Скачать или смотреть তসলিমা নাসরিন একজন পর্নোগ্রাফি লেখিকা। সেই কারনে সে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অধিকারের আওতায় পরে না।

বাক স্বাধীনতার অধিকার মানুষের একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ১৯ নং অনুচ্ছেদে এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তিতে (ICCPR) স্বীকৃত। বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ১৯ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, "প্রত্যেকেরই বিনা হস্তক্ষেপে মতামত পোষণ করার অধিকার থাকবে" এবং "প্রত্যেকেরই মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে; এই অধিকারের মধ্যে থাকবে সীমান্ত নির্বিশেষে, মৌখিকভাবে, লিখিতভাবে বা মুদ্রণের মাধ্যমে, শিল্পের আকারে বা তার পছন্দের অন্য কোনও মাধ্যমের মাধ্যমে সব ধরণের তথ্য ও ধারণা খোঁজার, গ্রহণ করার এবং জানানোর স্বাধীনতা।"

সংক্ষেপে এটাই বাক স্বাধীনতা। কিন্তু আপনি কি ICCPR-এর ১৯ নং অনুচ্ছেদের সংশোধনীগুলো বিবেচনা করেন না যেখানে বলা হয়েছে যে এই অধিকারগুলোর প্রয়োগের সাথে "বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য" জড়িত এবং "অন্যের অধিকার বা সুনামের প্রতি শ্রদ্ধা" অথবা জাতীয় বা জনশৃঙ্খলার (অর্ডার পাবলিক), বা জনস্বাস্থ্য বা নৈতিকতার সুরক্ষার জন্য যখন প্রয়োজন হবে তখন "কিছু বিধিনিষেধের সাপেক্ষে" হতে পারে?

এই সংশোধনী অনুযায়ী, যখন আপনি আপনার স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে যাবেন, তখন অবশ্যই আপনার দায়িত্বও থাকবে। তাই আমাদের বাক স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ রয়েছে।

অতএব, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে পরম হিসেবে গণ্য করা যায় না এবং বাক স্বাধীনতার সাধারণ সীমাবদ্ধতাগুলি হলো মানহানি, অপবাদ, অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি, রাষ্ট্রদ্রোহ, উস্কানি, ঝগড়ার কথা, গোপন তথ্য, কপিরাইট লঙ্ঘন, ব্যবসায়িক গোপনীয়তা, খাদ্য লেবেলিং, অ-প্রকাশের চুক্তি, গোপনীয়তার অধিকার, ভুলে যাওয়ার অধিকার, জননিরাপত্তা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য। এই ধরনের সীমাবদ্ধতার ন্যায্যতা জন স্টুয়ার্ট মিল তার "অন লিবার্টি"-তে প্রস্তাবিত ক্ষতির নীতির অন্তর্ভুক্ত, যাsuggest করে যে: "একটি সভ্য সমাজের কোনো সদস্যের উপর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রয়োগ করার একমাত্র উদ্দেশ্য হল অন্যের ক্ষতি প্রতিরোধ করা।"