Скачать или смотреть মাযহাব নিয়ে বিভ্রান্তি! শায়খ আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানীর সত্য কথা

_____🤝 Ascalamolaikum-Viewers

বিষয়ঃ মাযহাব নিয়ে বিভ্রান্তি!
আলোচক- 🎤শায়খ আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানী

ChatGPT said:
মাযহাব (مذهب) বা ইসলামি আইনগত মতবাদ নিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। অনেকেই প্রশ্ন করেন—মাযহাব কি মানা জরুরি? সব মাযহাব কি সঠিক? একটাই তো কুরআন ও হাদীস, তাহলে আলাদা আলাদা মত কেন?

এখানে আমরা কুরআন, হাদীস ও সালাফদের বক্তব্যের আলোকে মাযহাব নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

✅ ১. মাযহাব মানে কী?
"মাযহাব" শব্দটি এসেছে "ذهب" ধাতু থেকে, যার অর্থ—চলা। মাযহাব বলতে বোঝানো হয় কোনো নির্দিষ্ট ইমামের ফিকহি ব্যাখ্যা ও পদ্ধতির অনুসরণ। মূলত চারটি সুপ্রসিদ্ধ মাযহাব হলো:

হানাফি (ইমাম আবু হানিফা)

মালিকি (ইমাম মালিক)

শাফি (ইমাম আশ-শাফি’)

হাম্বলি (ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল)

✅ ২. কুরআন ও হাদীস কী বলে?
📖 কুরআন:
আল্লাহ বলেন:

فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
“তোমরা যদি না জানো, তাহলে যারা জ্ঞান রাখে, তাদেরকে জিজ্ঞেস করো।”
—(সূরা নাহল: ৪৩)

🔹 এই আয়াত প্রমাণ করে যে, সাধারণ মানুষের জন্য আলিমদের ফতোয়া গ্রহণ করা বৈধ। আর মাযহাব অনুসরণ মানে হচ্ছে এক ইমামের ব্যাখ্যার আলোকে শরীয়তের নির্দেশনা মানা।

📘 হাদীস:
🔹 ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন:

“লোকেরা সবসময় উত্তম অবস্থায় থাকবে, যতক্ষণ না তারা তাদের আলিমদের অনুসরণ করবে। যদি তারা আলিমদের উপেক্ষা করে, তখন ধ্বংস হবে।”
—(তাবারানি, আল-মু'জাম আল-কবীর)

🔹 রাসূল (ﷺ) বলেন:

“আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দ্বীনের ফিকহ (জ্ঞান) দান করেন।”
—(বুখারী: ৭১, মুসলিম: ১০৩৭)

ফিকহ হলো দ্বীনের গভীর জ্ঞান, যার ভিত্তিতে চার ইমাম মাযহাব সংকলন করেছেন।

✅ ৩. সাহাবিগণ ও তাবেঈনের যুগেও কি ভিন্ন মত ছিল?
হ্যাঁ। সাহাবিগণের মধ্যেও ইজতিহাদি বিষয়ে মতভেদ ছিল। যেমন:

🔹 ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও ইবনে উমর (রাঃ)-এর মধ্যে ইরাফার সময় দোয়া তুলে হাত উঠানো বা না-উঠানো বিষয়ে মতবিরোধ ছিল।

🔹 সাহাবিরা নিজেদের থেকে কম যোগ্য ব্যক্তিদের তাদের মতামত অনুসরণ করতে বলেছেন।

ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সিরীন বলেন:
“আমি যদি এমন কাউকে পাই যে আলেম নয়, সে ফতোয়া দিচ্ছে, তাহলে আমি বলব: তুমি কি ইবনে মাসউদের চেয়ে বড় আলেম?”
—(আবু নু'আয়ম, হিলইয়া)

✅ ৪. তাহলে কি মাযহাব মানা ফরয?
না, মাযহাব মানা ফরয নয়, তবে:

🔹 সাধারণ মুসলিমের জন্য ইজতিহাদ করা (আয়াত-হাদীস দেখে নিজে ফতোয়া দেয়া) নিষিদ্ধ।
🔹 তাই সে কোনো নির্ভরযোগ্য আলিম বা মাযহাবের অনুসরণ করতে বাধ্য, যাতে ভুল ব্যাখ্যার ফাঁদে না পড়ে।

✅ ৫. সব মাযহাব কি সঠিক?
চারটি মাযহাব—হানাফি, মালিকি, শাফি, হাম্বলি—এই চারটি মাযহাব কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে গঠিত। ইজতিহাদি ভুল হলেও, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন, কারণ:

“যদি কোনো ইমাম ইজতিহাদ করে এবং সঠিক হন, তিনি দ্বিগুণ সওয়াব পাবেন। আর যদি ভুল করেন, তবু এক সওয়াব পাবেন।”
—(বুখারী: ৭৩৫২, মুসলিম: ১৭১৬)

✅ ৬. বিভ্রান্তি কেন হয়?
বিভ্রান্তির মূল কারণ:

মানুষ কুরআন-হাদীসের গভীরতা না বুঝে সরাসরি ব্যাখ্যা করতে চায়।

ইউটিউব/সোশ্যাল মিডিয়ার অজ্ঞ বক্তাদের প্রভাব।

মাযহাব মানা মানেই কুরআন-হাদীস না মানা—এই ভুল ধারণা।

✅ সারসংক্ষেপ:
বিষয় কুরআন ও হাদীসের নির্দেশ
কুরআন-হাদীস মানা ফরজ
আলিমদের অনুসরণ কুরআন অনুমোদিত
ইজতিহাদ আলিমদের জন্য
মাযহাব অনুসরণ বৈধ ও নিরাপদ

✅ উপসংহার:
মাযহাব মানা বিদআত বা শরীয়ত বিরোধী নয়। বরং এটি সাধারণ মুসলমানের জন্য একটি নিরাপদ পথ। তবে তা অন্ধ অনুসরণ না হয়ে, জ্ঞানী আলিমদের মাধ্যমে বুঝে মানা উচিত। অন্য মাযহাবের অনুসারীদের প্রতি সহনশীলতা রক্ষা করাও জরুরি।



সম্মানিত আলোচক বিন্দু


🎤 শায়খ আব্দুর সামাদ সালাফী
🎤 শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ
🎤 শায়খ মোজাফফর বিন মহসিন
🎤 শায়খ ডক্টর. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ
🎤 শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
🎤শায়খ ডক্টর মোহম্মদ আবু বকর জাকারিয়া
🎤 শায়খ ডক্টর মোহম্মদ মানজুরে এলাহী
🎤 শায়খ আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল মাদানী
🎤 শায়খ ডক্টর ইমাম হোসাইন মাদানী
🎤 শায়খ ডক্টর মোহাম্মদ মুসলেহউদ্দীন
🎤 শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক
🎤 শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান
🎤 মুফতি মোহাম্মদ কাজী ইব্রাহীম
🎤 শায়খ মতিউর রহমান মাদানী
🎤 শায়খ মুখলেসুর রহমান মাদানী
🎤 শায়খ শহিদুল্লাহ খাঁন মাদানী
🎤 শায়খ ইমামু উদ্দিন বিন আব্দুর বাসীর
🎤 শায়খ আহমদুল্লাহ
🎤 শায়খ মাহমুদ বিন ক্বাসিম
🎤 শায়খ রফিকুল ইসলাম বিন সাঈদ
🎤 মীর মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈফী
🎤 শায়খ মোকাররম বিন মহসিন
🎤 শায়খ আকরামুজ্জাম বিন আব্দুর সালাম
🎤 ব্রাদার রুহুল আমিন




#waz #শায়খআমানুল্লাহবিনইসমাইলমাদানী #banglawaz