Скачать или смотреть চাঁদপুরের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দম্পতির বিবাহ ও কোর্ট ম্যারেজ | কুমিল্লা কাজী অফিস

বিবাহ: পবিত্র বন্ধন ও আইনসম্মত সুরক্ষা

আলহামদুলিল্লাহ
আজ চাঁদপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী যুগল আমাদের কুমিল্লা কাজী অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক তাদের বিবাহ সম্পন্ন করেন। পরে কোর্ট ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ করে তারা সরকার অনুমোদিত ডকুমেন্টস গ্রহণ করেন।
🔖 আমরা সর্বদা চেষ্টা করি প্রতিটি বিবাহ যেন ইসলামী শরীয়া এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হয়।
🌸 নব দম্পতির জন্য আমাদের আন্তরিক দোয়া—
দোয়া (আরবিতে):
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمَا وَبَارِكْ عَلَيْهِمَا وَاجْمَعْ بَيْنَهُمَا فِي خَيْرٍ
বাংলা অর্থ:
“হে আল্লাহ! তাদের জন্য বরকত দিন, তাদের উপর বরকত দান করুন এবং কল্যাণের মাধ্যমে তাদেরকে একত্রিত করুন।”
কুমিল্লা কাজী অফিস
👉 +8801604076600
📍 কুমিল্লা জজ কোর্ট
বিবাহ প্রতিটি মানুষের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি শুধু দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবারের বন্ধন এবং ইসলামী শরীয়ত ও দেশের আইন অনুযায়ী একটি পবিত্র চুক্তি। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের সমাজে কিছু অসাধু ব্যক্তি এই পবিত্র বন্ধনকে ঘিরে নানা ধরনের প্রতারণা করে চলেছে। বিশেষ করে, কম খরচে বিয়ে বা 'কোর্ট ম্যারেজ'-এর নামে ভুয়া কাগজপত্র ধরিয়ে দিয়ে অনেক সরলপ্রাণ মানুষকে বিপদে ফেলছে।
ইসলামী শরীয়তের বিধান ও গুরুত্ব ইসলামে বিবাহকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। এটি শুধু ইজাব-কবুলের (প্রস্তাব ও গ্রহণ) মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার, দায়িত্ব এবং মর্যাদা নিশ্চিত হয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, "তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও; আর তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন" (সূরা রুম, ২১)।
এই ভালোবাসা ও দয়াকে সুরক্ষিত করার জন্যই কাবিননামার মতো একটি আইনসম্মত দলিল প্রয়োজন। এটি স্ত্রীর দেনমোহর ও অন্যান্য অধিকার সুরক্ষিত করে। কাবিননামা না থাকলে স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের জন্য আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।
আইনের চোখে বিবাহ: কেন কাবিননামা অপরিহার্য? আমাদের দেশের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী, প্রত্যেক মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এই নিবন্ধনের প্রধান দলিল হলো কাবিননামা বা নিকাহনামা। মনে রাখবেন, শুধু হলফনামা বা 'কোর্ট ম্যারেজ' নামে পরিচিতি কোনো লিখিত ঘোষণাপত্র আপনার বিবাহকে আইনগতভাবে বৈধতা দেয় না। এই ধরনের হলফনামা দিয়ে পরবর্তীতে কোনো আইনি প্রতিকার বা দেনমোহর আদায় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
প্রতারক থেকে সাবধান! বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের কাজীর পরিচয়ে কম মূল্যে বিয়ে করিয়ে দেয় এবং জাল বা ত্রুটিপূর্ণ কাবিননামা সরবরাহ করে। অনেকে আবার বিবাহের কোনো ডকুমেন্টই দেয় না, শুধু 'কোর্ট ম্যারেজ' হয়েছে বলে আশ্বস্ত করে। এই প্রতারণার ফাঁদে পড়লে আপনি এবং আপনার সঙ্গী উভয়ই বড় বিপদে পড়তে পারেন। ভবিষ্যতে বিবাহ বিচ্ছেদ, দেনমোহর আদায়, বা সন্তানের অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মারাত্মক জটিলতা দেখা দেয়।
কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?
• সরকার অনুমোদিত কাজী: বিবাহ সম্পন্ন করার জন্য অবশ্যই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ও রেজিস্টার্ড কাজীর কাছে যান। প্রতিটি ইউনিয়নে বা ওয়ার্ডে একজন করে নিবন্ধিত কাজী থাকেন, যার নামফলক সাধারণত অফিসের বাইরে থাকে।
• সঠিক ডকুমেন্ট: বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর কাবিননামার মূল কপি ভালোভাবে যাচাই করে নিন। নিশ্চিত করুন যে তাতে সকল তথ্য, যেমন- সাক্ষীদের নাম, দেনমোহরের পরিমাণ, এবং কাজীর সিল ও স্বাক্ষর সঠিকভাবে দেওয়া আছে।
• সচেতনতা: শুধু মুখে বলা কথায় নয়, ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে যাচাই করুন। আপনার কাজীর লাইসেন্স নম্বর ও ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।
বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন, যা সঠিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সুরক্ষিত ও মজবুত হয়। তাই কোনো ধরনের প্রলোভনে না পড়ে, সঠিক পথে বিবাহ সম্পন্ন করুন এবং আপনার দাম্পত্য জীবনকে আইনি সুরক্ষা দিন।
কুমিল্লা কাজী অফিস
👉 +8801604076600
📍 কুমিল্লা জজ কোর্ট