Скачать или смотреть বাচ্য

ব্যাকরণ আলোচনা পর্বে বিষয় বাচ্য। বাচ্যের সংজ্ঞা #বিভিন্ন প্রকার বাচ্যের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো।

বাক্যের দুটি অংশ - উদ্দেশ্য এবং বিধেয়। মূলত বিধেয় অংশে বাক্যের ক্রিয়াপদ অবস্থান করে । বাক্যের গঠন বৈচিত্র অনুযায়ী ক্রিয়াপদের কর্মপদটি কখনো কখনো উদ্দেশ্য অংশে অবস্থান করে, কখনো আবার মূল ক্রিয়া ভাবটিই উদ্দেশ্য পদ হয়। ক্রিয়ার উদ্দেশ্য অংশের এই স্থান পরিবর্তনের ধরনাটিকেই বলে বাচ্য।
ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়া পদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বাচ্য বলে।

উদাহরণ - উদ্দেশ্য বিধেয়
1) আমি গল্পটি লিখেছি।
2) গল্পটি আমার লেখা হয়েছে।
3) আমার গল্প লেখা হয়েছে।
আমি (কর্তৃপদ) - উদ্দেশ্য।
গল্পটি (কর্মপদ) -উদ্দেশ্য।
গল্প লেখা (ক্রিয়ার মূলভাব) - উদ্দেশ্য।
আসলে বাক্যে প্রকাশভঙ্গির তারতম্য অনুসারে ক্রিয়াপদের রূপভেদ ঘটে।
সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী বাচ্য চার প্রকার -
1) কর্তৃ বাচ্য
2) কর্মবাচ্য
3) ভাববাচ্য এবং
4) কর্মকর্তৃবাচ্য।

কর্তৃবাচ্য - যে বাক্য বিন্যাসে বাক্যের কর্তা প্রাধান্য লাভ করে এবং ক্রিয়াপদটি সবসময়ই কর্তৃপদের অনুগামী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলা হয়।
এখানে সমাপিকা ক্রিয়া কর্তার অধীন অর্থাৎ কর্তা যে পুরুষের, ক্রিয়াও সেই পুরুষের হয়।
উদাহরণ- মা শিশুকে আদর করেন।

বৈশিষ্ট্য -
1) কর্তা সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়ার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক।
2) কর্তায় সাধারণত শূন্য বিভক্তি হয়। অবশ্য
কখনো 'এ' ও 'তে' বিভক্তি হতে পারে।
3) উদ্দেশ্য ও কর্তা অভিন্ন।
4) দ্বিকর্মক ক্রিয়ার কর্তৃবাচ্য হলে মুখ্য কর্ম শূন্য বিভক্তি এবং গৌণ কর্মের 'কে', 'রা', 'রে', 'এরে' বিভক্তি হয়।
5) ক্রিয়া কর্তার পুরুষ এবং বচন অনুযায়ী হয়।

কর্মবাচ্য - যে বাচ্যে কর্মপদটি কর্তৃপদে পরিণত হয়ে বাক্যে প্রাধান্য পায় এবং ক্রিয়া কর্মের অনুগামী হয়, তাকে কর্মবাচ্য বলে।
কর্মবাচ্যে কর্মপদই মুখ্য এবং ক্রিয়াপদ কর্মের অনুযায়ী। বিধেয় ক্রিয়ার কর্মপদটি কর্তৃপদে পরিণত হয় এবং ক্রিয়ার সঙ্গে তার সংগতি হয়। বিধেয় ক্রিয়ার কর্মপদ এক্ষেত্রে বাক্যের উদ্দেশ্য পদ হয়।
উদাহরণ - শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের পরীক্ষা নেওয়া হলো।

বৈশিষ্ট্য -
1) অকর্মক ক্রিয়ার কর্মবাচ্য হয় না।
2) সকর্মক বা দ্বিকর্মক ক্রিয়ার কর্মবাচ্য হয়।
3) কখনো কখনো কর্মপদটি বিভক্তি যুক্ত হয়।
সাধারণত তা বিভক্তি বিযুক্ত হয়।
4) কর্তা সম্বন্ধ পদের বিভক্তি ও অনুসর্গ যুক্ত হয়। 5) কর্তা উহ্য থাকতে পারে।
6) কর্তৃবাচ্যের মুখ্য ও গৌণ কর্ম কর্মবাচ্যে কর্তায় রূপান্তরিত হয়।

ভাব বাচ্য -
যে বাক্যবিন্যাসে সাধারণত ক্রিয়ার ভাব প্রধান হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।
এখানে ক্রিয়ার কর্ম প্রাধান্য ঘটে। ক্রিয়ার ভাবই প্রধান। বাক্যের ক্রিয়া বিশেষ্য রূপে গ্রহণ করে বাক্যের কর্তা রূপ লাভ করে এবং অর্থের দিক থেকে প্রাধাণ্য প্রাপ্ত হয়।
উদাহরণ - আগামীকাল আমার বিদ্যালয়ে যাওয়া হবে না।

বৈশিষ্ট্য -
1) কর্তায় 'র', 'এর', 'রে' বা 'কে' বিভক্তি যুক্ত হয়। 2) কর্তা উহ্য থাকতে পারে।
3) ক্রিয়া সাধারণত যৌগিক হয়।
4) সমাপিকা ক্রিয়া সাধারণত 'হ্' ধাতুর হয়।
5) কর্মপদ নেই, থাকলেও তা ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়।

ভাববাচ্যের প্রকারভেদ
1) সাধারণ ভাববাচ্য
2) সম্ভাবনাবোধক ভাববাচ্য ও
3) আবশ্যকতাবোধক ভাববাচ্য।

কর্মকর্তৃবাচ্য
যে বাচ্যে কর্ম কর্তার মত কাজ করে এবং কর্তা নিরপেক্ষ থাকে। কর্ম স্থানীয় কর্তার মতো কাজ করে তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
অর্থাৎ কর্তা নিরপেক্ষ থাকে।
উদাহরণ - ঘন্টা বাজে। সকাল হলেই মন্দিরে ঘন্টা বাজে।

বৈশিষ্ট্য -
1) কর্মকর্তৃবাচ্য বস্তুত কোন বাচ্য নয়।
2) কর্তৃবাচ্যের সঙ্গে এই বাচ্যের ব্যাকরণগত পার্থক্য নেই।
3) এই বাক্যে কর্মে সাথে যা ব্যবহৃত, তা হচ্ছে অপ্রাণিবাচক বস্তু বা ধারণা। এইগুলি কোন ক্রিয়ার কর্তা রূপে দেখা যায়। বাংলা ব্যাকরণে স্বধর্মের দিক থেকে এর কোন সার্থকতা নেই। একে কর্তৃবাচ্য বলাই সংগত।

--------------------Disclaimer--------------------
Copright Disclaimer Under Section 107 of Copyright Act 1976, allowance is made for x"fair usex" for purposes such as criticisms, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips tha balance in favor of fair use