মিঠামাইন যাওয়ার সহজ উপায় √ How to Go Mithamai Easily √ Mithamain Ashtagram Nikli Tour from Dhaka

Описание к видео মিঠামাইন যাওয়ার সহজ উপায় √ How to Go Mithamai Easily √ Mithamain Ashtagram Nikli Tour from Dhaka

যতদূর চোখ যাবে হাওরের কোলে কেবল পানি আর পানিই চোখে পড়বে। উপরে নীল আকাশ জুড়ে সাদা কালো মেঘের আনাগোনা আর নিচে অবিরাম জলে তার প্রতিচ্ছবি ভেসে ভেসে মাথার উপর দিয়ে কখনো চলে যাচ্ছে সাদা বকের দল, আর এখানে সেখানে ভেসে থাকা জলজ গাছ। জেলেদের জীবন আর জলের কোলে খেলা করা রোদ  আর দিগন্তের অথৈ জলরাশির দৃশ্য মন ভরিয়ে দেবে আনন্দে। উঠছে। এমন মনভোলানো দৃশ্য আর দিগন্তের তটরেখা কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ও ইটনা হাওরের। এটি মূলত একটি প্রাচীন জনপদ অঞ্চল। মিঠামইন আরো কয়েকটি নামেও পরিচিত- মিঠামন, মিঠামইন বা মিঠামন বলে অনেকে একে উচ্চারণ করে থাকে। ধারণা করা হয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় একসময় প্রচুর মিষ্টি বা মিঠা রসের খাগড়া গাছের বন ছিলো বলে একে এই নামে ডাকা হয়।


বাস:
ঢাকার মহাখালী থেকে অনন্যা পরিবহনের বাস ছাড়ে ৫ মিনিট পর পর, ভাড়া ২০০ টাকা। যারা সায়েদাবাদ থেকে যেতে চান তাঁরা অনন্যা সুপার বাস পাবেন। সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড পৌছে যাওয়া যাবে। বাস স্ট্যান্ড থেকে ১০ টাকা দিয়ে ইজি বাইকে চলে যেতে পারবেন স্টেশন রোড।

ট্রেন:
ট্রেনে যেতে চাইলে এগারসিন্দুর প্রভাতী বা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ধরতে হবে। বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৭ঃ১৫ টায় ঢাকা থেকে এগারসিন্ধুর প্রভাতি ছেড়ে যায় কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে। ভাড়া টিকেটের শ্রেণীভেদে ১২০-২৮০ টাকা। নিকলী ভ্রমণের জন্য ট্রেনে কিশোরগঞ্জ স্টেশনের পূর্বে গচিহাটা নেমে ইজিবাইকে যাওয়া যাবে। ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাওর ভ্রমণের জন্য যেতে হবে কিশোরগঞ্জ।
স্টেশন রোড থেকে চামড়া বন্দর হয়ে যাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।চামড়া বন্দর থেকে ৪০ টাকায় সি.এন.জি অটোতে চামড়া বন্দর, সময় লাগবে প্রায় ঘন্টাখানেক। এই চামড়া বন্দরকে কিশোরগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের অন্যতম হাব বলা যায়। ইটনা, মিঠামইন, নেত্রকোনার খালিয়াজুরী ইত্যাদি অঞ্চলের নৌযানগুলো এই বন্দর থেকেই ছাড়ে।






 প্রচ্ছদ

 সর্বশেষ

 বাংলাদেশ

 জাতীয়

 রাজনীতি

 আন্তর্জাতিক

 সারা বাংলা

 অর্থ-বাণিজ্য

 খেলা

 বিনোদন

 চাকরি

 ধর্ম

 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

 শিক্ষা

 আইন ও বিচার

 সোশ্যাল মিডিয়া

 মতামত

 জীবনযাপন

 হরেক রকম

 প্রবাস

 ই-পেপার

 আর্কাইভ


মিঠামইন ও ইটনা হাওরে যাওয়ার উপায়

 আমার সংবাদ ডেস্ক

 মার্চ ১, ২০২২, ০১:০৫ পিএম



যতদূর চোখ যাবে হাওরের কোলে কেবল পানি আর পানিই চোখে পড়বে। উপরে নীল আকাশ জুড়ে সাদা কালো মেঘের আনাগোনা আর নিচে অবিরাম জলে তার প্রতিচ্ছবি ভেসে ভেসে মাথার উপর দিয়ে কখনো চলে যাচ্ছে সাদা বকের দল, আর এখানে সেখানে ভেসে থাকা জলজ গাছ। জেলেদের জীবন আর জলের কোলে খেলা করা রোদ  আর দিগন্তের অথৈ জলরাশির দৃশ্য মন ভরিয়ে দেবে আনন্দে। উঠছে। এমন মনভোলানো দৃশ্য আর দিগন্তের তটরেখা কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ও ইটনা হাওরের। এটি মূলত একটি প্রাচীন জনপদ অঞ্চল। মিঠামইন আরো কয়েকটি নামেও পরিচিত- মিঠামন, মিঠামইন বা মিঠামন বলে অনেকে একে উচ্চারণ করে থাকে। ধারণা করা হয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় একসময় প্রচুর মিষ্টি বা মিঠা রসের খাগড়া গাছের বন ছিলো বলে একে এই নামে ডাকা হয়। আসুন জেনে নেই হাওর রাজা মিঠামইন ও ইটনা যেভাবে যাবেন আর খরচ কেমন পড়বে:
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন মিঠামইন হাওরে:
বাস:
ঢাকার মহাখালী থেকে অনন্যা পরিবহনের বাস ছাড়ে ৫ মিনিট পর পর, ভাড়া ২০০ টাকা। যারা সায়েদাবাদ থেকে যেতে চান তাঁরা অনন্যা সুপার বাস পাবেন। সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড পৌছে যাওয়া যাবে। বাস স্ট্যান্ড থেকে ১০ টাকা দিয়ে ইজি বাইকে চলে যেতে পারবেন স্টেশন রোড।

ট্রেন:
ট্রেনে যেতে চাইলে এগারসিন্দুর প্রভাতী বা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ধরতে হবে। বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৭ঃ১৫ টায় ঢাকা থেকে এগারসিন্ধুর প্রভাতি ছেড়ে যায় কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে। ভাড়া টিকেটের শ্রেণীভেদে ১২০-২৮০ টাকা। নিকলী ভ্রমণের জন্য ট্রেনে কিশোরগঞ্জ স্টেশনের পূর্বে গচিহাটা নেমে ইজিবাইকে যাওয়া যাবে। ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাওর ভ্রমণের জন্য যেতে হবে কিশোরগঞ্জ।
স্টেশন রোড থেকে চামড়া বন্দর হয়ে যাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।চামড়া বন্দর থেকে ৪০ টাকায় সি.এন.জি অটোতে চামড়া বন্দর, সময় লাগবে প্রায় ঘন্টাখানেক। এই চামড়া বন্দরকে কিশোরগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের অন্যতম হাব বলা যায়। ইটনা, মিঠামইন, নেত্রকোনার খালিয়াজুরী ইত্যাদি অঞ্চলের নৌযানগুলো এই বন্দর থেকেই ছাড়ে।
]

চামড়া ঘাট থেকে ১ ঘন্টা পর পর বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মিঠামইনের উদ্দেশ্যে ট্রলার ছাড়ে। ভাড়া ৫০ টাকা। বড় ট্রলারে করে ঘন্টা দেড়েক লাগবে মিঠামইন যেতে। আপনি চাইলে একটা ট্রলার ভাড়া করে বালুখালী, হাশেমপুর ব্রীজ এবং আশে পাশের হাওড়ে ঘোরা শেষ করে তারপর মিঠামইন যেতে পারেন। এছাড়া চাইলে চামড়া বন্দর থেকে ইটনায় গিয়ে ঘুরে এসে বিকেল বেলা নৌকা ভাড়া করে মিঠামইন ঘুরে আসতে পারেন।

মিঠামইন গিয়ে যেখানে থাকবেন:

রাতে থাকতে চাইলে মিঠামইন ঘাটে নেমে চলে যান জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজে। ভাড়া পড়বে ১০০-২০০ টাকা।ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে বিকেলে বাজার ঘাটে এসে ৭-৮ শ টাকায় নৌকা নিয়ে ঘুরে আসুন ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত থানা ইটনা।এছাড়া কিশোরগঞ্জে অনেকগুলি হোটেল রয়েছে। যেমন রিভার ভিউ, ক্যাসেল সালাম, আল মোবারক, গাঙচিল ইত্যাদি।


কিশোরগঞ্জে গিয়ে যা যা দেখবেন:
ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম সড়কের আশেপাশে আছে বেশ কিছু হাওড়। সবগুলো হাওড় দেখার মতো সৌন্দর্যে ভরপুর। তবে তার মধ্যে অন্যতম হলো: মিঠামইন হাওর, অষ্টগ্রাম হাওর, নিকলী হাওর, রাস্ট্রপতির বাড়ী, ঈশা খাঁ বাংলার বারো ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের প্রধান, এগারোসিন্ধু, সত্যজিৎ রায়ের বাড়ী, দিল্লীর আখড়া ইত্যাদি। 

এই জায়গাগুলোর সৌন্দর্য সম্পূর্নরুপে উপভোগ করতে হলে ২/৩ দিন সময় নিয়ে বের হওয়াই উত্তম।

সতর্কতা:
বিশাল হাওরের অনেক জায়গায় বেশ গভীর। তাই সাঁতার না জানলে পানিতে না নামাই ভালো। লাইফ জ্যাকেট সাথে রাখুন। নৌকা দরদাম করে ভাড়া করবেন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке