Скачать или смотреть কিভাবে ঔষধের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করবেন?

মেডিকেশন ম্যানেজমেন্ট বা ঔষধ ব্যবস্থাপনা
আসসালামু আলাইকুম!!! আমাদের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় যে জিনিসগুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি। আমাদের মধ্যে এমন কেউ হয়তো নেই যে বলতে পারবে তার জীবনে ঔষধের কখনো দরকার হয়নি।
কিন্তু ঔষধ অতি প্রয়োজনীয় জিনিস হলেও আমরা আমাদের নিজেদের ঔষধ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বেশীরভাগ সময় সঠিক ধারনা রাখি না।

ঔষধের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে চাইলে, আমাদের ঔষধ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দেয়া লাগবে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে Central disease for control এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রেসক্রাইব ঔষধ এর ৫০% রোগিরা ভুলভাবে ঔষধ সেবন করে থাকে। এবং এর কারন হচ্ছে ঔষধ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা কম থাকা।

আসলে মেডিকেশন ম্যানেজমেন্ট বা ঔষধ ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝায়?
একজন রোগী কি ঔষধ খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন, কখন খাবেন, কয়টা খাবেন, কিভাবে খাবেন, খাবার আগে না পরে খাবেন, ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে করনীয় কি, কোন ডোজ মিস গেলে করনীয় কি, কোন ঔষধগুলো একত্রে খাওয়া যাবে না, কোন ঔষধ ও খাবার একসাথে খাওয়া যাবে না এই সবগুলো বিষয় মেডিকেসন ম্যানেজমেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত।


আমরা শুধুমাত্র কোন কোন ঔষধ কখন কয়টা করে খেতে হবে এতটুকু জানলেই কিন্তু হবে না বরং ঔষধ ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। উদাহরন হিসেবে যদি বলি- গ্যাস্ট্রিকের কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো খাবারের আধা ঘণ্টা আগে খেতে হয়, ঘুমের ঔষধ ডাক্তার প্রেস্ক্রাইপ করলে সেটা ঘুমানোর আগ মুহূর্তে খেতে হয়, এন্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স শেষ করতে হয় নয়ত এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স হবার সম্ভাবনা থাকে, সাসপেনশন খাবার পূর্বে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিতে হয় নয়ত সঠিক ডোজ পাওয়া যায় না, কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলোর সাথে দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া যায় না। নিজেদের যেসব ঔষধ খেতে হয় সেসব ঔষধের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হবে এবং এসব সব কিছুই ঔষধ ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত।


মেডিকেশন ম্যানেজমেন্ট বা ঔষধ ব্যবস্থাপনা অনেক বড় একটি বিষয়। কিন্তু নিজের ঔষধ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখতে পারলে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটা সহজ হয়।


মেডিকেশন ম্যানেজমেন্ট বা ঔষধ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কোথা থেকে জানব?
ডাক্তার দেখানোর সময় যতটুকু সম্ভব ডাক্তারের কাছ থেকে আমার রোগ সম্পর্কে জেনে নেবো। এখন মডেল ফার্মেসীগুলোতে ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। ঔষধ কিনার সময় ফার্মাসিস্টের কাছ থেকে ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেবো। এছাড়া নিজেদের পরিচিতদের মধ্যে যদি কোনও ডাক্তার বা ফার্মাসিস্ট থেকে থাকেন তাদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঔষধ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।


প্রথম দিনেই আমরা হয়ত ঔষধ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পুরোটা জেনে নিতে পারবো না কিন্তু জানার চেষ্টা শুরু করলে কিন্তু পুরো ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অল্প সময়ে সঠিক ধারনা পাওয়া সম্ভব।

আশা করি আমরা আমাদের ঔষধ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো যাতে করে আমরা আমাদের অসুখ এবং ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখতে পারি।