Travel Monpura | Hatiya | Nijhum Dip | মনপুরা | হাতিয়া | নিঝুমদ্বীপ

Описание к видео Travel Monpura | Hatiya | Nijhum Dip | মনপুরা | হাতিয়া | নিঝুমদ্বীপ

২০২০ এর আগস্ট মাসে মনপুরা গিয়েছিলাম। সিজনের হিসাব করলে মনপুরা ভ্রমণের সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে শীতকাল। কিন্তু চাচ্ছিলাম অফ সিজনে মনপুরা কেমন তা দেখতে। তাই যাওয়া আর কি!

বিকেলে লঞ্চে যখন উঠি তখন আবহাওয়া বেশ মেঘলা ছিলো। সন্ধ্যা নাগাদ নিউজে দেখলাম ৩নং সতর্কতা সংকেত দেয়া হয়েছে। এরই সাথে সাথে শুরু হয় বৃষ্টি। উপকূলের দিকে যত এগুচ্ছিলাম ততই বৃষ্টি আর এর সাথে বাতাসের ঝাপটা বাড়তে লাগলো। মাঝরাতে ভরা মেঘনায় ঢেউয়ের প্রকোপও বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে ভোর নাগাত পৌঁছে যাই মনপুরায়। মনপুরা গিয়ে আসলে ধারনা পালটে যায়। যতটা রিমোট প্লেস ভেবেছিলা আসলে তা না। বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হলেও মোটামুটি সবই আছে এখানে। কাঠামোগত উন্নয়নও বেশ লক্ষণীয়। স্কুল-কলেজ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সবই আছে। ঘরে ঘরে সৌর বিদ্যুৎ। সমস্যা বলতে একটাই। যোগাযোগ ব্যবস্থা। নৌপথ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাও অপ্রতুল আর বর্ষাকালে তা বেশ দুর্গম। আর্থসামাজিক অবস্থা বেশ ভালোই এখানে।

ভোরে লঞ্চ থেকে যখন নামি তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। গাছপালাগুলো যেন আরো সবুজ হয়ে উঠেছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তখন আরো উপরে উঠে ঘাট,রাস্তা প্লাবিত করে দেয়। একটা অটো নিয়ে বাজারের দিকে রওনা হই। সেখানেই রাতে থাকবো আমরা। মিনিট ২০এর মতো লেগেছিলো বাজারের দিকে যেতে। কিন্তু বৃষ্টি ভেজা গাছে ঢাকা ছিমছাম রাস্তা, ক্ষেত, পুকুর দেখে সত্যি মনে হচ্ছিলো যে ঘুরতে যাবার জন্যে আসলে বিশেষ কোনো মৌসুমের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে আমাদের এই বাংলাদেশে।

বলেছিলাম ৩নং সিগনালের কথা। যার জন্যে মনপুরা ট্রিপে সর্বক্ষণ সঙ্গী ছিলো বৃষ্টি। মনে হয় এক মুহূর্তের জন্যেও বৃষ্টি থামেনি। তবে বৃষ্টির জন্যে কিন্তু কোনো বিরক্তিও আসেনি। বৃষ্টি ছিলো উপভোগ্য। রাতে থাকার জন্যে ছোট্ট যে বোর্ডিংএ উঠেছিলাম সেটার সাথেই পুকুর। বৃষ্টি,বাতাস সব মিলিয়ে দারুণ এক পরিবেশ পাই এখানে। যার কারণে এতদূর থেকে গিয়েও অন্যকোথাও যাবার কথা মাথায় আসেনি। সকাল থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত এই পুকুরপাড়, রুম, বাজার- এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিল মনপুরা ট্রিপ!

Комментарии

Информация по комментариям в разработке