নাইক্ষংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ | উপবন পর্যটন লেক | বান্দরবান | Naikhongchhari Upovon Lake | Bandarban

Описание к видео নাইক্ষংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ | উপবন পর্যটন লেক | বান্দরবান | Naikhongchhari Upovon Lake | Bandarban

নাইক্ষংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ | উপবন পর্যটন লেক | বান্দরবান | Naikhongchhari Upovon Lake | Bandarban

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বৈচিত্র্যের লীলাভূমি বান্দরবান। আর বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন পর্যটন লেক। বান্দরবান জেলাধীন সর্ব দক্ষিণ পূর্বে মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলাটি বান্দরবান শহর থেকে ১২০ কি:মি: এবং কক্সবাজার থেকে মাত্র ৩৫ কি:মি: দূরে অবস্থিত। উঁচুনিচু পথ, পাহাড়ের শরীর জুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ যেন একেঁবেঁকে চলে গেছে গভীর থেকে আরো গভীরে। বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি উপজেলা বা নাইক্ষ্যংছড়ি এর রূপের জাদুর যেন শেষ নেই। প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে এখানে মেলে ধরেছে তার সৌন্দর্যের মায়াজাল। বান্দরবনের পাহাড়, ঝর্ণা, লেক সবকিছুতেই রয়েছে বর্ণিল সৌন্দর্যের ছোঁয়া। এই সবুজ পাহাড়ের বুক চিঁড়ে লুকিয়ে আছে স্বচ্ছ জলের কৃত্রিম লেক। চারিপাশে সবুজ বনানী মেলেছে সবুজ ডানা। তার মাঝে স্বচ্ছ জলে মূখ লুকিয়েছে নীল আকাশ। আর তেমনই এক সৌন্দর্যের জায়গা হল নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন লেক. সবুজ আর নীলের মাঝে লেকের বুক চিঁড়ে দাঁড়িয়ে আছে ঝুলন্ত সেতুটি। অসাধারণ সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একবার তাকালে চোখ ফেরানো যায় না।

বন্ধুরা আপনারা জানেন যে আমি বর্তমানে বাংলাদেশের পর্যটন নগরি কক্সবাজারে অবস্থান করছি এবং কক্সবাজারের আশেপাশের পর্যটন স্পট গুলি ঘুরে দেখছি এবং আপনাদেরও দেখানোর চেষ্টা করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি যাচ্ছি বান্দরবন জেলার নাইখংছড়ি উপজেলার উপবন লেকটি ঘুরে দেখার জন্য। প্রথমেই চলুন জেনে নেই এই লেকে আপনারা কিভাবে আসবেন। এ লেকে আসতে হয় ককসবাজার শহরতলী বা রামু উপজেলা সদরের রাবার বাগানের বুক চিরে। আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে সেখানে যেতে হয়। ককসবাজার সী বিচ থেকে উপবন লেক মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে। আর কক্সবাজার- চট্টগ্রাম সড়কের রামু রাবার বাগান স্টেশন থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে। রামু রাবার বাগান থেকে সোজা পূর্বদিকের সড়ক দিয়ে যে কোন গাড়িতে যাতায়াত করা যায় । যে সড়কটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলকায় যাওয়ার অত্যন্ত নিরপদ ও কাছের সড়ক। আমি এখন রামু সদর থেকে সি এন জি দিয়ে রওনা হয়েছি নাইক্ষংছড়ি যাওয়ার জন্য। রামু থেকে নাইখংছড়ি যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ৪০ টাকা আর সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট। সবুজ ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে, আকা-বাকা পাহাড়ি পথ দিয়ে চারপাশের মনোরম দুশ্য দেখতে দেখতে কখন যে নাইক্ষংছড়ি চলে যাবেন তা বুঝতেই পারবেন না।

সামনেই দেখা যাচ্ছে লেকে প্রবেশের মুল গেটটি । এখানে প্রবশ ফি ৩০ টাকা। এছাড়াও আরও কিছু রাইড সহ একটি প্যাকেজ দেয়া আছে আপনারা চাইলে পাকেজ নিয়েও ভিতরে ঢুকতে পারেন। গেট দিয়ে ডুকেই এই সুন্দর মনোরম দুশ্যটি দেখতে পাবেন। চাইলে ওখানে বসে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। আর গেটের বাম পাশেই রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। ওয়াচ টাওয়ারে না উঠে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। কিছুদুর সামনে যেতেই বা পাশে দেখলাম বসার সুন্দর একটি জায়গা। এর একটূ সামনেই রয়েছে বাচ্চাদের খেলার জায়গা। বাচ্চাদের খেলার জায়গা পার হয়ে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই এই সুন্দর স্থানটি দেখতে পাবেন। এখানে আসলে মন চাইবে কিছুটা সময় বসে গল্প করে কাটিয়ে দিতে।

এখান থেকে কিছুদূর হেটে সামনে এগিয়ে গেলেই দেখা যাবে গাছের উপরে সুন্দর ছাউনি দেয়া বসার জায়গা। আপনি না চাইলেও মন আপনাকে টেনে নিয়েযাবে উপরে।

বন্ধুরা অই যে দূরে ঝুলন্ত ব্রীজটি দেখা যাচ্ছে। এখন আমি আপনাদের ঝুলন্ত ব্রীজটি ঘুরে দেখাবো। ঝুলন্ত ব্রীজে উঠতে হলে আপনাদের কিছুটা পথ হেটে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে হবে। সিড়ি দিয়ে নিচে নামার পথ টিও বেশ সুন্দর। আমি খুব সহজেই সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে গেলাম। ঝুলন্ত ব্রীজে উঠতে আলাদা কোন ফী বা টাকা দিতে হয়না। এটা সবার জন্য ফ্রি। পার্কে যারা প্রবেশ করবে তারা সবাই এই ঝুলন্ত ব্রীজে উঠতে পারবে। ঝুলন্ত ব্রিজটি বেশ লম্বাই দেখা যাচ্ছে। ঝুলন্ত ব্রিজের ঝুলুনি খেতে খেতে সামনে এগিয়ে যেতে থাকলাম। মাঝপথে গিয়ে ভাল ভাবে চারপাশটা দেখেনিলাম। একটা সমস্যা হচ্ছে ব্রিজটি পার হয়ে ওপাশে কোথাও যাও্য়ার জায়গা নেই, ঘোরার কিছুটা জায়গা থাকলে বেশ ভাক হতো। যেহেতু ওপাশে জায়গা নেই তাই ব্রিজের মাথা থেকেই আবার ব্যাক করে আসতে হলো।

এর পরে চলে আসলাম নৌকা ঘাটে। এখান থেকে নৌকা নিয়ে লেকের পানিতে ঘোরাঘোড়ি করা যায়। এখানে বেশ কয়েকটি সুন্দর নৌকা দেখতে পেলাম। এখান থেকে নৌকা নিলে প্রতি ২৫ মিনিটের জন্য ৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আপনারা চাইলে এখান থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে লেকের পানিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন।

এরপর চলে আসলাম মূল গেটের সামনে ওয়াচ টাও্য়ার এর পাশে। ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে আবার আলাদা করে ১০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হয়। তাই ১০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ওয়াচ টাওয়ারে উঠলাম। এই ওয়াচ টাওয়ারটি অন্য ওয়াচ টাওয়ার থেকে একটু আলাদা। উপরে উঠার সময় টাওয়ার টি কাপতে ছিল। তাই ভিতরে একটু ভয়ও কাজ করছিল। তারপরেও মনে সাহস নিয়ে উপরে উঠলাম। সবার উপরে উঠার পর শুধু বড় বড় গাছের মাথা আর দূরের বড় বড় পাহাড় দেখা যাচ্ছিল। কিছুটা সময় ওখানে থেকে নিচে নেমে চলে আসলাম।


প্রতিটি জায়গা পরিদর্শনের পাশাপাশি এর সৌন্দর্য রক্ষা করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই আমাদেরকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
যদি আমার এই প্রচেষ্টা ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে ভিডিওটি শেয়ার করুন, লাইক দিন এবং আমার চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে আরও নতুন নতুন ভিডিও বানাতে উৎসাহিত করুন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

Disclaimer: Don't Download & Copy Anything From This Channel. Its a Cyber Crime. All Videos of this Channel is Copyrighted by Traveler Of Bangladesh.
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
Thanks For Watching..
SUBSCRIBE || LIKE || COMMENT || SHARE ||
▬▬▬▬▬▬▬▬ Traveler Of Bangladesh ▬▬▬▬▬▬▬

Комментарии

Информация по комментариям в разработке