Скачать или смотреть টমেটোর সাদা মাছি ও এর দমন ব্যবস্থাপনা-Tomato's White Fly and Its Management.

#BioPestManagent #Tomatografting #RooftopGardening
টমেটো সোলানেসি (solanaceae) পরিবারের লাইকোপার্সিকন (Lycopersicon) গণের অন্তর্ভুক্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum lycopersicum
টমেটো বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সবজি। টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এখন সারা বছর পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা দুভাবে টমেটো খাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। টমেটো তরকারি, সালাদ, স্যুপ, চাটনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও টমেটো বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ ও বোতলজাত করা হয়। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং যথেষ্ট বি ও ভিটামিন এ এবং খনিজ পদার্থ আছে।টমেটোর কয়েকটি ভাল জাত যেমন- বারি টমেট-৪, মিন্টু সুপার এফ১, উন্নয়ন এফ১, রুমা ভি এফ ইত্যাদি। কিন্তু টমেটো উৎপাদনে রোগবালাই একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। এ রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেক বাড়বে। আজ আমরা টমেটোর সাদা মাছি ও এর দমন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জানব।

টমেটোর সাদা মাছি খুব ছোট হলুদাভ সাদা, নরম দেহ বিশিষ্ট। গাছ বৃদ্ধির বাড়ন্ত পর্যায়, চারা পর্যায় এবং পূর্ণ বয়স্ক, তিন পর্যায়েই সাদা মাছি আক্রমন করতে পারে। এ মাছি সবজি গাছের সাধারণত কচি পাতায় আক্রমন করে তবে সব বয়সের পাতাতেই আক্রমণ করতে পারে।সাদা মাছি পোকা পূর্ণ বয়স্ক, নিম্ফ অবস্থায় ফসলের বেশি ক্ষতি করে।
সাদা মাছি গাছের রস চুষে খায় ফলে ফলে গাছ শুকিয়ে যায়। এই পোকা এক ধরণের রস ছড়িয়ে দেয়, যেখানে বিভিন্ন ছত্রাক আক্রমণ করে। ফলে দূর থেকে আক্রান্ত গাছকে নিস্তেজ ও কালো দেখায়। সাদা মাছি পোকা আক্রান্ত গাছের বৃদ্ধি খুবই কম হয়। তাছাড়া এই পোকা মুগ ও মাসকলাইয়ে হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ ছড়ায়।
সাদা মাছি পোকা দমনে স্টিকি ট্রাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। আগের ফসলের নাড়া বা অবশিষ্ট অংশ ভালভাবে ধ্বংস করতে হবে। আগাছা, মরা পাতা ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে দমনঃ
সাদা মাছি পোকা দমন করার জন্য ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন টিডো ২০ এস এল ৫ মি.লি. ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। অথবা টিডো প্লাস ৭০ ডব্লিউ ডি জি ২ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে। এছাড়া এই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করতে আক্রমণের পূর্বে থায়োসাইড ৭৫ ডব্লিউ ডিজি ১.৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে।
আপনার ফসলের মাঠ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।কোন প্রকার অসংগতি খেয়াল করলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অথবা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অথবা উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিতে নিকটস্থ উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন।কৃষি, মৎস ও প্রাণীসম্পদ সম্পর্কিত যেকোন তথ্য জানতে ১৬১২৩ নাম্বারে কল করুন। যেকোন সময় আবহাওয়ার খবর জানতে ১০৯০ নাম্বারে কল করুন। নিজের উপজেলার কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখতে কৃষি বাতায়নে নিজের তথ্য হালনাগাদ করে ৩৩৩১ নাম্বারে কল করুন। কৃষির আধুনিকায়নে এগিয়ে আসুন, কোন জায়গা পতিত রাখবেন না। সবাই সুস্থ্য থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
পুরো ভিডিওটি দেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ফসলে রোগ-পোকা দমন ব্যবস্থা বিষয়ক তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনা ভাল লাগলে ভিডিওটি লাইক, কমেন্ট ও পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে এক্টিভ থাকুন।