Скачать или смотреть মুসাফির কাকে বলে? এবং এর হুকুম কী?? ফরজ নামাজ কত রাকাত পড়বো তিন রাকাত ফরজ নামাজ কত রাকাত কসর নামাজ

মুসাফির কাকে বলে? এবং এর হুকুম কি??
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
কোনো ব্যক্তি যদি কমপক্ষে ৪৮
মাইল (শরিয়তের মাইল ১৯২০ গজে হয়)
বা তিন মনজিল বা প্রায় ৮৮
কিলোমিটার দূরত্বে গমন করার
ইচ্ছা করে, আর তথায় ১৫ দিনের কম
অবস্থান করার নিয়ত করে, তাহলে
শহরবাসী নিজ শহরের সীমা ও
গ্রামবাসী নিজ ইউনিয়ন বা
পৌরসভার সীমা অতিক্রম করার পর
থেকে মুসাফির বলে গণ্য হবে। তখন
থেকেই নামাজের কসরসহ
(সংক্ষিপ্ত) মুসাফিরের অন্যান্য
হুকুম তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
শামি : ২/৫৯৯-৬০২, আহসানুল
ফাতাওয়া : ৪/৯৪-৯৫।
~~~~~~~~~
মুসাফির কখন মুকিম হবে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যে সীমানা থেকে মুসাফির বলে
গণ্য হয়েছিল, সেই সীমানায়
প্রবেশের পর থেকেই সে মুকিম হয়ে
যাবে। শামি : ২/৬০৪।
.
কারো একাধিক আবাসস্থল থাকলে
যেকোনো একটির এলাকায় প্রবেশ
করলে সে মুকিম হয়ে যাবে।
বাদায়েউস সালায়ে : ১/২৮০।
.
এ ছাড়া নিজ আবাসস্থল ছাড়া
অন্য কোথাও যদি ১৫ দিন বা তার
চেয়ে বেশি অবস্থানের নিয়ত করে,
তাহলে সে মুকিম হয়ে যাবে।
হিন্দিয়া : ১/১৪২।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মুসাফির ও কসরের নামাজের
বিধিবিধান
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কসর আরবি শব্দ, আর এর অর্থ হলো কম
করা, কমানো। ইসলামী শরিয়তে
কোনো ব্যক্তি যদি ৪৮ মাইল বা
তারও বেশি দূরত্বের সফরে বাড়ি
থেকে বের হয়, তাহলে সে মুসাফির।
মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ
নামাজ দুই রাকাত পড়বে। যেমন-
জোহর, আসর, এশা- এটিই হলো
সংক্ষেপ করা বা কসর নামাজ।
কসরের নামাজের আরো কিছু
মাসায়েল নিম্নে দেওয়া হলো।
.
মুসাফির ইমামতি করলে
মুক্তাদিদের আগেই বলে দেবে যে
সে মুসাফির এবং দুই রাকাত পড়ে
সালাম ফিরাবে আর মুকিম
নামাজিরা দাঁড়িয়ে বাকি দুই
রাকাত সুরা-কেরাত ছাড়া আদায়
করে নেবে।
.
মুসাফির ব্যক্তি যদি মুকিম
ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করে,
তাহলে ইমামের অনুসরণে সেও চার
রাকাত পড়বে।
.
কসর শুধু চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ
নামাজেই হয়ে থাকে।
অতএব, মাগরিব, ফজর এবং সুন্নত ও
বিতরের নামাজে কোনো কসর নেই।
.
মুসাফির অবস্থায় যদি কোনো
নামাজ কাজা হয়ে যায়, আর তা
বাড়ি ফিরে পড়ে, তাহলে কসরই
পড়বে এবং বাড়ি থাকা অবস্থায়
কোনো কাজা নামাজ যদি সফরে
আদায় করে, তবে তা পূর্ণ নামাজেই
আদায় করতে হবে।
.
চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজে
প্রথম বৈঠকে (দ্বিতীয় রাকাতের পর
যে বৈঠক হয়) দরুদ শরিফের 'ওয়ালা
আলী মুহাম্মদ' পর্যন্ত পড়ে ফেললে
নামাজের শেষে সেজদায়ে সাহু
করতে হবে।
.
নির্দিষ্ট করে নিয়ত করতে হবে,
কোন ওয়াক্তের কসর পড়বে।
.
মুসাফির ভুলবশত চার রাকাত
নামাজ পড়ে ফেললে যদি দ্বিতীয়
রাকাতে তাশাহুদের বৈঠক করে
থাকে, তবে নামাজ আদায় হয়ে
যাবে। অন্যথায় নয়।
.
পূর্ণ নামাজের স্থলে অর্ধেক পড়ার
মধ্যে কারো কারো মনে এরূপ ধারণা
আনাগোনা করে যে বোধ হয় এতে
নামাজ পূর্ণ হলো না, এটা ঠিক নয়।
কারণ কসরও শরিয়তের নির্দেশ। এ
নির্দেশ পালনে গুনাহ হয় না, বরং
সওয়াব হয়।
.
(তাফসিরে মা'আরেফুল কোরআন ও
ইবনে কাছির অবলম্বনে)