Скачать или смотреть বেগুন পোড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই ভিন্ন স্বাদে মজাদার বেগুন ভর্তার রেসিপি/

বেগুন পোড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই ভিন্ন স্বাদে মজাদার বেগুন ভর্তার রেসিপি/#goribercooking #easyrecipe #food @Goribercooking-FAN



বেগুন পোড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই ভিন্ন স্বাদে মজাদার বেগুন ভর্তার রেসিপি নিচে দেওয়া হলো:

উপকরণ:

মাঝারি আকারের বেগুন: ২ টি
পেঁয়াজ কুচি: ১/২ কাপ
রসুন কুচি: ১ টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ: ২-৩ টি (স্বাদ অনুযায়ী)
ধনে পাতা কুচি: ২ টেবিল চামচ
সরিষার তেল: ২ টেবিল চামচ
লবণ: স্বাদমতো
হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী:

১. প্রথমে বেগুনগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর বেগুনের গায়ে সরিষার তেল মাখিয়ে নিন।
২. এবার একটি প্যানে তেল গরম করে বেগুনগুলো দিয়ে দিন। অল্প আঁচে বেগুনগুলো ঢেকে দিন এবং নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
৩. বেগুনগুলো ঠান্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে চটকে নিন।
৪. অন্য একটি প্যানে সরিষার তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি এবং রসুন কুচি দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজুন।
৫. এবার শুকনো মরিচ দিয়ে একটু ভেজে চটকানো বেগুন দিয়ে দিন।
৬. লবণ এবং হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৭. ২-৩ মিনিট ভেজে ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।
৮. গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার বেগুন ভর্তা।

টিপস:

বেগুন ভাজার সময় অল্প আঁচে ভাজলে বেগুনগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হবে।
শুকনো মরিচের পরিবর্তে কাঁচা মরিচও ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য জিরা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
বেগুন একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় এবং এর নানা স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। নিচে বেগুন সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো:

*প্রকারভেদ:*

গোল বেগুন: এটি সবচেয়ে সাধারণ প্রকারের বেগুন। এটি গোলাকার এবং এর ত্বক সাধারণত গাঢ় বেগুনি রঙের হয়।
লম্বা বেগুন: এই বেগুন লম্বা এবং সরু হয়। এর ত্বকও গাঢ় বেগুনি রঙের হয়।
সাদা বেগুন: এই বেগুন সাদা রঙের হয় এবং এর স্বাদ কিছুটা মিষ্টি।
ডোরাকাটা বেগুন: এই বেগুনের ত্বকে সাদা এবং বেগুনি রঙের ডোরা থাকে।

*পুষ্টিগুণ:*

বেগুন ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি ভালো উৎস।
এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, থায়ামিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে।
বেগুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

*স্বাস্থ্য উপকারিতা:*

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: বেগুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বেগুন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: বেগুনে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হজম উন্নতি করে: বেগুনে থাকা ফাইবার হজম উন্নতি করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে: বেগুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

*রান্নার পদ্ধতি:*

বেগুন ভাজা: বেগুন কেটে তেলে ভেজে খাওয়া যায়।
বেগুন ভর্তা: বেগুন পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে ভর্তা তৈরি করা যায়।
বেগুনের তরকারি: বেগুন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করা যায়।
বেগুনের চপ: বেগুন সেদ্ধ করে চপের মতো তৈরি করে খাওয়া যায়।

বেগুন একটি বহুমুখী সবজি, যা বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা ভালো।