Telegram Channel https://t.me/debsirrealteaching
#সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক,
#সিঁড়ি ভাঙা অংক,
সাধারণ গণিত,
বেসিক ম্যাথ,
গুণনীয়ক ও গুণিতক কি,
সহজ গণিত,গুনণীয়ক ও গুনিতক,
গুণনীয়ক ও গুণিতক ( measure factor and multiple ),
how to slove,
math for psc,
what is multiples,
time saving method,
ladder math problem,
#fast reasoning trick,
#siri vanga math shortcut,
#continued fraction in bengali,
#siri vanga math for wbcs exams,
#siri vanga math for wbpsc exams,
#siri vanga math for railway exam,
#competitive exams tips in bengali
Deb Sir Real Teaching
Deb Sir
dev sir real teaching
Deb da
প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদ্যা
প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদ্যা নিয়ে আমি বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনায় প্রায়শই ‘বৈদিক গণিতবিদ্যা’র ’১৬ সুত্রের’ কথা উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করেন যে গণনার ক্ষেত্রে প্রাচীন এই সূত্রগুলি আমাদের এক ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা বা ম্যাজিকাল পাওয়ার প্রদান করে। বাস্তব কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। এই ‘বৈদিক গণিতবিদ্যা’ আসলে বৈদিক যুগের নয়, এগুলি সন্দেহাতীতভাবে বিংশ শতাব্দীর আবিষ্কার। ‘ষোড়শ সূত্র’ প্রকৃতপক্ষে প্রবর্তন করেন ভারতী কৃষ্ণ তীর্থজী, যিনি ১৯২৫ সাল থেকে আমৃত্যু (১৯৬০ সাল পর্যন্ত) পুরীর শঙ্করাচার্য ছিলেন। এর সঙ্গে তিনি আরও কিছু পাটিগণিত ও বীজগণিতের নিয়ম প্রণালীও প্রবর্তন করেন। অতএব, এইসব ‘সূত্র’ বা গণিতের নিয়ম প্রণালীর সঙ্গে বেদ বা বেদ পরবর্তী ভারতবর্ষের গাণিতিক ঐতিহ্যের কোন যোগাযোগ নেই। বৈদিক গণিতের নামে শিশুদের যা শেখানো হয় তার মাধ্যমে প্রাচীন ঋষিদের অতি-প্রাকৃত ব্যক্তিত্বকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। এই ‘বৈদিক গণিত’ সম্পূর্ণভাবে কিছু শব্দবন্ধের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, আধুনিক সংস্কৃত শৈলীতে যা ‘সূত্র’ নামে পরিচিত। এর কোন বিশ্বাসযোগ্যতা আছে বলে মনে হয়না। অথচ, বৈদিক গণিত নিয়ে এই হইচইকে একটা রসিকতা বলেও আর উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানকালে যে ধরনের বাতাবরণে এই হইচই সফল হচ্ছে তার মূলে প্রাচীনকালের জ্ঞান সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা অন্যতম। এটা খুবই দুঃখের ব্যাপার যে দীর্ঘ ৩০০০ বছরের প্রয়াস ও গণিততত্ত্বের সাধনার ঐতিহ্যকে জনসাধারণের এক বড় অংশ বুঝেছে খুবই সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এর অনেকটা মনগড়াও বটে। এই দৃষ্টিভঙ্গি গণিতবিদ্যার প্রতি আমাদের এক চরম উদাসীনতার পরিচায়ক।
এই ‘বৈদিক গণিতবিদ্যা’ আসলে বৈদিক যুগের নয়, এগুলি সন্দেহাতীতভাবে বিংশ শতাব্দীর আবিষ্কার।
প্রাচীন ভারতের সাফল্য সম্পর্কে যে আমাদের প্রচণ্ড অবহেলা জড়িত, তা কিন্তু নয়। বরঞ্চ উলটোটাই সত্যি। অনেক জনপ্রিয় ও তথ্যপূর্ণ রচনা পাওয়া যাবে যেখানে অযৌক্তিকভাবে আমাদের পূর্বপুরুষদের অপরিসীম জ্ঞানের কথাই দাবি করা হয়েছে। অথচ, পরিশীলিত দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাচীন ভারতের জ্ঞান বা সাফল্যকে আমরা খুব কম ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মতভাবে অনুধাবন বা উপলব্ধি করতে পেরেছি। ঔপনিবেশিক যুগে কিছু পশ্চিমী শিক্ষাবিদের পক্ষপাতিত্বের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রাচীন ভারতের কৃতিত্ব নিয়ে অনেক প্রবন্ধ রচনা করা হয়েছিল । সেই সময়ে প্রতিকূল প্রচারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর তাগিদ ছিল প্রবল। কিন্তু এই প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার যে গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল তা সহজলভ্য ছিল না। তাই প্রায়শই সহজ পন্থা অনুসরণ করা হয়েছে, যেখানে তথ্যের থেকে বক্তৃতার প্রগল্ভতাই প্রাধান্য পেয়েছে। যাইহোক, সেই সময় সুধাকর দ্বিবেদীর মতো কিছু ভারতীয় শিক্ষাবিদও ছিলেন, যাঁরা জ্ঞানমূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে আশ্রয় করেছিলেন। যদিও তাঁদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এখন আমরা ঔপনিবেশিক যুগকে অনেকটা পেছনে ফেলে এসেছি। সারা পৃথিবী ভারতের সাফল্যকে যথেষ্ট কৌতূহল ও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তাও, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, পুরানো চিন্তাভাবনার আলোচনা ও নিবন্ধ এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমার মনে হয়, এখন সময় হয়েছে সার্বভৌম এবং বুদ্ধিগতভাবে স্বনির্ভর সমাজের মানানসই পথ অবলম্বন করার। ‘তাঁরা কি বলেছিলেন’ আর কেমনভাবে ‘আমরা আমাদের জাহির করব’ – চিন্তাভাবনার এই পরিকাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে উদ্দেশ্যপূর্ণ অধ্যয়ন এবং সমালোচনামূলক মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময় ।
পরিশীলিত দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাচীন ভারতের জ্ঞান বা সাফল্যকে আমরা খুব কম ক্ষেত্রেই উপলব্ধি করতে পেরেছি।
প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীর গণিতবিদ্যার ঐতিহ্যে প্রাচীন ভারতের অবদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গত ৩০০০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে গণিতবিদ্যার যে অগ্রগতি ঘটেছে, বহু অংশে আমাদের দেশ তার সাক্ষী থেকেছে। বাকি বিশ্বের সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব তুলে ধরেছে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে পড়েছি আমরা, বিশেষত সাম্প্রতিক শতাব্দীগুলোতে। এই প্রবন্ধে এমনই কিছু বুদ্ধিগত প্রচেষ্টার আকর্ষণীয় ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে যা প্রাচীন ভারতের সমৃদ্ধ গণিতবিদ্যার পরিকাঠামো গঠন করেছিল।
ভারতবর্ষে গণিতবিদ্যা চর্চার যে ঐতিহ্য তা বুঝতে গেলে অন্ততপক্ষে আমাদের বেদের যুগে ফিরে যেতে হবে। বেদের সূত্রগুলোতে রয়েছে আধ্যাত্মিক থেকে বৈষয়িক, জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আলোচনা। বিষয়বস্তুর এই বৈচিত্র ও ব্যাপ্তি সত্ত্বেও যেটা সহজে নজরে আসে তা হল বড় সংখ্যার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ। যেহেতু সেযুগে শিক্ষার প্রসার মূলত ঘটেছিল মৌখিকভাবে, তাই সংখ্যার লিখিতরূপ ছিল না। কিন্তু সংখ্যাগুলো বর্ণনা করতে গিয়ে ১০ এর বিভিন্ন ঘাত (combination of powers of 10) ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এটা ভাবা যুক্তিযুক্ত হবে যে, পরে যখন লিখিত সংখ্যার ক্ষেত্রে দশমিক পদ্ধতির প্রচলন শুরু হল, তার অনেকটাই পুরানো বৈদিক সূত্রের এই ধারা অনুসরণ করে এসেছিল।
খ্রিস্ট পরবর্তী শতাব্দীর একেবারে শুরুর দিকে ভারতবর্ষে ‘0’ এটি একটি সর্বব্যাপী (inclusive) ঘটনা। এই অগ্রগতিতে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাদের সাথে আমাদের যোগসূত্র আছে বলে আনন্দ ও গর্ব হওয়া উচিত। কিন্তু, সেই সাথে অন্যদের ভূমিকাও উপলব্ধি করা দরকার।
Информация по комментариям в разработке