ভারতের ভয়ংকর রুপ তিস্তা চুক্তি_তিস্তার আদ্যোপান্ত | Teesta Barrage
তিস্তা নদী বাংলাদেশ- ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। প্রকৃতপক্ষে নদীটির বাংলা নাম তিস্তা এসেছে ‘তিন প্রবাহ’ থেকে। সিকিম হিমালয়ের ৭ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত চিতামু হ্রদ থেকে এই নদীটি সৃষ্টি হয়েছে।
তিস্তা, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিভাগের প্রধান নদী। একে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের জীবনপ্রবাহও বলা হয়। তিস্তা সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। তিস্তা নদীর দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিমি, তার মধ্যে ১১৫ কিমি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অবস্থিত।
১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তা নদীর জল বন্টনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় যে, তিস্তা নদীর জলের শতকরা ৩৬ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ এবং ৩৯ শতাংশ পাবে ভারত। বাকী ২৫ শতাংশ জল নদীটিতে সংরক্ষিত রাখা হবে। কিন্তু কী ভাবে এই জল ভাগাভাগি হবে সে বিষয়ে কোন দিকনির্দেশনা ছিল না ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তে।
বহুকাল পরে ২০০৭ সালের ২৫, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একটি দুই দেশের যৌথবৈঠকে বাংলাদেশ তিস্তার জলের ৮০ শতাংশ দু’দেশের সমান অংশে ভাগ করে অবশিষ্ট ২০ শতাংশ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে প্রস্তাব দেয়। ভারত এই প্রস্তাবে অসম্মতি প্রকাশ করে।
এই চুক্তি নিয়ে জলঘোলা এখনো চলছে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন। ওই সময় মোদি চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিও সম্পাদন করতে। কিন্তু সেই চুক্তি সম্পাদনে তীব্র বাধা দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার কথা ছিল উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করতে রাজি নন। এ কারণে মমতার বাধায় আর চুক্তি সম্পাদন করা যায়নি। এর ২ বছর আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাশে রেখেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নিজের মেয়াদকালে সে প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ করতে পারলেন না তিনি।
গজলডোবা বাঁধের আগে তিস্তা অববাহিকায় যেখানে ২৫০০ কিউসেক পানি পাওয়া যেত। সেখানে ভারতের পানি প্রত্যাহারের কারণে এখন পানি প্রবাহের পরিমাণ ৪০০ কিউসেকেরও কম। ১৯৯৭ সালে বাংলদেশে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় পানির প্রবাহ ছিল প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিউসেক, যা ২০০৬ সালে নেমে আসে ১ হাজার ৩৪৮ কিউসেকে এবং ২০১৪ সালে পানির প্রবাহ এসে দাঁড়ায় মাত্র ৭০০ কিউসেক, যা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিস্তা নদী যখন শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে তখন যমুনা নদীতেও পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে। তিস্তা নদী যখন শুকিয়ে যায়, তখন নদীকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যও প্রবল হূমকির সম্মুখীন হয়। এই তিস্তা নদীতে একসময় ইলিশ মাছ পর্যন্ত অহরহ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন ইলিশ মাছ তো দূরের কথা অন্য প্রজাতির বড় মাছও দুর্লভ হয়ে গেছে।
নদী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন কি বলছে? আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহার সংক্রান্ত ১৯৬৬ সালে সম্পাদিত হেলসিংকি নিয়মাবলীতে বিবাদমান রাষ্ট্রগুলাের জন্যে দ্বি-পাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক– এই দুই স্তরেই আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহার এবং তার সমবন্টন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের আইনী পথ বাতলে দেয়া হয়েছে।
১৯৬৬ সালের হেলসিংকি নিয়মাবলী অনুযায়ী ইচ্ছা করলেই উজানের দেশ এ ধরণের নদীর উপর ভাটির দেশের জন্য ক্ষতিকর এরকম কোন কিছু নির্মাণ করতে পারেনা। কিন্তু ভারত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ কিছুই করতে পারছে না।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদির বাংলাদেশ সফরকে তিস্তার পানি চুক্তির সম্ভাব্যতার কারণ হিসেবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে কয়েক দশক ধরেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
তবে দেশের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষতি প্রশমনের জন্য অবিলম্বে স্বচ্ছতা ও সমতার ভিত্তিতে তিস্তার পানি চুক্তি হওয়া প্রয়ােজন। তিস্তা চুক্তি যতই প্রলম্বিত হবে বাংলাদেশে ক্ষতির পরিমাণ ততই বাড়বে এবং বিপরীতে ভারতই লাভবান হতে থাকবে।
Link for subscribe:
/ @mychannel-j6m
Stay with this channel by following Facebook page of this channel-
/ rnbd-tube-219258441
Disclaimer:
=========
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use”
Copyright Disclaimer under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
teesta barrage, teesta barrage in bangladesh, gajoldoba teesta barrage, teesta barrage india, teesta river, teesta barrage project bangladesh, tista, tista barrage in bangladesh, তিস্তা ব্যারেজ, তিস্তা ব্যারেজ ভ্রমন, তিস্তার আদ্যোপান্ত, তিস্তা ব্যারেজের আদ্যোপান্ত, ভারতের ভয়ংকর রুপ, তিস্তা চুক্তির আদ্যোপান্ত, তিস্তা বাঁধ,গজলডোবা ব্যারেজ, গজলডোবা ব্রিজ, তিস্তা ব্রিজ, rnbd tube, Unknown History, অদ্ভূত ইতিহাস, পানি রাজনীতি, তিস্তার অমিমাংসিত অধ্যায়, teesta, tista barrage
#তিস্তা_চুক্তির_আদ্যোপান্ত
#tista_barrage
#তিস্তা_বাঁধ
Информация по комментариям в разработке