামাজিক চুক্তি (Social Contract) তত্ত্বের জন্য পরিচিত। এর মূল দিক: গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানুষের প্রাকৃতিক অধিকার।
৯। কার্ল মার্কস: (Karl Marx, 1818–1883, জার্মানি) :
কার্ল মার্কসকে বৈজ্ঞানিক সাম্যবাদ এবং দ্বন্দমূলক ঐতিহাসিক বস্তুবাদী ও সমাজতন্ত্র দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি নিয়ে মার্কসের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল বিপ্লবাত্মক, যা বর্তমানে মার্কসবাদ নামে পরিচিত।
১০. ফ্রিডরিখ নিৎশে (Friedrich Nietzsche) : 1844–1900, জার্মানি)
ফ্রিডরিখ নিৎশে একজন জার্মান দার্শনিক, যিনি তার নীতিশাস্ত্র, অস্তিত্ববাদ এবং মানব অস্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলার জন্য পরিচিত।
সাবস্ক্রাইব করুন: / kamranchowdhury
ফেসবুক : / kamranchowdhury.35
ওয়েবসাইট : https://www.kamranchowdhury.com
কপিরাইট:@kamranchowdhury/https: / kamranchowdhury
Информация по комментариям в разработке