#Surah_fatiha_and_Surah_ikhlas
#সূরা_ফাতিহা_ও_সূরা_ইখলাস
#সূরা_ফাতিহা
#সূরা_ইখলাস
#surah_fatiha
#Surah_ikhlas
#সুরা ফাতিহার অর্থ:
بسم الله الرحمن الرجيم
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা
الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
আর রাহমানির রাহিম
যিনি অত্যন্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
যিনি বিচার অধিকর্তা (মালিক)।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
ই্য়াকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
ইহ দিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও।
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ
সিরাতাল লাযিনা আনআমতা আলাইহিম
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।
غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلا الضَّالِّينَ َ
গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দুয়ালিন
সেইসব লোকের পথে নয় যারা তোমার অভিশাপগ্রস্ত এবং (তাদের পথেও) নয় যারা পথভ্রষ্ট।
امين
আমিন
সুরা ফাতিহার ফযিলত, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব:
(১) উবাই ইবনু কা‘ব (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ উম্মুল কুরআনের মত তাওরাত ও ইনজিলে কিছু নাযিল করেননি। এটিকেই বলা হয়, ‘আস-সাব‘উল মাছানী’ (বারবার পঠিত সাতটি আয়াত), যাকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আর আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, সে যা চাইবে’। নাসায়ী শরীফ : ৩১৯
(২) আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা সূরা ফাতিহা পড়। কোন বান্দা যখন বলে, আলহামদুলিল্লাহি রাবিবল আলামীন, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বলে, আর-রহমা-নির রহীম, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করেছে। বান্দা যখন বলে, মালিকি ইয়াউমিদ্দীন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। বান্দা যখন বলে, ইয়্যাকানা’বুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তাইন, আল্লাহ বলেন, এ হচ্ছে আমার ও আমার বান্দার মাঝের কথা। আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। বান্দা যখন বলে, ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম.. (শেষ পর্যন্ত)। আল্লাহ বলেন, এসব হচ্ছে আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। মুসলিম শরীফ : ৩৯৫
৩) ইবনে আববাস (রা.) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে জিবরাঈল (আ.) উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ জিবরাঈল (আ.) ওপর দিকে এক শব্দ শুনতে পেলেন এবং চক্ষু আকাশের দিকে করে বললেন, এ হচ্ছে আকাশের একটি দরজা যা পূর্বে কোনদিন খোলা হয়নি। সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ‘আপনি দু’টি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ করুন। যা আপনাকে প্রদান করা হয়েছে। তা আপনার পূর্বে কোন নবীকে প্রদান করা হয়নি। তা হচ্ছে সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষ দু’আয়াত। মুসলিম শরীফ : ৮০৬
#সুরা ইখলাস এর অর্থ:
بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)
قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ
কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক
اللَّـهُ الصَّمَدُ
আল্লা-হুচ্ছমাদ্
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান্ আহাদ্
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই
#সূরা ইখলাসের ফযিলত, বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব:
১। কাতাদা ইবনু নুমান রাযি.বলেছেন, রাসূল ﷺ এর সময় এক ব্যক্তি শেষ রাতে সালাতে শুধুমাত্র “কুল হুআল্লাহু আহাদ” ছাড়া আর কোনো সূরাই তিলাওয়াত করেন নি। পরদিন সকালে কোন এক ব্যক্তি রাসূল ﷺ-এর কাছে আসলেন। তখন রাসূল ﷺ বললেন, সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন। এ সূরা হচ্ছে সমগ্র কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারি ৪৬৪৫)
২। আবূ সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ তাঁর সাহাবীদেরকে বলেছেন, أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ فِي لَيْلَةٍ তোমাদের কেউ কি এক রাতে কোরআনের এ-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অসাধ্য মনে কর? এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে, এমনটি পারবে? তখন তিনি বললেন, اللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ ثُلُثُ الْقُرْآنِ “কুল হুআল্লাহু আহাদ” অর্থাৎ সূরা ইখ্লাস কোরআন শরীফের এক-তৃতীয়াংশ। (বুখারি ৪৬৪৬)
৩। আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক সাহাবিকে একটি মুজাহিদ দলের আমীর করে জিহাদে পাঠালেন। তিনি যখন নামাজে ইমামতি করতেন, তখনই (প্রত্যেক রাকআতে সূরা পড়ার পর) ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) দিয়ে (কিরাআত) শেষ করতেন। মুজাহিদগণ সেই অভিযান থেকে প্রত্যাবর্তন করে নবি ﷺ এর খিদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, سَلُوهُ لأَيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذٰلِكَ؟ ‘তাকে জিজ্ঞাসা কর, কেন সে এ কাজটি করেছে?’ সুতরাং তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বললেন, لأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمٰنِ فَأَنَا أُحِبُّ أنْ أقْرَأ بِهَا ‘এই সূরাটিতে পরম করুণাময় (আল্লাহ)র গুণাবলী রয়েছে। এই জন্য সূরাটি তেলাওয়াত করতে আমি ভালবাসি।’ তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,أخْبِرُوهُ أنَّ اللهَ تَعَالَى يُحِبُّهُ ‘তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাআলাও তাকে ভালবাসেন।’ (বুখারি ৭৩৭৫, মুসলিম ৮১৩, নাসায়ি ৯৯৩)
৫। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।’ (সহিহ জামে সগীর ৬৪৭২)
#slami JIbon Shikkah #ইসলমী জীবন শিক্ষা #শিখুন সূরা #Hujur Tv24 #Quran Shikkah #An Nafee #Alafasy #AWAZ #IQRA AL-QuRan #Furqan Tube #Qraner Awaz #AL HERA ISLAMIC CENTER #Baitul Islam #জ্ঞানের আলো #Quran Tilawat Tube #PiPi Yube #Al Hadee #Amol tv #Raaed bd #An Noor BD #Dini Amol #All Bangla
Информация по комментариям в разработке