সাধক কমলাকান্ত ..🌺

Описание к видео সাধক কমলাকান্ত ..🌺

কমলাকান্ত ভট্টাচার্য- সাধক রামপ্রসাদ এর পর ইনি বিখ্যাত কালীসাধক। ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে জন্মেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের অম্বিকা কালনার সেনপাড়ায় । তার পিতার নাম মহেশ্বর ভট্টাচার্য এবং মাতার নাম মহামায়াদেবী। কিশোর বয়সে পিতার মৃত্যু হলে মা মহামায়াদেবী দুই শিশু পুত্র কমলাকান্ত ও শ্যামাকান্তকে নিয়ে পিত্রালয়ে আসেন। মহামায়াদেবী কমলাকান্তকে পড়াশোনার জন্য টোলে ভর্তি করে দেন। টোলে পড়াশোনার পাশাপাশি কমলাকান্ত গোপনে সাধন ভজন অনুশীলন শুরু করেন। বর্ধমানের মহারাজ তেজচন্দ্র তার উচ্ছৃঙ্খল পুত্র প্রতাপচন্দ্রকে শিক্ষা দীক্ষায় উপযুক্ত করে তোলার জন্য কমলাকান্তকে বর্ধমানে নিয়োগ দেন। লাকুড্ডিতে তার বাড়ি তৈরি করে দিলেন। মহারাজ তেজচন্দ্র কোটালহাটে কমলাকান্তের সাধন ভজনের জন্য মন্দির করে দেন। সেখানে কমলাকান্ত কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পঞ্চমুন্ডীর আসনে বসে সাধনা করতেন। কমলাকান্ত প্রায় শতাধিক ভক্তিগীতি রচনা করে
সাধক কমলাকান্ত ওরফে কমলাকান্ত ভট্টাচার্য। মাত্র ৭ বছর বয়সেই বাবা মারা যাওয়ায় মায়ের সঙ্গে চলে আসেন বর্ধমানের চান্না গ্রামে মামার বাড়িতে। কিন্তু সেই ছোট্ট বয়সেই কমলাকান্তের মধ্যে সাধক ভাবনার ধীরে ধীরে উন্মেষ ঘটতে শুরু করেছিল।

খবর গিয়েছিল তত্কালীন বর্ধমান মহারাজ তেজচাঁদের কাছে। মহারাজ তেজচাঁদ তখন তাঁর পুত্র প্রতাপচন্দ্রকে কিছুতেই সামলাতে পারছিলেন না। ইতিমধ্যে চান্না গ্রামে বিশালাক্ষ্মী মন্দিরে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে সিদ্ধিলাভ করেন কমলাকান্ত। বর্ধমান মহারাজ তেজচাঁদ কমলাকান্তকে তাঁর রাজসভার সভাপণ্ডিত হিসাবে নিযুক্ত করেন।
একইসঙ্গে প্রতাপচন্দ্রের শিক্ষার ভারও তাঁর হাতে তুলে দেন। ধীরে ধীরে কমলাকান্তের সাধন ভজন দেখে বর্ধমান মহারাজ তেজচাঁদ টিকরহাটে তাঁকে কালীমন্দির তৈরী করে দেন। কথিত আছে সাধক কমলাকান্ত মহারাজ তেজচাঁদকে ঘোর অমাবস্যায় পূর্ণিমার চাঁদ দেখিয়েছিলেন। দেখিয়েছিলেন দেবী মূর্তির পায়ে কাঁটা বিধিঁয়ে রক্ত। সাধক কমলাকান্ত রচিত শ্যামসংগীত এবং শাক্ত পদাবলী আজও খ্যাতির শীর্ষে। মাত্র ৫০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল গঙ্গায় যাওয়ার, আবার কালী মাকেও ছেড়ে যেতে চাইছিলেন না। কমলাকান্ত কালীবাড়ীতে তাঁর মৃতদেহের সমাধির ওপর নির্মিত হয় দেবীর মূর্তি। মৃত্যুর পর গঙ্গায় নয়, মা কালীর চরণতলেই থাকতে চেয়েছিলেন সাধক কমলাকান্ত। জনশ্রুতি, মা গঙ্গা নিজেই এসেছিলেন সাধকের কাছে। মাটি ফুঁড়ে এসেছিল ‘গঙ্গাজল’। সেই কুয়ো আজও রয়েছে বর্ধমানের বোরহাটের কমলাকান্ত কালীবাড়িতে। সাধক কমলাকান্তকে নিয়ে আরও অনেক লোক-গাথা মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। এই মন্দিরের মা কালী যে জীবন্ত, তার প্রমাণ নাকি বর্ধমানের মহারাজাকে দিয়েছিলেন কমলাকান্ত। বেলকাঁটা দিয়ে মায়ের পা ফুটিয়ে রক্ত বের করে তিনি মহারাজকে দেখিয়েছিলেন এই দেবী জীবন্ত। ঘোর অমানিশায় বর্ধমানের আকাশে মহারাজকে পূর্ণিমার চাঁদ দর্শন করিয়েছিলেন এই সাধক।
কমলাকান্তর সাধনক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত বর্ধমানের বোরহাট। কমলাকান্ত ১৮২০ খ্রীষ্টাব্দে কমলাকান্ত মৃত্যুবরণ করেন। জানিয়েছিলেন মৃত্যুর পর তাঁকে যেন গঙ্গায় না দেওয়া হয়। কথিত আছে মা গঙ্গা নিজেই তাঁর কাছে এসেছিলেন। মাটি ফুঁড়ে গঙ্গাজল বেরিয়েছিল। এখনও সেই কুয়ো রয়েছে মন্দির প্রাঙ্গনে অতি খরা তাওজল শুকায় না। মায়ের পুজো এখানে ওই কুয়োর জলেই হয়। সাধক কমলাকান্ত কালী মাকে মাগুর মাছের ভোগ খাওয়াতেন। সেই রীতি মেনে আজও মাকে কালীপুজোয় জ্যান্ত মাগুরের ভোগ দেওয়া হয়। প্রতি অমাবস্যায় মাকে মাগুর মাছের ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। মন্দিরের ইতিহাস বলছে ১২১৬ বঙ্গাব্দে সাধক কমলাকান্ত এখানে মায়ের পুজো শুরু করেছিলেন।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке