Скачать или смотреть দুনিয়ার সেরা রাডারের চোখে ধুলো দিয়ে শত্রু দেশে ঢুকে কার্পেট বিছানোর মতো বোমাবর্ষণ করতে পারে বি-২

দুনিয়ার সেরা রাডারের চোখে ধুলো দিয়ে শত্রু দেশে ঢুকে কার্পেট বিছানোর মতো বোমাবর্ষণ করতে পারে বি-২
‪@Thevoiceof.bangladesh‬

b2 stealth bomber
#stealthbomber
#airforce #airplane
বি-২ বোমারু বিমান

যার পরিচিতি ‘স্টেল্‌থ বম্বার’ হিসাবে। স্টেল্থ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল চুরি বা গোপনীয়তা। দুনিয়ার সেরা রাডারের চোখে ধুলো দিয়ে শত্রু দেশে ঢুকে কার্পেট বিছানোর মতো বোমাবর্ষণ করতে পারে বি-২। আর তাই এর এমন নামকরণ করা হয়েছে।
বি-২ একমাত্র যুদ্ধবিমান, যা বর্তমানে স্টিলথ কনফিগারেশনের বড় আকারের এয়ার-টু-সার্ফেস স্ট্যান্ড অফ অস্ত্র বহনে সক্ষম।
১৯৮৯ সালের ১৭ জুলাই প্রথম বার আকাশে উড়েছিল বি-২ বোমারু বিমান। এর পর বেশ কয়েক বার পরীক্ষার পর ১৯৯৭ সালে আমেরিকার বায়ুসেনার অস্ত্রাগারে চলে আসে এই স্টেল্‌থ বম্বার। মাটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে বি-২ স্পিরিট। মাঝ আকাশে একবার মাত্র জ্বালানি ভরে ১০ হাজার নটিক্যাল মাইল চলে যেতে পারে আমেরিকার এই যুদ্ধবিমান। সমতল ভূমিতে যা প্রায় ১৯ হাজার কিলোমিটারের সমান।
আশির দশকে ‘বি-১এ’ বোমারু বিমানের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকার সরকার। তখনই বি-২ স্পিরিট তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল সেখানকার সামরিক সদর দফতর পেন্টাগন। সেই মতো ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি বম্বার’ বা এটিবি প্রকল্প শুরু করে ওয়াশিংটন।



বি-২ স্পিরিটের আকৃতি অন্যান্য যুদ্ধবিমানের নিরিখে অনেকটাই আলাদা। অদ্ভুত দেখতে এই বোমারু বিমানটির নির্মাণকারী সংস্থা নাম ‘নর্থরপ’। পরবর্তীকালে যা ‘নর্থরপ গ্রুমম্যান’ নামে পরিচিতি পায়। স্টেল্‌থ বম্বারটির নকশা তৈরিতে হাত রয়েছে বোয়িং, হিউজ ও ভাউটের মতো যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থার।



অনেকেই মনে করেন রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) কথা মাথায় রেখে বি-২ স্পিরিটকে তৈরি করা হয়েছে। ফলে যে সমস্ত দেশের হাতে যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানোর হাতিয়ার রয়েছে, সেখানে গিয়েও বোমাবর্ষণ করতে পারবে এই স্টেল্‌থ বম্বার। এতে রয়েছে সাবসনিক ফ্লায়িং উইং। এই বোমারু বিমানকে ওড়াতে দু’জন চালকের প্রয়োজন হয়।


১৯৮৭ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বি-২ স্পিরিট তৈরি এবং তা উন্নত করে আমেরিকা। যা এখনও ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটনের বিমানবাহিনী। এটি প্রচলিত ও নিউক্লীয় উভয় প্রকার বোমা বহন ও বর্ষণ করতে পারে। এই বিমানটির উচ্চ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচের জন্য এটি মার্কিন কংগ্রেস ও পেন্টাগনে বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি করেছে। প্রাথমিক ভাবে ২১টি বি-২ বোমারু বিমান তৈরির পরিকল্পনা করেছিল আমেরিকা। পরবর্তীকালে যার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল পেন্টাগন। এর জন্য আশির দশকে আনুমানিক খরচ ধরা হয় ২১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।, এক একটি স্টেল্‌থ বম্বার নির্মাণে ওয়াশিংটনকে কোষাগার থেকে দিতে হয়েছিল ৭ হাজার ৩৭০ লাখ ডলার।
এই বিমানগুলো স্নায়ু যুদ্ধকে সামনে রেখে নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু পরবর্তীকালে এগুলো ১৯৯৯ সালের কসোভো যুদ্ধে সাইবেরিয়াতে, এবং ইরাক যুদ্ধ ও ২০০১-এর আফগানিস্তান যুদ্ধেও ব্যবহৃত হয়েছে।
এই বিমানে মোট আরোহীর সংখ্যা দুই, এবং ২৩০ কেজি জেডিএএম জিপিএস নিয়ন্ত্রিত বোমা, অথবা অত্যন্ত বিমান সুরক্ষিত স্থানে ১,১০০ কেজি বি৮৩ নিউক্লিয়ার বোমাএকবারে ফেলতে পারে। বি-২ স্পিরিট-ই একমাত্র বিমান যা দূর আকাশ থেকে স্টেল্‌থ অবস্থানে থেকেও ভূমিতে নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রায় বোমা ছুড়তে পারে।[৬]



অন্য ধরনের হাতিয়ারের মধ্যে রয়েছে বি-৮৩ পরমাণু বোমা। একসঙ্গে এই ধরনের আণবিক ১৬টি বোমা নিয়ে ওড়ার ও শত্রুব্যূহে তা ফেলে আসার ক্ষমতা রয়েছে বি-২ স্পিরিটের। যার এক একটির ওজন ২ হাজার ৪০০ পাউন্ড বা ১ হাজার

। বর্তমানে আমেরিকার বায়ুসেনার হাতে ১৯টি বি-২ বোমারু বিমান রয়েছে। ২০৩২ সাল পর্যন্ত এই বিমানগুলিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে ওয়াশিংটনের। তার পর নর্থরপ গ্রুমম্যানের তৈরি ‘বি-২১ রাইডার’ বোমারু বিমান এগুলির স্থালাভিষিক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Welcome to Alam Shaikh YouTube channel. me Alam
Sheikh and I am a Bangladeshi small content creator. I making lifestyle video and informational video and short video and vloge and Add voice to video
This is my new video
My Facebook page:

The voice of Bangladesh: https://www.facebook.com/profile.php?...

#army