ইনজাংশন ভঙ্গ করলে কি করবেন/কখন নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর হয়/নিষেধাজ্ঞা দিতে কি করবেন/What's injunction?

Описание к видео ইনজাংশন ভঙ্গ করলে কি করবেন/কখন নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর হয়/নিষেধাজ্ঞা দিতে কি করবেন/What's injunction?

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ পেতে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ৫১০ টাকা বিকাশ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। সরাসরি সাক্ষাৎ করে আইনী পরামর্শ নিতে চাইলে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ১৫৩০ টাকা বিকাশ করে সাক্ষাতের সময়সূচি জেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে) নিয়ে চেম্বারে আসতে হবে। ঠিকানা: ব্যারিষ্টার দোলন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস, প্রেস্টিজ হাউজ (২য় তলা), চিটাগাং হোটেলের সামনে, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অথবা প্রামাণিক ল’ চেম্বার, জজ কোর্ট চত্ত্বর, কুষ্টিয়া। This Channel does not promote and encourage any illegal content, illegal activities. The aim and objects of this channel is to create a law-conscious population.
ইনজাংশন বা নিষেধাজ্ঞা কি, স্থায়ী ও অস্থায়ী ইনজাংশনের মধ্যে পার্থক্য কি, ইনজাংশন পাওয়ার নিয়মাবলী কি আর ইনজাংশন ভ্যাকেট কিভাবে করবেন অর্থাৎ আপনি জমি থেকে বে-দখল হওয়ার আশংকা করলে কি করবেন, কিভাবে আপনি আপনার জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন-সেসব বিষয়ে আইনী আলোচনা জানুন।

কবির চৌধুরী সরকারী চাকুরে। অবসরে গিয়ে একখন্ড জমি কিনে ছোট্র আবাসন গড়ার স্বপ্ন দেখেন। তিল তিল করে জমানো ভবিষ্যত তহবিলের টাকা দিয়ে একখন্ড জমি কেনেন। ১২ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। হঠাৎ একদিন তিনি শুনতে পেলেন একই গ্রামের জোতদার শফিক মিয়া শিগগিরই তিনি তার লোকজন নিয়ে জমিটি দখল করতে আসবেন। কবির চৌধুরী হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেলেন জোতদার শফিক মিয়ার কাছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন এ জমি তার বাবা কিনেছিলেন এবং শফিক তার বাবার একমাত্র সন্তান হিসেবে জমিটির মালিকানা লাভ করেছেন এবং এখানে কারও কোনো অধিকার নেই। চৌধুরী সাহেবের সামনে মূলত তিনটি পথ খোলা আছে।

১। শফিক জমিটি দখল করতে এলে তাকে তাড়িয়ে দিতে পারেন যার অধিকার আইন তাকে দিয়েছে; ২। শফিক কর্তৃক চৌধুরী সাহেব উৎখাত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন ৩। আদালতের সামনে পুরো ঘটনা উপস্থাপন করে নিজের স্বত্ব ও অধিকারের দলিলাদি উপস্থাপন করে আদালতে তাৎক্ষণিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেন। ঘটনার সব অবস্থা বিবেচনা করে আদালত শফিকের ওই জমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করে আদেশ দিতে পারে, যা আইনে ‘ইনজাংশন’ বা ‘নিষেধাজ্ঞা’ নামে পরিচিত। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কোন কিছু করা হতে মামলার পক্ষগনকে বিরত রাখা বা মামলা করার পর কোন পক্ষের করা কাজের জন্য পরিবর্তিত কোন সম্পত্তিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনাকে ইনজাংশন বা নিষেধাজ্ঞা বলে।

মামলায় জড়িত কোন পক্ষ কর্তৃক মামলা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বিনষ্ট, ধ্বংস বা হস্তান্তর হওয়ার আশংকা দেখা দিলে অথবা কোন ডিক্রি জারির দরুন বেআইনিভাবে বিক্রয় হওয়ার উপক্রম হলে অথবা বিবাদী তার পাওনাদারকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি অপসারিত বা হস্তান্তরিত করার ইচ্ছা প্রকাশ বা হুমকি প্রদর্শণ করলে আদালত অনুরূপ কাজ রোধ করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে পারেন।

নিষেধাজ্ঞার প্রধানত দুই প্রকার হতে পারে। যথাক্রমে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা। স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অনন্তকালের জন্য চলতে পারে। মামলার রায় চূড়ান্ত আদেশ হওয়ার পর এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, রহিম মিয়ার জমির উপর দিয়ে আজিজ মোল্লা জোর করে রাস্তা বানাতে চায়। এখানে কখনও রাস্তা ছিল না। এই জমি পৈত্রিকসূত্রে মালিক রহিম মিয়া। মামলা করে আদালত থেকে রহিম মিয়া স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেতে পারে যে, তার জমির উপর দিয়ে রাস্তা বানানো যাবে না।

আর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার জন্য কোন আলাদা মামলা দরকার হয় না। কোন মামলা করা থাকলে পার্শ্ব প্রতিকার হিসাবে ইনজাংশনের দরখাস্ত দিয়ে শুনানি করে ইনজাংশন পাওয়া যায়। অপরপক্ষে সুখে শান্তিতে ভোগ দখল করার জন্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দু’ধরনের হতে পারে-(ক) মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত (খ) মামলা চলাকালীন কোন নিদিষ্ট তারিখ পর্যন্ত।

আজকাল আদালতে বহুল প্রচলিত ‘স্টাটাসকু’ এক ধরনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা। আর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মূলনীতি হচ্ছে ক) বাদীকে প্রাথমিকভাবে একটি কেস প্রমাণ করতে হবে। খ) নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা না-মঞ্জুর করলে বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। গ) বাদীর অনুকূলে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করলে তার বৃহত্তর সুবিধা হবে।


আরেকটি নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ম্যাজিষ্ট্রেট যখন বুঝিতে পারেন যে, গণ-উপদ্রব গুরুতর আকার ধারণ করতে যাচ্ছে অথবা এমন মারামারি বা দাঙ্গা বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, সে অবস্থায় ম্যাজিষ্ট্রেট ১৪৪ ধার জারি করিতে পারে। এছাড়া দখল ও বেদখলকে কেন্দ্র করে শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি এমনকি রক্তারক্তি, খুন, জখমের সম্ভাবনা থাকে। এসব থেকে রক্ষা পেতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারার মামলা দায়ের করা যায়। ২০০৭ সালে মাসদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর থেকে ১৪৫ ধারার মামলা দায়ের ও বিচারের কর্মকান্ড নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এর উপর অর্পণ করা হয়েছে।

তবে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করতে হলে অবৈধভাবে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে, বেদখল হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকতে হবে, শান্তিশৃঙ্খলার অবনতি আশঙ্খা থাকতে হবে, মারামারি, ঝগড়া বিবাদ, রক্তারক্তির আশঙ্খা বিদ্যমান থাকতে হবে, সেইসাথে নিরংকুশ মালিকানা স্বত্ব বিদ্যমান থাকতে হবে। আর মনে রাখা উচিত যে দীর্ঘদিন বেদখলে থাকলে এবং সম্পত্তি দখলে না থাকলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫ ধারার মামলা করা যায় না। সেক্ষেত্রে ডিক্লারেশন স্যুট করে টাইটল প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কোন অবস্থায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন, তা ৩৩ ডিএলআরের 'মজিবুর রহমান বনাম সিরাজউদ্দিন ব্যাপারী' মামলায় মাননীয় আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ওই মামলার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, 'বাদী যদি তার দাবির সপক্ষে ন্যায্য এবং যুক্তিপূর্ণ মামলা প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে অস্থাীয় নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নালিশি বিষয়বস্তুর সংরক্ষণ, নালিশি বিষয়বস্তুতে কোনো পক্ষের স্বত্ব আছে কিনা তা নির্ণয় এর উদ্দেশ্য নয়। বরং নালিশি বিষয়বস্তুর সংরক্ষণই মূল উদ্দেশ্য।'

Комментарии

Информация по комментариям в разработке