[সূরা নাজম,আয়াত নং ২৬]
|||
★৬. আল্লাহ পাক বলেন: “তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা আছে, তা তিনি (আ̂ল্লাহ) জানেন। তারা (নবীজি রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহর প্রিয় অলীগণ) শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং যারা আ̂ল্লাহর ভয়ে ভীত”।
[সুরা আম্বিয়া,আয়াত নং ২৮]
|||
★৭.সুপারিশ বা শাফায়াতকারী কেউ নেই, তবে যদি আল্লাহর অনুমতির পর শাফায়াত করে (তাহলে অন্য কথা)”
[সূরা ইউনুস,আয়াত নং ৩]
ব্যাখ্যা: রাসুলুল্লাহ ﷺ সর্ব প্রথম শাফায়াতে কুবরার অনুমতি পাবেন [মাকামে মাহমুদ শুধু রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর জন্য] আর এর পরে আল্লাহ অনুমতিতে রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর সম্মতিতে অন্যরা সুপারিশ করার ক্ষমতা পাবেন।
★৮.আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
অর্থ: সাবধান! যারা আল্লাহর বন্ধু,তাদের না কোন ভয়-ভীতি আছে,না তারা চিন্তান্বিত হবে।উক্ত আয়াতে “লা খাউফুন” মানে সকল ফেরেশানি থেকে মুক্ত।
লক্ষনীয়ঃ লা মানে নাই বা নেই। খাউফুন হল বহুবচন,ইন্না মানে নিশ্চয়ই….. অর্থ প্রকাশ করে।কাজেই তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
★৯. “যে ব্যক্তিই (আল্লাহ্র সামনে) নিজের সত্তাকে সমর্পণ করে দিবে এবং সে হবে অবশ্যই একজন মুহসিন ব্যক্তি, তার জন্য তার রবের কাছে (এর) বিনিময় আছে, তাদের কোন ভয় নেই আর না তারা (সেদিন) চিন্তিতও হবে।”
[সূরা আল-বাকারা,আয়াত নং ১১২]
★১০. যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হলেন নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ।”
[সূরা নিসা,আয়াত নং ৬৯]
★১১. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী।
[সুরা আরাফ,আয়াত নং ৫৬]
★১২. “নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের সাথে আছেন যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা মুহসিন।”
[সূরা নাহল,আয়াত নং ১২৮]
🌹মহান আল্লাহ পাকের ওলী -আউলিয়াগন শাফায়াত করতে পারবেন কিনা?-২য় পর্ব
★১৪. আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনুল কারীমে ঘোষণা করেন-
يَومَ نَدعُوا كُلَّ اُنَاسٍ بِاِمَامِهِم
অর্থাৎ,সেই দিন আঁমি প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামের (শায়খের) নামে আহব্বান করব।
[সূরা বনি ইসরাঈল আয়াত নং ৭১]
🌼এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসেরীনে কিরাম উল্লেখ করেছেন,হাশরের মাঠে নবী,মাযহাব,তরীকা ও অলীদের অনুসারীদের নামে ডাকা হবে।
[তাফসীরে রুহুল বয়ান]
👌তাফসীরে “আ’রায়েসুল বয়ান” এ উল্লেখ রয়েছে,“ওয়া ইয়াদ’উল মুরীদিনা বে আসমায়ে মাশায়েখেহীম”।
অর্থাৎ হাশরের দিন প্রত্যেক মুরীদকে ডাকা হবে যার যার শায়খ বা পীরের নামে। তাই পীরের দলভুক্ত হয়ে আল্লাহ’র দরবারে হাজিরা দিতে হবে।
🌳দেওবন্দীদের তাফসীরে মা’আরেফুল কোরআনেও উল্লেখ আছে-
হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও মুজাহিদ থেকে এখানে ইমাম শব্দের অর্থ নেতাও বর্ণিত হয়েছে।অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নেতার নাম নিয়ে ডাকা হবে,এই নেতা পয়গাম্বর ও তাঁদের নায়েব, মাশায়েখ এবং ওলামা হোক পথভ্রষ্টতার প্রতি আহবানকারী হোক –কুরতুবী। [সৌদী সরকার করতৃক বাংলা অনুদিত পৃষ্ঠা-৭৮৫]
♣বহু হাদীস শরীফও এ বিষয়ে সমর্থন করে যেমন-হাদীস শরীফে আছে-অর্থাৎ
مَن تَشَبَّه بِقَومٍ فَهُوَ مِنهُم
যে জাতি বা কওমের সাথে যার মুহাব্বতের বন্ধন থাকবে তাঁর সাথেই হাশরে থাকবে।
★অন্য হাদীসে আছে-
اَنتَ مَعَ مَن اَحبَبت
“আনতা মা’আ মান আহবাবতা”।
অর্থাৎ যার সাথে যার মুহাব্বত তাঁর সাথেই তার হাশর।মেশকাত)। তাই যে পীর বা সিলসিলার সাথে যার বা’ইয়াতের বন্ধন থাকবে তাঁর সাথে তার হাশর হবে।
👌হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে
٤- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : جَاءَ أَعْرَابِيا قَالَ لرَسُولُ اللَّهِ ﷺ ، مَتَى السَّاعَةُ ؟ قَالَ : وَمَاذَا أَعْدَدْتَ لَهَا ؟ قَالَ حِبُّ اللَّهَ وَرَسُو له ، قَالَ : فَأَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ
অনুবাদ: হযরত আনাস رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন- নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এঁর নিকট একজন আরব (বেদুঈন লোক) আসল এবং জিজ্ঞেস করলেন কিয়ামত কখন হবে? নবীজী ﷺ তাকে বললেন,তুমি কি অর্জন করেছ? (তুমি কিয়ামতের জন্য কি সম্বল সংগ্রহ করেছো?) সে বলল আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসি।নবী করীম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন,তুমি যাকে ভালোবাস তার সাথেই তোমার হাশর হবে। ****দলিল*****
*(ক.) সহীহ বুখারী,অধ্যায়: সাহাবীদের ফাযায়েল ৩/১৩৪৯ হা: ৩৪৮৫
*(খ.) সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: আদব ৪/২০৩২ হা: ২৬৩৯
*(গ.) সুনানে তিরমিজি,অধ্যায়: যুহুদ ৪/৫৯৫ হা: ২৩৮৫
🌹আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা,আমর নাকিদ,যুহায়র ইবনু হারব,মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিয়ামত কবে (সংঘটিত হবে)? তিঁনি বললেনঃ তু
Информация по комментариям в разработке