কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি ও কি। What are the conditions for Qurbani to be obligatory? #qurbanistatus #Qurbani
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কি কি? এবং আমরা কিভাবে সেটা নির্ধারণ করবো যে , আমরা কুরবানি গরু নাকি খাসি
দিব? আমাদের কখন একাধিক গরু, খাসি বা ছাগল, কুরবানী দিতে হবে?
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে কুরআন এবং হাদিসের আলোকে সবকিছু বিস্তারিত নিচে জানানো হয়েছে।
যে ব্যক্তির কাছে আরবি জিলহজ মাসের দশ, এগারো এবং বারো তারিখের সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত
প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা এর সমতুল্য সম্পদ কিং বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা এর সমতুল্য পরিমাণ সম্পদ থাকে,
এবং সে গুলো ঋণ বহির্ভূত হয়। তাহলে সেই ব্যক্তির উপরে কুরবানী করা ওয়াজিব বা আবশ্যক।
কুরবানী গরু, মহিষ, খাসি, উট, দুম্বা বা ভেড়া যে কোনো প্রাণী দিয়েই আদায় করা যাবে। এটা ব্যক্তির এখতিয়ার।
এরকম কোনো নীতি মালা এই বিষয়ে নেই যে , কখনো গরু, কখনো খাসি বা বকরি , কখনো উট বা দুম্বা , কখনো ভেড়া প্রভৃতি
আবশ্যক হয়। বরং কুরবানী করা আবশ্যক। একজন ব্যক্তি তার পছন্দ মতো উপরের যে কোনো পশু কুরবানী করতে পারবেন।
এবিষয়ে কোনো ধরনের বিধি নিষেধ নেই।
আবার ইচ্ছে করলে আবশ্যকীয় কুরবানী ছাড়াও যত ইচ্ছা নফল কুরবানী করা যায়। যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম
নিজের কুরবানী ছাড়াও উম্মতের দিক থেকে নফল কোরবানি করে থাকতেন।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম দুটি সাদা কালো বড় শিংবিশিষ্ট খাসি কৃত দুম্বা কুরবানীর দিন যবেহ করতেন।
জবেহ করার জন্য যখন শোয়ালেন, তখন বলতেন,
ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজী ফাতা রস্সামাওয়াতি,
তারপর বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলে জবাই করতেন। [ মুসনাদে আহমদ, হাদিস ১৫০২২; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস
৩৮৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ২২৫]
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি।
কয়েকটি শর্ত পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কুরবানী ওয়াজিব হয় । সামনে সেগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হলো -
প্রথম শর্তঃ মুসলমান হওয়া,
অর্থাৎ অমুসলিমদের উপর কুরবানীর বিধান প্রযোজ্য হবেনা।
দ্বিতিয় শর্তঃ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া,
অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি যদি ও নির্দিষ্ট সম্পদের মালিক হয় তার পর ও তার জন্য কুরবানী আবশ্যক নয়।
তৃতীয় শর্তঃ সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হতে হবে,
অর্থাৎ কোনো পাগল যদি সম্পদের মালিক ও হয় তারপরও কোরবানি ওয়াজিব হবে না ।
চতুর্থ শর্তঃ স্বাধীন ব্যক্তি হতে হবে,
অর্থাৎ কোনো পরাধীন ব্যাক্তির উপর কোরবানি আবশ্যক হয়না।
পঞ্চম শর্তঃ মুকিম হতে হবে,
অতএব কোন জায়গায় 15 দিনের বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হতে হবে, অর্থাৎ মুসাফিরের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়।
ষষ্ঠ শর্তঃ
যাকাত ফরজ হয় এরকম পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে,
জিলহজ্ব মাসের 10 তারিখ ফজরের পর থেকে জিলহজ মাসের 12 তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি হয়,
তাহলে তাকে কুরবানী দিতে হবে । কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য এই সম্পদ এক বছর পার হওয়ার শর্ত নয়। (আদ দুররুল
মুখতার, পৃষ্ঠা : ২১৯, খন্ডঃ ৫)
তবে নাবালেক বা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় এরকম মনের দিক থেকে
কুরবানী দিলে সওয়াবের অধিকারী
হইবে। কোন নারী যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তা হলে তার উপরও কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব হবে। যার
ওপর কুরবানী ওয়াজিব নয় এরকম কোনো দরিদ্র ব্যাক্তি যদি কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানি শুদ্ধ হবে এবং সে বেশি
সওয়াব লাভ করবে । এরকম দরিদ্র লোক যদি কুরবানীর উদ্দেশ্যে পশু ক্রয় করে থাকে তাহলে তার উপর কুরবানী
ওয়াজিব হয়ে যাবে । (কিফায়াতুল মুফতিঃ ৮/১৭৮)
কোরবানির গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাঃ
শুধুমাত্র একটি কুরবানী ওয়াজিব হয়, নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক এর উপরে । অনেক সম্পদের যদি মালিক হয়
তাহলে ও একটি কুরবানী ওয়াজিব হবে । তবে সে যদি একাধিক কুরবানী করতে চায় তাহলে সে বেশি সওয়াবের
অধিকারী হবেন। কোরবানি কেবলমাত্র নিজের উপরে ওয়াজিব হবে। সে ক্ষেত্রে সন্তানের দিক থেকে কোরবানি দেয়া
পিতার দিক থেকে ওয়াজিব নয়।
সপ্তম শর্তঃ
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা,
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানির পশু জবাই করতে হয়। আল্লাহ তা'আলার কাছে কুরবানীর পশুর মাংসো বা রক্ত কোনটাও পৌঁছায়
না , বরং তোমাদের তাকওয়া (তথা এক নিষ্ঠা সম্পন্ন আমল) আল্লাহর কাছে পৌঁছায়।(সূরা মায়েদা , আয়াতঃ ৩৭)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন, 'হে রাসুল! আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার জীবন, আমার কোরবানি , আমার
মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য নিবেদিত। (সূরাঃ আনআম, আয়াতঃ ১৬২)
অষ্টম শর্তঃ
প্রত্যেকটা সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর শর্তসাপেক্ষে কুরবানী করা ওয়াজিব।
আল্লাহ বলেন, ' তুমি তোমার রবের জন্য কোরবানি করো এবং সালাত আদায় করুন।' (সুরাঃ কাউসার, আয়াতঃ ২)
আবুহুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছে ,
কোন ব্যক্তির সামর্থ্য থাকার পরে ও যদি কোরবানি না করে তাহলে সে যেনো আমাদের ঈদগাহের
কাছেও না আসে । (ইবনে মাজাহ, হাদীস নং : ২১২৩, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নংঃ ৮২৭৩)
কোরবানির আগের ১০ দিনের বিশেষ আমল
• কোরবানির আগের ১০ দিনের বিশেষ আমল । 10 days...
#surahYaseen,
• Sura yasin. Quran tilawat surah yasin.#sur...
#QurbanirAmol
#Qurbani
#EidAlAdha
#Sacrifice
#IslamicFestival
#AnimalSacrifice
#Charity
#charity
#Worship
#QurbaniDistribution
#Feast
#blessings
Информация по комментариям в разработке