#humanhumanity1752 #IslamicSpain #cordoba
When you think of European culture, one of the first things that may come to your mind is the renaissance. Many of the roots of European culture can be traced back to that glorious time of art, science, commerce and architecture. But did you know that long before the renaissance there was a place of humanistic beauty in Muslim Spain?
For nearly 700 years, Muslim Spain was famous for not only in artistic, scientific and commercial aspects, but it also exhibited incredible tolerance, imagination and poetry. As you’ll see, it was their civilization that enlightened Europe and brought it out of the dark ages to usher in the renaissance. Many of their cultural and intellectual influences still live with us today. Muslim Spain, also known as al-Andalus, played a crucial role in transmitting scientific knowledge from the Islamic world to Europe.
The Islamic Golden Age in Muslim Spain, refers to a period of significant cultural, scientific, and economic flourishing under Muslim rule in the Iberian Peninsula, roughly from the 8th to the 13th centuries. This era was characterized by advancements in various fields and a relatively tolerant atmosphere for different religious and ethnic groups.
This transmission occurred primarily through translation centers like the one in Toledo, which translated Arabic works into Latin, making them accessible to European scholars.
This transfer of knowledge significantly impacted the development of science, medicine, mathematics, and other fields in Europe.
ইউরোপ প্রসঙ্গে আলোচনা কালে যে প্রসঙ্গটি প্রথমে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে তা হল। ইউরোপীয় রেনেসাঁ। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, ১৪০০ সালে ইউরোপীয় রেনেসাঁ সংঘটিত হওয়ার অনেক আগে ইউরোপের স্পেনে মুসলিম শাসন আমলে ইসলামী স্বর্ণযুগের আবির্ভাব হয়ে প্রায় ৭০০ বছর ধরে চলে।
৭১২ সালে মুসলিমদের স্পেন বিজয় ছিল বিশ্ব ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা। রাজা রডারিকের কুশাসনে সমগ্র স্পেনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে এক চরম অরাজকতা দেখা দেয়। এমনই এক সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজা রডারিক উত্তর আফ্রিকান উপকুলে অবস্থিত সিউটার অধিপতি কাউন্ট জুলিয়ানের অপরূপ সুন্দরী কন্যা ফ্লোরিডার শ্লীলতাহানি করলে কাউন্ট জুলিয়ান তার প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য উত্তর আফ্রিকার উমাইয়া প্রাদেশিক শাসনকর্তা মুসা বিন নুসাইরকে স্পেন আক্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। কাউন্ট জুলিয়ানের সে আহ্বান মুসলিমদের সামনে ইউরোপ জয়ের চরম সুযোগ এনে দেয়। খলিফার অনুমতি পেয়ে মুসা বিন নুসাইর ৭১১ সালে জেনারেল তারিকের নেতৃত্বে স্পেনের দিকে অভিযান প্রেরণ করেন এবং এক বছরের মধ্যে স্পেন মুসলিমদের করতলগত হয়। স্পেনের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
এই বিজয় সমগ্র ইউরোপে এক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ইউরোপ তথা মানব সভ্যতার বিকাশের জন্য স্পেন বিজয় ছিল সুদুরপ্রসারী। মুসলিম স্পেনের রাজধানী কর্ডোভা সহ টলেডো, গ্রানাডা, সেভিল প্রভৃতি নগরী সংস্কৃতি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়। স্থাপত্য, শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে স্পেনীয় মুসলিম বা ‘মূর’গণ অসামান্য অবদান রাখেন। ফিলিপ কে হিট্টি বলেন, ‘মধ্যযুগীয় ইউরোপের বুদ্ধিবৃত্তির ইতিহাসে স্পেন একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করে।’
দীর্ঘ প্রায় সাতশ (৭১২-১৪৯২) বছরেরও বেশী সময় ধরে স্পেন মুসলিম শাসনাধীনে ছিল। ইউরোপের বুকে জ্ঞানবিজ্ঞানে সমৃদ্ধ একমাত্র ভূখণ্ড হিসেবে, স্পেন সমকালীন ইউরোপকে পথ দেখিয়েছে। স্পেন যখন সভ্যতা ও সংস্কৃতি চর্চায় নিমগ্ন তখন ইউরোপ অজ্ঞতা-বর্বরতায় ডুবে ছিল।
স্পেনীয় মুসলিমদের মাধ্যমে সর্বপ্রথম কাগজ ইউরোপে প্রসার লাভ করে। যখন লণ্ডন শহরে লোক সংখ্যা ছিল পাঁচ লক্ষ, তখন কর্ডোভা নগরীর দশ লক্ষের অধিক মানুষ বসবাস করত। উল্লেখ্য যে, অষ্টম শতকের মধ্যভাগ হতে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত আরবীয়রাই ছিল বিশ্ব সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রধান মশাল বাহক। তাদের মাধ্যমেই প্রাচীন বিজ্ঞান-দর্শনের পুনরুদ্ধার হয়, তাছাড়া, নব নব অনেক আবিষ্কার সারা বিশ্বে প্রচার লাভ করে। বলা যায়, তার ফলশ্রুতিতে বিজ্ঞান আজও পৃথিবীতে বেঁচে আছে। আর এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে মুসলিম স্পেন অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করে।
প্রকৃতপক্ষে, স্পেন বিজয়ের ফলে শুধু স্পেনেই নয়, সমগ্র ইউরোপে এক নবজীবনের সূচনা করে, যা পরে European Renaissance সূত্রপাত ঘটায়।
Информация по комментариям в разработке